E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

ঝালকাঠিতে বেত্রাঘাতে ৮ মাদ্রাসা শিক্ষার্থী আহত, শিক্ষক গ্রেপ্তার

২০২১ আগস্ট ০৮ ১৮:৪৫:০৭
ঝালকাঠিতে বেত্রাঘাতে ৮ মাদ্রাসা শিক্ষার্থী আহত, শিক্ষক গ্রেপ্তার

ঝালকাঠি প্রতিনিধি : ঝালকাঠিতে একটি হাফেজি মাদ্রাসায় দুষ্টামি করায় ৮ শিশু শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে আহত করে কক্ষে আটকে রাখার ঘটনা ঘটেছে। সদর উপজেলার পোনাবালিয়া গ্রামের কে.এ খান হাফেজী মাদ্রাসায় শনিবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। 

অভিযুক্ত শিক্ষককে রাতে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বিক্ষুব্দ অবিভাবক ও এলাকাবাসী অভিযুক্ত শিক্ষক হাফেজ মাওলানা মোহাম্মদ উল্লাহকে আটক করে পুলিশে দেন। এসময় মাদ্রাসা থেকে ৪ ভিকটিমকে উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় রবিবার সকালে নির্যাতনের শিকার শিশু শিক্ষার্থী মো. আমিরুল ইসলামের বাবা শামিম খলিফা বাদি হয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক মোহাম্মদ উল্লাহকে আসামী করে ঝালকাঠি থানায় শিশু আইনে মামলা করেছেন। রবিবার শিক্ষক মোহাম্মদ উল্লাহকে আদালতে হাজির করা হলে জেলা হাজতে পাঠানো হয়।

পুলিশ জানায়, করোনাকালীন সময়ে সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে কে.এ খান হাফেজী মাদ্রাসা চালু রেখে পড়াশোনা করাতো মাদ্রাসাটির শিক্ষক মোহাম্মদ উল্লাহ। শনিবার বিকেলে তিনি মাদ্রাসায় ঘুমিয়ে পড়েন। এ সময় শিক্ষার্থীরা খেলাধুলা করছিল। তাদের কথার শব্দে ওই শিক্ষকের ঘুম ভেঙে যায়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে শিক্ষক মোহাম্মদ উল্লাহ কক্ষের দরজা আটকে ৮ শিক্ষার্থীকে বেদম প্রহার করেন। শিক্ষার্থীরা কান্নাকাটি করতে থাকলে সকল শিক্ষার্থীকে কক্ষের মধ্যে আটকে রেখে বাইরে থেকে তালা ঝুলিয়ে দেন শিক্ষক। মারধরের বিষয়টি কাউকে না বলার জন্য সকল শিক্ষার্থীকে ভয়ভীতিও দেখান তিনি। পরে মো. সিয়াম (৯) নামে এক শিক্ষার্থী কৌশলে পালিয়ে পোনাবালিয়া বাজারে এসে বিষয়টি লোকজনকে জানায়। তার মাদ্রাাসা ঘেরাও করে শিক্ষক মোহাম্মদ উল্লাহকে আটক করে পুলিশে দেয়।

ঝালকাঠি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খলিলুর রহমান জানান, শিশুশিক্ষার্থীদের নির্যাতনের অভিযোগে শিশু আইনে একটি মামলা করেছেন নির্যাতনের একজন অভিভাবক। আসামীকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

(এস/এসপি/আগস্ট ০৮, ২০২১)

পাঠকের মতামত:

২৬ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test