E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

শিরোনাম:

বাগেরহাটে কওমী মাদ্রাসা শিক্ষকের পিটুনিতে আহত ছাত্র হাসপাতালে

২০২১ এপ্রিল ০৪ ১৮:১২:৫০
বাগেরহাটে কওমী মাদ্রাসা শিক্ষকের পিটুনিতে আহত ছাত্র হাসপাতালে

বাগেরহাট প্রতিনিধি : বাগেরহাটের শরণখোলায় একটি কওমী মাদ্রাসা শিক্ষকের পিটুনিতে মো. তামিম (১৪) নামের ছাত্রকে আহতাবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সহপাঠীর সাথে দুষ্টুমি করার অপরাধে উপজেলার খোন্তাকাটা ইউনিয়নের নলবুনিয়া হাজি বাড়ি কওমী মাদ্রাসার শিক্ষক মুফতি আবু দাউদ রবিবার সকালে ছাত্র তামিমকে লাঠি দিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করে। আহত ওই ছাত্র মাদ্রাসা সংলগ্ন মধ্য নলবুনিয়া গ্রামের নির্মাণ শ্রমিক শামীম হাওলাদারের ছেলে। এ ব্যাপারে শরণখোলা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন তামিমের বাবা।

শরণখোলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মাদ্রাসা ছাত্র তামিম তার হাত-পা, গলাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে অসংখ্য আঘাতের চিহ্নগুলো দেখায়। প্রতিটি আঘাতে রক্ত জমাট বেধে ফোঁসকা পড়েছে। লাঠির আঘাতে তার বাম হাতের কনু আঙ্গুল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

চিকিৎসাধীন মাদ্রাসা ছাত্র তামিম জানায়, সকালে সহপাঠী রাব্বির সঙ্গে দুষ্টুমি করলে তা দাউদ হুজুরের কাছে বলে দেয়। এরপর হুজুর একটি লাঠি নিয়ে এসে তাকে পেটাতে শুরু করেন। পেটাতে পেটাতে একপর্যায় লাঠি ভেঙে যায়। কয়েকবার পা ধরে ক্ষমা চাইলেও তাতে হুজুরের মন গলেনি। আবার লাথি মেরে সরিয়ে দেন তাকে। আহত কিশোরের বাবা মো. শামীম হাওলাদার বলেন, ছাত্ররা ছাত্ররা একটু দুষ্টুমি করায় আমার ছেলেকে অমানবিক ভাবে পেটায় দাউদ হুজুর। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।

মাদ্রাসার সুপার হাফেজ মো. আল-আমীন বলেন, আমি শারীরিক ভাবে অসুস্থ। বাড়িতে অবস্থান করছিলাম। সকালে ঘটনা জানতে পারলাম দাউদ হুজুর তামিমকে শাসন করতে গিয়ে একটু অতিরঞ্জিত করে ফেলেছে। এভাবে শাসন করায় আমি হুজুরকে ধমক দিয়েছি। আমরা তামিমের অভিভাবকদের কাছে ক্ষমাও চেয়েছি।

অভিযুক্ত শিক্ষক মুফতি আবু দাউদের কাছে জানতে চাইলে বলেন, রাব্বি নামের ওই ছেলেটির হাত ভাঙা। তামিম তাকে প্রতিবন্ধী বলে টিটকারী মারে। এই অভিযোগ করার পর আমার খুব খারাপ লাগে। তখন আমার মাথা গরম হয়ে যাওয়ায় আমি কয়েকটি পিটুনি দিয়েছি। এ ঘটনার জন্য আমি অনুতপ্ত।

শরণখোলা উপজেলা হাসপাতারের চিকিৎসক ডা. আরিফুল ইসলাম রাকিব বলেন, ছেলেটির শরীরে ১৩টি আঘাতে চিহ্ন দেখা গেছে। আঘাতগুলো লালবর্ণ হয়ে গেছে। তবে, বাম হাতের কনু আঙ্গুল ভেঙেচে কি না তা এক্স-রে করার পরে জানা যাবে।

শরণখোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইদুর রহমান জানান, তামিম নামের এক মাদ্রসা ছাত্রকে পেটানোর অভিযোগ পেয়েছেন। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

(এসএকে/এসপি/এপ্রিল ০৪, ২০২১)

পাঠকের মতামত:

২৬ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test