E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

ঈদ উপলক্ষে হাত রাঙানো

২০১৭ জুন ১৭ ১১:৪৭:০৯
ঈদ উপলক্ষে হাত রাঙানো

লাইফস্টাইল ডেস্ক : ঈদ মানেই খুশি আর আনন্দ। সেই ঈদের আনন্দকে ভাগাভাগি করে নিতে আমাদের কত আয়োজন। তার মধ্যে মেহেদী পড়ানো বা পড়ার মতো আনন্দের কোনো বিকল্প নাই। সাধারণত আমরা মেহেদী পরি ঈদের আগের দিন রাতে।

ছোটবেলায় দেখতাম মা চাচিরা ঈদের আগের দিন রাত জেগে রান্নার কাজ করতেন আর বড় আপুরা সবাইকে নিয়ে দল বেঁধে বসতেন হাতে মেহেদী দিয়ে দেওয়ার জন্য। সবাইকে দিয়ে তারপরে দিতেন বড় আপুরা। ঈদের উত্তেজনায় যেন রাতের ঘুম পালিয়ে যেত। সবাই মিলে গান করতে করতে হাতে মেহেদী দেওয়া। একসঙ্গে এক প্লেটে করে খাবার খাওয়া। কার হাতের মেহেদির নকশা কত সুন্দর সেটা নিয়ে তর্ক। কার হাতের মেহেদির রঙ কত গাড় হবে তা নিয়ে কত কথা।

কিন্তু এখন আর তা হয় না। কারণ এখন আগের মতো সেই যৌথ পরিবার নেই। সঙ্গে নেই আগের মতো দীর্ঘ সময় ধরে রাখার মতো মেহেদী। কয়েক বছর আগেও টিউব মেহেদী তেমন ছিল না। টিউব মেহেদী দিলেই পাঁচ মিনিটে শুকিয়ে যায়। তাই যখন তখন কাজের ফাঁকেই হাতে মেহেদি দেওয়া যায় কোনো ঝামেলা ছাড়াই।

কিন্তু এটাও তো সত্যি যে টিউব মেহেদীর রঙটাও বেশিক্ষণ থাকে না। এখনকার মানুষ ঈদ পরবর্তী দুই দিনের মধ্যে কাজে জড়িয়ে পড়ে তাই তখন আর মেহেদির ব্যাপারটা ঠিক হয়তো ভালো লাগে না। আর তাছাড়া সব ধরনের পোশাকের সঙ্গে হাত ভর্তি মেহেদী মানায় না।

বাজারে এখন অনেক ধরনের টিউব মেহেদী পাওয়া যায়। এগুলো আপনার হাতের ত্বকের জন্য কতখানি ভালো তা অবশ্য যথেষ্ট বিতর্ক রয়েছে। আদৌ এই টিউব মেহেদীগুলোতে মেহেদী থাকে কি না তা সন্দেহাতীত নয়। তার ওপর পাঁচ মিনিটে রঙ। গাছের থেকে তুলে আনা পাতা মেহেদি শুকাতে এবং রঙ ধারণ করতে অনেক সময় নেয়।

অনেকে অবশ্য সচেতনতার কথা ভেবে টিউব মেহেদী ছেড়ে কোণ মেহেদী ব্যবহার করেন। বড় বড় পার্লারগুলোতেও কোণ মেহেদী ব্যবহার করা হয়। এটির মুখ খুব ছোট করে কাটা হয় তাই মেহেদীর চিকন করে নকশা তৈরি করে, আর শুকাতেও কম সময় লাগে। রঙটাও ভালো আসে। কোণ মেহেদীর মধ্যে এখন অনেক মেয়েদের চাহিদা আলমাসের কোণ মেহেদী।

যারা পার্লার থেকে মেহেদী দিয়ে নেন তাদের এই ঝামেলা নেই। শুধু পার্লার অবধি গেলেই হলো। নামকরা পার্লারগুলো এখন তাদের নিজেদের মেহেদী ব্যবহার করেন। প্রায় সব সময়ই পার্লার থেকে হাতে মেহেদী দিয়ে নেওয়া যায় এবং তার খরচ পড়ে ৩০০ থেকে ৩০০০ টাকার মতো। নির্ভর করে আপনি কোন পার্লার থেকে মেহেদী দিবেন তার ওপর। তবে বিভিন্ন পার্লারের দামের তারতম্য ওঠা নামা করে। কোথাও দাম বেড়ে যায় আবার অনেক পার্লারে ছাড় চলে। পার্লারে গিয়ে মেহেদী লাগাতে চাইলে আপনিই বেছে নিন আপনার সাধ্যের মধ্যে সব থেকে ভালো কোন পার্লার থেকে আপনি মেহেদী দিয়ে নিবেন।

(ওএস/এসপি/জুন ১৭, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

১৮ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test