E Paper Of Daily Bangla 71
Sikdar Dental Care
Walton New
Mobile Version

শিশুর চোখের বিপদ বাড়াচ্ছে স্মার্টফোন

২০২৫ জুন ১৭ ১৪:৩৬:৪৭
শিশুর চোখের বিপদ বাড়াচ্ছে স্মার্টফোন

নিউজ ডেস্ক : স্মার্টফোন অতিরিক্ত ব্যবহারের কারণে বেশিরভাগ শিশুই চশমা পরছে। মহামারি পরিস্থিতিতে এ সমস্যা আরও বাড়ছে।

অনেক সময় অভিভাবকরাও শিশুকে স্মার্টফোন কিনে দেন।

চিকিৎসকরা বলছেন, করোনা পরিস্থিতিতে শিশুরা চোখের রোগে আক্রান্ত হয়েছে। স্কুল-কলেজগুলোতে অনলাইনে পড়াশুনার কারণে শিশুদের মধ্যে এ সমস্যা প্রকট আকারে দেখা দিচ্ছে।

ডানকুনির দৃষ্টিদীপ আই ইনস্টিটিউটের কর্ণধার, চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞ তনুশ্রী চক্রবর্তী জানান, শিশুদের মাইনাস পাওয়ার আগেও ছিল। কম্পিউটার বা স্মার্টফোন সবই কাছ থেকে দেখতে হয়। দূরের জিনিস দেখার প্রয়োজন পড়ছে না। ফলে দূরের জিনিস দেখার অনভ্যাসে মাইনাস পাওয়ারের প্রবণতা আরও বাড়ছে।

তিনি বলেন, বাচ্চাদের চোখে জ্বালা, পানি পড়া বা তা শুকিয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা আগে ছিল না। এখন হয়েছে। আগে দিনে তিন-চারজন এমন রোগী দেখতাম। এখন তা বেড়ে হয়েছে সাত থেকে আট।

চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, ক্লাসে বাচ্চারা ব্ল্যাকবোর্ডের লেখা দেখতে না পেলে শিক্ষককে জানাত। ফলে চোখে সমস্যা হলে শুরুতেই ধরা পড়ত। এখন বাবা-মা সন্তানদের ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাচ্ছেন চোখের সমস্যা অনেকটা বেড়ে যাওয়ার পরে।

তনুশ্রী চক্রবর্তী বলেন, অন্তত দু’ঘণ্টা বাচ্চাদের বাইরে খেলতে দিতে হবে। এতে তাদের চোখের মাইনাস পাওয়ার বৃদ্ধির হার হ্রাস পাবে।

কম্পিউটারের ব্যবহার কমানো, চোখে পানির ঝাপটা দেওয়া ইত্যাদির ওপরেও জোর দিয়েছেন তিনি।

কথায় কথায় বাচ্চাদের হাতে মোবাইল তুলে দেওয়া চলবে না। চোখের রোগ এড়াতে চার থেকে ছয় বছরের বাচ্চাদের বছরে একবার চক্ষু পরীক্ষা করা জরুরি পরামর্শ চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞ তনুশ্রীর।

সুশ্রুতের চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞ রতীশচন্দ্র পাল জানান, স্কুলে আগে সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে চোখ পরীক্ষা করা হত। করোনায় তা বন্ধ। শিশুরা অনেকটা সময় কাটাচ্ছে কম্পিউটার, ল্যাপটপ বা মোবাইলের সঙ্গে। ফলে তাদের ‘কম্পিউটার ভিসন সিনড্রোম’ দেখা দিচ্ছে।

রতীশ বলেন, আগে ১০০ জন রোগীর মধ্যে তিন-চার জনের মধ্যে এটা পাওয়া যেত। এখন এই রোগ ৫০ শতাংশেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে।

চক্ষু চিকিৎসক সৌভিক বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, কম্পিউটার, মোবাইল, ল্যাপটপ দেখতে হয় কাছ থেকে। তাতে বেশি জোর পড়ায় চোখের সিলিয়ারি মাসল দুর্বল হয়ে যায়। অনলাইন-পাঠে ওই মাসলকে খাটতে হচ্ছে বেশি। ফলে ঝাপসা দেখা, মাথায়-চোখে ব্যথা, বমি ভাবের সমস্যা দেখা দিচ্ছে ছোটদের।

তিনি জানান, দু’টি ক্লাসের মধ্যে বিরতি বাড়ানো, সকালে-দুপুরে-রাতে দু’টি ক্লাসের ব্যবস্থা করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু স্কুলে তা মানছে না।

(ওএস/এএস/জুন ১৭, ২০২৫)

পাঠকের মতামত:

৩০ জুলাই ২০২৫

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test