E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

শীতে শিশুর সুস্থতায় করণীয়

২০১৬ নভেম্বর ২২ ১৪:৪৬:৫৮
শীতে শিশুর সুস্থতায় করণীয়

নিউজ ডেস্ক : ঋতু পরিবর্তনের এই সময়টাতে গরম লাগার তীব্র অনুভূতি ভোলেনি কেউ। তাইতো আবহাওয়া শীতল থাকলেও অভ্যাসবসত ফ্যান বা এসির বাতাস খেয়ে চলেছি। কিন্তু ঋতু পরিবর্তনের এই ধাক্কা বড়দের চেয়ে শিশুদের লাগছে বেশি। তাদেরকে সহজেই ভাইরাস ও ব্যাক্টেরিয়া আক্রমণ করে বসছে। এ সময় অনেক শিশুর সাধারন ঠাণ্ডা লাগা বা ফ্লু থেকে শুরু হচ্ছে নিউমোনিয়া কিংবা ব্রংকিওলাইটিস। তাই জেনে নিন এই সময়ে শিশুর যত্ন ও করণীয় সম্পর্কে।

সাধারণ ঠাণ্ডা লাগা বা ফ্লু
এ সময় শিশুদের নাক দিয়ে পানি বের হওয়া, হাঁচি ও কাশি হতে পারে। সামান্য জ্বর ও থাকতে পারে। শিশুকে আবহাওয়া অনুযায়ী গরম রাখতে হবে। তবে বেশি কাপড় পরিয়ে রাখলে আবার ঘেমে শরীরে ঠাণ্ডা বসে যাবে। কাশি থাকলে শিশুকে গরম পানির সঙ্গে লেবু ও চিনি খাওয়াতে পারেন। গরম পানির সঙ্গে মধু মিশিয়ে ৫ থেকে ৬ চা-চামচ করে দিনে ৪ থেকে ৫ বার খাওয়ানো যেতে পারে। সর্দি হয়ে শিশুর নাক বন্ধ হয়ে থাকলে নরমাল স্যালাইনের ন্যাসাল ড্রপ শিশুর নাকের উভয় ছিদ্রে দিন এবং কটনবাড দিয়ে শিশুর নাক ভালভাবে পরিস্কার করে দিন। এভাবে শিশুকে প্রতিবার খাওয়ার আগে ও ঘুমের আগে এটা করতে হবে। নাক পরিস্কার করার জন্য সরিষার তেল ব্যবহার করা যাবে না। এরপরেও শিশু বেশি অসুস্থ বোধ করলে, জ্বর বেশি থাকলে, বুকে গড় গড় আওয়াজ হলে বা শ্বাসকষ্ট শুরু হলে শিশুকে তাড়াতাড়ি কাছের হাসপাতালে নিয়ে যান।

নিউমোনিয়া
আমাদের দেশের শিশুরা খুব সহজেই নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়। এ রোগের লক্ষণগুলো হচ্ছে- জ্বর, সর্দি ও কাশি, শ্বাসকষ্ট বা দ্রুত শ্বাস নেয়া, শ্বাস নেয়ার সময় শিশুর বুকের পাঁজরের হাড়ের নিচের দিক ভেতরের দিকে ঢুকে যাওয়া। এটি বেশ মারাত্নক রোগ। ঠিক চিকিৎসা না করালে নিউমোনিয়াতে শিশুর মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে। তবে এন্টিবায়োটিক দিয়ে চিকিৎসার মাধ্যমে নিউমোনিয়া সম্পূর্ণ ভালো হয়ে যায়। তাই শিশুর এ রোগের লক্ষণ দেখা দেবার সঙ্গে সঙ্গে তাকে নিকটস্থ হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।

ব্রংকিওলাইটিস
এই রোগও নিউমোনিয়ার মতই একটি অসুখ। এক্ষেত্রেও জ্বর, সর্দি কাশির সঙ্গে শিশুর শ্বাসকষ্ট থাকে। শ্বাস টানার সময় আওয়াজ হয়। শ্বাসকষ্ট থাকলেও শিশু হাসিখুশি থাকে এবং দুর্বল হয়ে পড়ে। এসব ক্ষেত্রেও শিশুকে অবশ্যই নিকটতম চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে যেতে হবে এবং চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।

তবে শিশুর সুস্থতা নিশ্চিত করতে অবশ্যই পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। সময় মতো তাকে তাজা ও গরম খাবার খাওয়ানো, গোসল করানো এবং বিশ্রামের বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে। সর্বোপরি বাবা-মাকে সচেতন হতে হবে সবচেয়ে আগে, তবেই শিশুর সুস্থতা আনা সম্ভব।

(ওএস/এএস/নভেম্বর ২২, ২০১৬)

পাঠকের মতামত:

০৪ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test