E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

 

ডিলারের সাথে খাদ্য কর্মকর্তার বিরোধে চাল পাচ্ছে না ৫০০ ওএমএস কার্ডধারী 

২০২৪ এপ্রিল ২৬ ১৮:২২:৪৯
ডিলারের সাথে খাদ্য কর্মকর্তার বিরোধে চাল পাচ্ছে না ৫০০ ওএমএস কার্ডধারী 

বিশেষ প্রতিনিধি : ডিলার মনোয়ার হোসেনের ঘনঘন দোকান পরিবর্তনের কারণে খাদ্য কর্মকর্তার সাথে বিরোধ চাল পাচ্ছে  না ইউনিয়নের ৫শত কার্ডধারীর ডিলার মনোয়ার হোসেন মনোকে চাউলের ডিও প্রদান করা হয়নি। ফলে ওই সকল কার্ডধারী ঈদের আগে ও পরে কোন চাল পাননি। 

এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে ডিলার মনোয়ার হোসেন মনো গত ২৮ মার্চ জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এ অভিযোগের বিষয়ে বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টার সময় তদন্ত কমিটির আহবায়ক ও পাংশা উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক এ,কে,এম শাহনেওয়াজ তদন্ত করেছেন।

ডিলার মনোয়ার হোসেন বলেন, ওএমএস ডিলারদের মাধ্যমে সাশ্রয়ী মূল্যে টিসিবি কার্ডধারী পরিবারকে ওএমএসএর চাল বিক্রির জন্য গত ২১ জানুয়ারী ১৩.০১.৮২০০.০০২.৫৯.০০৫.২৩-১৪০নং স্মারকের মাধ্যমে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) শ্যাম প্রসাদ চাকমা ডিলারের অনুকূলে ওএমএসএর ৫ মেঃ টন চাল বিক্রির উপ-বরাদ্দ আদেশ প্রদান করেন। এরই ধারাবাহিকতায় গত জানুয়ারি মাসে রাজবাড়ী সদর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক তারিকুজ্জামানের কাছে ডিও আনতে যান। তিনি ঘুষ দাবি করেন। এরূপ অনৈতিক ঘুষ প্রদানে অস্বীকৃতি জানালে তার সাথে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে তিনি বলেন যে, তাকে ঘুষ প্রদান ছাড়া ওএমএসএর চাল বিক্রির সুযোগ দেওয়া হবে না। পরবর্তীতে ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসের ডিও আনতে গেলে দেখা যায় যে, ৪৬ ও ৭৭নং স্মারকের ওএমএসএর চাল বিক্রির উপ-বরাদ্দ আদেশ তার নামে কোন ডিও ইস্যু করা হয়নি।

তিনি আরও বলেন, এমনকি ৮ এপ্রিল সকাল ১০ টায় তিনি সহ আরও ৩জন অফিসে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর ট্রেজারীর চালান আনতে যান। অফিস সহকারীর নিকট ট্রেজারী চালান চাইলে তিনি জানান আপনাকে কোন চালান দেওয়া যাবে না স্যার (তারিকুজ্জামান) এর নির্দেশ আছে, বিধায় আপনাকে ট্রেজারীর চালান দিতে পারব না। তখন অফিস সহকারীকে কেন ডিও দিবেন না কি কারণে? অফিস সহকারী বলেন, স্যারের নিষেধ আছে। এর প্রেক্ষিতে পুনরায় বলি তাহলে কি আমার লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে? তিনি বলেন, আপনার লাইসেন্স বাতিল হয় নাই। তাহলে ডিও বাবদ আমার মোবাইলে কোন ম্যাসেজ দিয়েছেন কিনা এর উত্তরে অফিস সহকারী বলেন, স্যার নিষেধ করেছে। গত ফেব্রুয়ারী ও মার্চ মাসের টিসিবি'র ডিও দেন নাই কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, স্যারের নিষেধ ছিল।

ডিলার মনোয়ার হোসেন বলেন, গত ১৯ মার্চ উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক তারিকুজ্জামান ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাফায়েত হোসেন তার দোকানে যায় এবং প্রকাশ্যে হুমকি দেয় যে, অফিসের নিয়ম মেনে চলতে হবে এবং গুদাম কর্মকর্তা শাফায়েত হোসেনের বিরুদ্ধে (হাইকোর্টের মামলা নং ১৫০০৭৩১/২০২৪) দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। আর তা না করলে আপনার লাইসেন্স বাতিলের জন্য যা যা করার দরকার তাই করব। এখানে এটা স্পষ্ট যে, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক তারিকুজ্জামানকে তার চাহিদা মাফিক ঘুষ প্রদান না করায় তিনি তার ক্ষমতার অপব্যবহার করে আমার নামে উপ-বরাদ্দ আদেশ বাতিল করে ঘুষ খেয়ে অন্য জনের নামে উপ-বরাদ্দ আদেশ প্রদান করেন।

এ বিষয়ে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তার তারিকুজ্জামানের সাথে কথা হলেন তিনি বলেন, ডিলার মনোয়ার হোসেনের নামে অনেক অভিযোগ তিনি ওজনে কম দেন ৩০ কেজি দেওয়ার কথা থাকলেও তিনি দেন ২৬ কেজি। চাউল বিতরণ করার কথা গোদার বাজার তিনি দেন রাজবাড়ী পৌরসভার মধ্যে এসে। তিনি ঘনঘন দোকান চেঞ্জ করেন। আজকে মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত হবে।

তদন্ত কমিটির আহবায়ক ও পাংশা উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক এ,কে,এম শাহনেওয়াজ বলেন, ডিলারের অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত সম্পন্ন করা হয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের নিকট পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণের জন্য প্রেরণ করা হবে।

(একে/এসপি/এপ্রিল ২৬, ২০২৪)

পাঠকের মতামত:

০৬ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test