E Paper Of Daily Bangla 71
Sikdar Dental Care
Walton New
Mobile Version

ত্রিশাল থানার ওসি মনসুর আহমেদ একজন প্রকৃত জনসেবক

২০২৫ ফেব্রুয়ারি ১০ ১৮:৪৫:৫৫
ত্রিশাল থানার ওসি মনসুর আহমেদ একজন প্রকৃত জনসেবক

নীহার রঞ্জন কুন্ডু, ময়মনসিংহ : তরুণ প্রজন্মের অগ্রগতির অন্তরায় মাদক। মাদকের ছোবলে তরুণ যুবসমাজ যেভাবে অপরাধের দিকে ধাবিত হচ্ছে, তা অত্যন্ত ভয়াবহ। মাদকাসক্তের সংখ্যা বিবেচনায় বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বে সপ্তম। শিশু-কিশোর-যুবা-বৃদ্ধা-নারী-পুরুষ-নির্বিশেষে মাদকের ভয়াল থাবার শিকারে পরিণত হচ্ছে প্রতিনিয়ত। আর এই মাদকের ভয়াবহতা উপলব্ধি করে মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করেছেন ময়মনসিংহের ত্রিশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনসুর আহমেদ।

গত আগষ্টের পট পরিবর্তনের পর তিন গত ২৩ সেপ্টেম্বর ২৪ তারিখে ত্রিশাল থানায় যোগদানের এলাকায় স্মাজ বিরোধী/মাদক ব্যাবসায়ী/চাঁদাবাজ গা ঢাকা দেয়। এবং এর পর থেকে পাল্টে গেছে ত্রিশাল উপজেলার চিত্র। কমেছে সন্ত্রাস, অস্ত্রের ঝনঝনানি, মাদক, জুয়া, চাঁদাবাজি, ছিনতাই, বাল্যবিবাহ, কিশোর অপরাধসহ নানা ধরনের অপরাধ। বেড়েছে সেবার মান। সেইসঙ্গে পুলিশের প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থাও বেড়েছে। বিশেষ করে মাদকের উপর জেহাদ ঘোষণা করেছেন ত্রিশাল থানা। মাদকবিরোধী অভিযানের সঙ্গে বেড়েছে মাদকদ্রব্য উদ্ধার, ওয়ারেনভুক্ত আসামি গ্রেপ্তার ও মামলার সংখ্যা। অভিযানের কারণে গা ঢাকা দিয়েছে চিহ্নিত মাদক কারবারি ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নেতাকর্মী। অনেকে এরই মধ্যে গ্রেপ্তার হয়েছে। কারবারিরা নতুন কৌশলে মাদকদ্রব্যের কারবার শুরু করলেও কঠোর নজরদারিতে তা ধরা পড়ছে থানা পুলিশের কাছে।

জানা যায়, ত্রিশাল উপজেলার মূল সমস্যা মাদক। স্থানীয় প্রশাসন, এলাকার গণমান্য ব্যক্তি, সাধারণ বাসিন্দাসহ সবাই অতিষ্ঠ এই মাদকে। সবাই একবাক্যে বলতেন, মাদক নিয়ন্ত্রণই বড় চ্যালেঞ্জ। তবে সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করছেন ওসি মনসুর আহমেদ। উপজেলার বৈলর ইউনিয়নে দিনের আলোয় বিক্রি হতো মাদক। বিশেষ করে ইয়াবার বিস্তার বেশি এসব এলাকায়। তবে ওসি মনসুর আহমেদ যোগদানের পর থেকে কমতে শুরু করেছে মাদকব্যাবসায়ী।

আমিরাবাড়ী এলাকার রুবেল মিয়া জানান, আমি শুনেছি ওসি সাহেব মাদক ও জুয়া নির্মূলে শক্ত অবস্থানে রয়েছে। আমরাও এমন পুলিশেই চাই। ত্রিশাল পৌরসভাসহ উপজেলার বাবুপুর দিনের বেলায়ও মাদক বিক্রি হতো। মাদকসেবীদের জন্য সন্ধ্যার পর এর আশপাশের রাস্তা দিয়ে চলাচল করতেও ছিল ভয়। তবে তা এখন অনেকটা কমে এসেছে।

ওসি মনসুর বলেন, মাদক ব্যাবসায়ী দের ধরলে দালাল হাজির হয়, এখন থেকে দালালদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মাদকের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে মামলা হবে । আগের তুলনায় থানা পুলিশ কঠোর অবস্থানে রয়েছে। তিনি আরও বলেন, মাদক ও জুয়া বন্ধে আরও কঠোর হতে হবে।

ওসি মনসুর আহমেদ বলেন, ‘আমার প্রধান চ্যালেঞ্জ মাদক ব্যবসা বন্ধ ও মাদকমুক্ত ত্রিশাল উপহার দেয়া। বলতে পারেন মাদকের বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষণা করেছি। এতে ত্রিশাল অনেকেই ক্ষুব্ধ। তবে আমি বদ্ধপরিকর। মাদক নিয়ন্ত্রণে আমি নিয়মিত অভিযান চালিয়ে যাচ্ছি। নিজে অভিযানে যাচ্ছি। যেখান থেকেই অভিযোগ আসছে, সময়ক্ষেপন না করে সেখানেই অপারেশন চালাচ্ছি।

তিনি বলেন, এখানে মাদকের অনেকগুলো স্পট রয়েছে। প্রভাবশালীদের ছত্রছায়াতেই মূলত মাদক ব্যবসা হতো। নারী মাদক ব্যবসায়ীও এতে সক্রীয়-জেলা পুলিশ সুপারের সঠিক দিক নির্দেশনায় ত্রিশাল থানা পুলিশ মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স।’

(এনআরকে/এসপি/ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২৫)

পাঠকের মতামত:

৩১ জুলাই ২০২৫

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test