E Paper Of Daily Bangla 71
Sikdar Dental Care
Walton New
Mobile Version

শীতকালীন যে সবজি ওজন কমাতে সাহায্য করে

২০২৫ ডিসেম্বর ০৫ ১৪:১৫:১১
শীতকালীন যে সবজি ওজন কমাতে সাহায্য করে

নিউজ ডেস্ক : অনেকেই মনে করেন, শীতকালে ওজন কমানো কঠিন। কারণ এই সময় দাওয়াত, বিয়ে, পিকনিক-একটার পর একটা অনুষ্ঠান চলতেই থাকে। প্রায়ই বাইরে বেশি খাওয়া হয়, কিন্তু শরীর সেই ক্যালোরি খরচ করতে পারে না। আলসেমি কারণের ব্যায়ামও ঠিকমতো করা হয় না। শীতে শরীরে পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি পাওয়া যায় না এবং মেটাবলিজমও ধীর হয়ে যায়। এসব কারণে ওজন বেড়ে যায়।

তবুও শীতে চাইলে ওজন কমানো সম্ভব। অতিরিক্ত ওজন নানা রোগের কারণ হতে পারে, তাই যত দ্রুত সম্ভব নিয়ন্ত্রণে আনা দরকার। এজন্য বাইরে খাওয়া কমিয়ে, বাড়ির তৈরি সবজিভিত্তিক খাবার বেশি খেতে হবে।

ফুলকপি
ফুলকপি শীতের সবচেয়ে জনপ্রিয় সবজিগুলোর একটি। এই সবজি শুধু স্বাদেই ভালো নয়, ওজন কমাতেও কার্যকর। কারণ ফুলকপিতে থাকে প্রায় ৮৫ শতাংশ পানি এবং খুব কম পরিমাণ কার্বোহাইড্রেট, ফ্যাট ও প্রোটিন। কম ক্যালোরির এই সবজিতে রয়েছে ভিটামিন–এ, সি, ক্যালসিয়াম, মিনারেল, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও নানা ফাইটোকেমিক্যাল। যা অতিরিক্ত রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। যাদের ডায়াবেটিস বা উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা আছে, তারা নিয়মিত খাদ্যতালিকায় ফুলকপি রাখতে পারেন এই সবজি শরীরের বাড়তি মেদ কমিয়ে গঠন সুন্দর করতে সহায়তা করে। প্রতিদিনের পাতে ফুলকপি রাখলে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা আরও সহজ হয়ে যায়।

মিষ্টি আলু
নিয়মিত ব্রেকফাস্টে মিষ্টি আলু সেদ্ধ খেতে পারেন। সেদ্ধ মিষ্টি আলু খেলে বিপাক হার বাড়ে এবং ওজন কমাতে সাহায্য করে। এতে রয়েছে ভিটামিন-এ, ভিটামিন-সি, ফাইবার ও স্বাস্থ্যকর কার্বোহাইড্রেট, যা শরীরকে শক্তি দেয় এবং দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখে।

মিষ্টি আলু রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণেও সহায়ক। তাই ডায়াবেটিসের রোগীরাও এটি নিশ্চিন্তে খেতে পারেন। নিয়মিত মিষ্টি আলু খেলে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা আরও সহজ হয়ে যায়।

পালংশাক
পালংশাক পুষ্টিগুণে ভরপুর, তাই একে সুপারফুডও বলা হয়। এতে রয়েছে প্রচুর আয়রন ও ক্লোরোফিল, যা পেটের চর্বি দ্রুত কমাতে সাহায্য করে। স্মুদি, স্যুপ বা চচ্চড়ি-যে কোনোভাবেই পালংশাক খাওয়া যায় এবং প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রাখা সহজ।

এই শাক অন্ত্রে জমে থাকা মল সহজে বের হতে সাহায্য করে, ফলে হজমশক্তি বাড়ে। এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান ক্যানসার প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে। কোষ্ঠকাঠিন্যে ভোগা মানুষের জন্যও পালংশাক খুব উপকারী।

শিম
শিমে আছে প্রচুর আঁশযুক্ত স্টার্চ, ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম এবং উদ্ভিজ্জ প্রোটিন। এসব উপাদান রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে সাহায্য করে এবং অন্ত্র পরিষ্কার রাখতে দারুণ কার্যকর। নিয়মিত শিম খেলে হজম ভালো থাকে এবং অতিরিক্ত ওজন কমাতেও সাহায্য করে।

তথ্যসূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া, হেলথলাইন

(ওএস/এএস/ডিসেম্বর ০৫, ২০২৫)

পাঠকের মতামত:

০৫ ডিসেম্বর ২০২৫

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test