E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

সময়ের যথাযথ মূল্য দেন অসীম উকিল

২০২০ জুলাই ৩০ ১৮:০৯:৫৪
সময়ের যথাযথ মূল্য দেন অসীম উকিল

সমরেন্দ্র বিশ্বশর্মা, কেন্দুয়া (নেত্রকোনা) : ছাত্রজীবনের প্রথম থেকেই নিজের কর্তব্যনিষ্ঠা সততার সঙ্গে এবং সময়মত কাজ সম্পাদন করার যে অভ্যাস গড়ে তুলেছেন, আওয়ামীলীগের সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি নেত্রকোনা-৩ আসনের এম.পি হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে এসেও এর কোন অবহেলা করছেন না। 

সকল মহলের সবার মুখে মুখে একটাই আলোচনা ফিরছে, অসীম কুমার উকিল সময়ের যথার্থ মূল্য দিয়ে নিজেকে নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন। গত সোমবার ছিল উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা। এই সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, অসীম কুমার উকিল। পূর্বনির্ধারিত সময় ছিল সকাল ১০ টা। অনেকেই ভেবেছেন, ১০ টায়তো আর তিনি আসবেন না, কারন অতীতে ১০টায় সময় নির্র্ধারন থাকলে ১২টা কিংবা ১টায় সভায় হয়েছে বা প্রধান অথিতি এসেছেন। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে অসীম কুমার উকিল উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে ১০টার ঠিক ৫ মিনিট আগে এসে উপস্থিত হলেন। সভা চলার পর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের প্রাক্তন কমান্ডার গোলাম জিলানী তার বক্তব্যে বলেছেন, অসীম কুমার উকিল সময় ও সততার যথাযথ মূল্য দেন। যখন যে সময় দেন তখন ঠিক সময়মত গিয়ে সেখানে উপস্থিত হয়।

মোজাফরপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি নেত্রকোনা জেলা যাত্রা শিল্প উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি মোঃ দিদারুল ইসলাম বলেন, বর্তমান সংসদ সদস্য সময় এবং সততার যে মূল্যায়ন করেন, তা অতীতে কোনদিন আমরা দেখিনি। তার সময় ও সততার মূল্যায়ন থেকে আওয়ামীলীগ সহ বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের অনেক কিছু শিক্ষা নেয়ার আছে।

কান্দিউড়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বলেন, সময় ও সততার দিক থেকে অসীম কুমার উকিলের পথচলা একশতে একশ। ছোট বড় অনেক নেতাই সকাল ৯/১০ টা পর্যন্ত বিছানাই ছাড়েন না। সে ক্ষেত্রে অসীম কুমার উকিল সকাল সাড়ে পাঁচটা থেকে ছয়টার মধ্যে বিছানা থেকে ওঠেন। এটি তার একটি বিশেষ বড় গুণ।

নওপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি আওয়ামীলীগ নেতা তাজুল ইসলাম তাজু আলাপচারিতায় বলেন, সকাল ৮ টার মধ্যে পায়ে হেটে কিংবা মোটরসাইকেল যোগে উপজেলা হাসপাতালে রোগীদের খোঁজ খবর নিতে ছুটে যান অসীম কুমার উকিল। ঘুরে দেখেন, প্রাথমিক বিদ্যালয় ও উচ্চ বিদ্যালয়ের হালচাল। এমনটি অতীতে আমরা হতে দেখিনি।

হুমায়ুন আহমেদের হাতে গড়া শহীদ স্মৃতি বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক মোঃ আসাদুজ্জামান বলেন, আমার বিদ্যালয়ে মোটর সাইকেলে গিয়ে একদিন সকাল সাড়ে সাতটায় উপস্থিত হন অসীম কুমার উকিল এমপি। হুমায়ুন আহমেদ স্যার তার জীবদ্দশায় বলতেন শহীদ স্মৃতি বিদ্যাপীঠ পরিদর্শনে যদি কোন এম.পি মন্ত্রী আসেন, তাহলে গাড়ির বহর না নিয়ে আসলে আমি খুব খুশি হই। ঠিক হুমায়ুন আহমেদ স্যারের ইচ্ছার সাথে তাল মিলিয়ে অসীম কুমার উকিল একটি মোটর সাইকেলে চড়ে একজন সঙ্গীকে নিয়ে গেলেন বিদ্যালয়ের সার্বিক খোঁজ খবর নিতে। তার হস্তক্ষেপে বিদ্যালয়টি এম.পিও ভূক্তি হয়েছে ২০ বছর পর। এতে আমাদের সবার মুখে হাসি ফুটেছে। এমপিও ভূক্তির জন্য আমাদেরকে ১০টি টাকাও খরচ করতে হয়নি। এম.পি অসীম কুমার উকিল সততা ও সময়ের যথাযথ মূল্য দেন। যা আদর্শ হিসেবে আমরা বেছে নিতে পারি।

(ওএস/এসপি/জুলাই ৩০, ২০২০)

পাঠকের মতামত:

২৬ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test