E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

বকশীগঞ্জে ওয়ার্ড আ.লীগের সভাপতি প্রার্থী চুরিসহ একাধিক মামলার আসামী

২০২২ অক্টোবর ২৫ ১৯:১২:১৮
বকশীগঞ্জে ওয়ার্ড আ.লীগের সভাপতি প্রার্থী চুরিসহ একাধিক মামলার আসামী

বকশীগঞ্জ প্রতিনিধি : জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলায় চুরিসহ বিভিন্ন মামলার আসামী ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রার্থী। এই ঘটনায় এলাকায় নানা গুঞ্জন শুরু হয়েছে। এলাকায় মামলাবাজ ও দাঙ্গাবাজ হিসেবে পরিচিত কোন মানুষ ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের নেতৃত্বে আসতে না পারে সেই দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। ঘটনাটি উপজেলার নিলাক্ষিয়া ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডে। সালেহ আহম্মেদ ময়না ওই ওয়ার্ডে সভাপতি প্রার্থী। তার বিরুদ্ধে চুরিসহ একাধিক অভিযোগ ও মামলা রয়েছে।

অভিযোগে জানা যায়, বকশীগঞ্জ উপজেলার নিলাক্ষিয়া পোড়াবাড়ি গ্রামের মৃত ছালাম মাষ্টারের ছেলে সালেহ আহম্মেদ ময়না মোবাইল চুরির মামলায় বেশ কয়েকদিন জেল হাজতে ছিলেন । তিনি আসন্ন সম্মেলনে ৪নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি প্রার্থী হয়েছেন। মোবাইল চুরিসহ তার বিরুদ্ধে নানা অপকর্মের অভিযোগ রয়েছে। এলাকায় তার বিরুদ্ধে একাধিকবার মানববন্ধন, বিক্ষোভ ও সংবাদ সম্মেলন হয়েছে।

গত ১৪ আগস্ট ২০১৯ সালে সুপ্রীম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি মির্জা হোসেন হায়দারের বসতবাড়িতে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। এই ঘটনার নেতৃত্বে ছিলেন সালেহ আহম্মেদ ময়না। একই দিনে সালেহ আহম্মেদ ময়নাসহ নামীয় ৩ জন ও অজ্ঞাতনামা ৫/৬ জনের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার আইনে মামলা হয়। বিচারপতির ভাই হাবিবুর রহমান বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। গ্রেফতার এড়াতে ঘা ঢাকা দেয় আসামীরা। এলাকাবাসী তাদেরকে অবাঞ্চিত ঘোষনা করে। পরে মুচলেকা দিয়ে গ্রামে আসে সালেহ আহম্মেদ ময়নাসহ আসামীরা। গ্রামে এসেই আবারো নানা অপকর্মে জড়িয়ে পড়ে। বিচারপতির বসতবাড়িতে হামলার ঘটনায় মামলায় স্বাক্ষী হন ইউপি সদস্য আবদুর রহমান মুন্সী। স্বাক্ষী হওয়ার কারনে তাকে প্রানে মেরে ফেলার হুমকি দেয় সালেহ আহম্মেদ ময়না। এই ঘটনায় আবদুর রহমান মুন্সী বকশীগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়রী করেন। যাহার নং-২৯৫,তারিখ ০৭.০৯.২০১৯। মুঠোফোনে একই এলাকার গোলাম হোসেনের ছেলে ময়না মিয়াকে প্রাণনাশের হুমকি দেয় সভাপতি প্রার্থী সালেহ আহম্মেদ ময়না। এতে ময়না মিয়া বকশীগঞ্জ থানায় সালেহ আহম্মেদ ময়নার বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়রী করেন। যাহার নং-৫৯৪,তারিখ ১৪.০৯.২০১৯।

একই অভিযোগে আবুল কাশেমের ছেলে সিদ্দিক মিয়াও সালেহ আহম্মেদ ময়নার বিরুদ্ধে বকশীগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়রী করেন। যাহার নং ৫৯৪, তারিখ ১৪.০৯.২০১৯। হিরু বেপারির ছেলে মোজাম্মেল হককে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে হুমকির অভিযোগেও সাধারণ ডায়রী করা বকশীগঞ্জ থানায়। যাহার নং ১০৪০, তারিখ ২৪.০৯.২০১৯। প্রাণ নাশের হুমকি দেওয়ায় জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে একই এলাকার আলহাজ্ব লিয়াকত আলীর ছেলে কবির হোসেন থানায় সাধারণ ডায়রী করেন। যাহার নং-২০৩৯,তারিখ-৩১.০৮.২০১৯। একই দিনে সালেহ আহম্মেদ ময়নার বিরুদ্ধে আরেকটি সাধারণ ডায়রী করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মজিবর রহমানের ছেলে শাহিন মিয়া। যাহার নং-২০৪০। এছাড়া চাকুরীর প্রলোভন, সরকারি ঘর বরাদ্ধ, সোলার বিতরন, বয়স্ক ভাতা ও বিধবা ভাতার কার্ড দেওয়ার কথা বলে প্রায় অর্ধকোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে সালেহ আহম্মেদ ময়নার বিরুদ্ধে।

স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীরা জানান, সালেহ আহম্মেদ ময়না এলাকায় এক আতঙ্কের নাম। তিনি চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত। এছাড়াও একাধিক মামলার আসামী সালেহ আহম্মেদ ময়না। তিনি সভাপতি প্রার্থী হওয়ায় স্থানীয় আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

এ বিষয়ে সালেহ আহম্মেদ ময়না বলেন, আমার বিরুদ্ধে যত অভিযোগ সব মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। একটি মহল আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে।

(এসপি/এসপি/অক্টোবর ২৫, ২০২২)

পাঠকের মতামত:

০৫ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test