E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

শিরোনাম:

গর্ভাবস্থায় যেসব খাবার খেলে সন্তান বুদ্ধিমান হয়

২০২০ মে ২৯ ১৮:০৫:৫২
গর্ভাবস্থায় যেসব খাবার খেলে সন্তান বুদ্ধিমান হয়

লাইফস্টাইল ডেস্ক : সন্তান বুদ্ধিমান হবে- এমন স্বপ্ন সব মায়েরই। এটি নির্ভর করে গর্ভাবস্থায় মায়ের খাদ্যাভ্যাসের উপর। মা যদি গর্ভাবস্থায় সঠিক মাত্রায় ফলিক এ্যাসিড, ভিটামিন ডি, লোহা ইত্যাদি না খান তাহলে কিছু কমতির সম্ভাবনা থাকে। যার ফলে সন্তানের মধ্যেও তার প্রভাব পড়ে। এর ফলে হয়ত তার মানসিক অক্ষমতার সাথে ব্যবহারগত সমস্যা দেখা দিতে পারে।

কিছু খাবার যা শুধু গর্ভাবস্থায় নয়, যখন থেকে সন্তান ধারণের কথা ভাববেন তখন থেকেই খাওয়া উচিত। এই সাপ্লিমেন্ট ও খাবারগুলো আপনার বাচ্চার আই.কিউ (ইন্টেলিজেন্স কোশেন্ট)বাড়াতে পারে। জন্মের পরেও আপনি প্রয়োজনীয় পুষ্টিকর খাবার খাইয়েও সন্তানের মস্তিষ্কের ক্ষমতা বাড়াতে পারেন।

সন্তান যখন জন্ম গ্রহণ করে তার মস্তিষ্কের মাপ যেকোনো পূর্ণ বয়স্ক মানুষের ২৫% হয়। ২ বছর বয়সে সেটা বেড়ে হয় ৭৫%। দেখে নিন কী খাবেন-

ফ্যাটি বা মেদযুক্ত মাছ: স্যালমন, টুনা, ম্যাকারেল ইত্যাদি ওমেগা-৩ ফ্যাটি এ্যাসিড সমৃদ্ধ। এগুলো বাচ্চার মস্তিষ্কের বিকাশের জন্য খুবই জরুরি। এক গবেষণায় দেখা গেছে যে তুলনামূলক ভাবে যেসব মায়েরা গর্ভাবস্থায় সপ্তাহে দুবারের কম মাছ খায় তাদের সন্তানের আই.কিউ মাত্রা কম সেই সব মায়েদের থেকে যারা সপ্তাহে অন্তত দু’বার মাছ খায়।

ডিম: ডিম অ্যামাইনো এ্যাসিড কোলিন সমৃদ্ধ,যাতে মস্তিষ্কের গঠন ভালো হয় ও স্মরণশক্তি উন্নতি হয়। গর্ভবতী নারীদের দিনে অন্তত দুটো করে ডিম খাওয়া উচিত যার থেকে কোলিনের প্রয়োজনের অর্ধেক পাওয়া যায়। ডিমে থাকা প্রোটিন ও লোহা জন্মের সময় ওজন বাড়িয়ে দেয়। কম ওজনের সাথে কম বুদ্ধি বা আই.কিউ-র সাথে সম্পর্ক রাখা হয়।

পালং শাক, মেদ ছাড়া মুরগির মাংস ও বিনস: এগুলো লোহা সমৃদ্ধ খাবার যা আপনার সন্তানকে বুদ্ধিমান হতে সাহায্য করে।এই খাবারগুলো গর্ভাবস্থায় অবশ্যই খাওয়া উচিত। লোহা আপনার গর্ভস্থিত সন্তানের কাছে অক্সিজেন পৌঁছে দেয়। এছাড়াও ডাক্তারের পরামরশে আপনার লোহার সাপ্লিমেন্ট খাওয়া উচিত।

দই: আপনার শরীর প্রচুর পরিশ্রম করে আপনার সন্তানের স্নায়ু কোষগুলো গঠনের জন্য। এর জন্য আপনার বাড়তি কিছু প্রোটিন লাগবে। আপনাকে প্রোটিনযুক্ত খাবার বেশি করে খেতে হবে যেমন দই ছাড়াও অন্য খাবার। দইয়ে ক্যালসিয়াম আছে যা গর্ভাবস্থায় দরকারি।

ব্লুবেরি: ব্লুবেরির মতো ফল, টমেটো ও লাল বিন্স গর্ভাবস্থায় খাওয়া উচিত।এই ফলগুলো আপনার সন্তানের মস্তিষ্কের টিস্যুকে রক্ষা করে ও বিকাশে সাহায্য করে।

ভিটামিন ডি: এটি বাচ্চার মস্তিষ্কের বিকাশের জন্য খুব দরকার। গবেষণায় দেখা গেছে যেসব মায়েদের ভিটামিন মাত্রা প্রয়োজনের চেয়ে কম থাকে তাদের বাচ্চার মস্তিষ্ক দুর্বল হয়। ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্ট ছাড়া সূর্য্যের আলো নিন। ডিম, চীজ, বিফ, লিভার ইত্যাদি ভিটামিন ডি যোগায়।

আয়োডিন: আয়োডিনের অভাব, বিশেষ করে গর্ভাবস্থার প্রথম ১২ সপ্তাহে সন্তানের আই.কিউ কম করে দিতে পারে। গর্ভাবস্থায় আয়োডিন যুক্ত লবণ খান। এছাড়া সামুদ্রিক মাছ, ডিম, দই ইত্যাদি খান আয়োডিনের জন্য।

ফলিক এ্যাসিডযুক্ত জন্মপূর্ব সাপ্লিমেন্ট: মস্তিষ্কের কোষ গঠনে ফলিক এ্যাসিড খুব প্রয়োজনীয়। এক গবেষণায় দেখা গেছে যে, যেসব নারী গর্ভবস্থায় সন্তান প্রসবের ৪ সপ্তাহ আগে ও ৮ সপ্তাহ পরে অবধি ফলিক এ্যাসিড নিয়ে থাকে তাদের ৪০ শতাংশ প্রবণতা কম হয় অটিস্টিক বাচ্চা জন্ম দেয়ার। সবুজ শাক পাতা যেমন পালং শাক, ডাল ইত্যাদি ফলিক এ্যাসিড সরবরাহ করে।এছাড়াও ফলিক এ্যাসিড সাপ্লিমেন্ট ভিটামিন বি-১২-র সাথে খাওয়া উচিত।

(ওএস/এসপি/মে ২৯, ২০২০)

পাঠকের মতামত:

২৬ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test