E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

শিরোনাম:

ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসীর হৃদয় জয় করে গেলেন আগরতলার গুণী শিল্পীরা

২০২৩ ফেব্রুয়ারি ২৭ ১৬:৫৯:১০
ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসীর হৃদয় জয় করে গেলেন আগরতলার গুণী শিল্পীরা

গৌরাঙ্গ দেবনাথ অপু, ব্রাহ্মণবাড়িয়া : ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে প্রকাশিত তিতাস বার্তা (ম্যাগাজিন) পত্রিকার ১৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত এক জমকালো অনু্ষ্ঠানে এসে মনোমুগ্ধকর গান, কবিতা ও নৃত্য পরিবেশন করে বাংলাদেশেন সাংস্কৃতিক রাজধানী খ্যাত ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসীর হৃদয় জয় করে গেলেন আগরতলার গুণী শিল্পীরা।

গত ২৫ ফেব্রুয়ারি শনিবার রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদরের শহীদ ধীরেন্দ্র নাথ দত্ত ভাষা চত্বরে বিপুল সংখ্যক দর্শকের উপস্থিতিতে ওই বর্ষপূর্তির ওই জমকালো অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে আগরতলার পাঠক নন্দিত দৈনিক স্যন্দন পত্রিকার সম্পাদক, প্রবীণ সাংবাদিক সুবল কুমার দে সহ বাংলাদেশ ও ভারতের মোট ১২ জন বিশিষ্ট নাগরিককে 'গুণীজন সম্মাননা' পদকও প্রদান করা হয়।

প্রথম পর্বে নান্দনিক ও দৃষ্টিনন্দন উপস্থাপনায় দুই দেশের ১২ জন গুণীজনকে সম্মাননা পদক দেয়ার পর দ্বিতীয় পর্বের মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ভারতের আগরতলা থেকে আগত শিল্পীদের গান, কবিতা ও নৃত্য পরিবেশনা ছিলো চমৎকার, মনোমুগ্ধকর।

সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের শুরুতেই আগরতলার বিশিষ্ট কণ্ঠশিল্পী অমর ঘোষ মঞ্চে এসে ভাষা শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে একটি সাড়া জাগানো দেশের গান পরিবেশন করেন। এরপর তিনি বাংলাদেশের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজুবুর রহমানকে নিয়ে তাঁর দ্বিতীয় গানটি গেয়ে শোনান। সুরেলা কণ্ঠের অধিকারী অমর ঘোষের দুটি গান উপস্থিত দর্শকেরা মন্ত্রমুগ্ধের মতো উপভোগ করেন। এরপরই মঞ্চে আসেন আগরতলার আরেকজন সুপরিচিত কণ্ঠশিল্পী স্বর্নিমা দেব রায়। তিনিও মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে পরপর দুটি গান পরিবেশন করেন। তাঁর গান শেষে মঞ্চে আসেন আগরতলার মিষ্টি কণ্ঠের অধিকারী জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী ইনশা আক্তার।

ইনশা প্রথমেই লতাজীর একটি বহুল জনপ্রিয় গান পরিবেশন করেন। এরপর তিনি বাংলাদেশের মানুষের মুখে মুখে উচ্চারিত 'তাকধুম তাকধুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল' এই জনপ্রিয় গানটি গেয়ে দর্শকদের মাতিয়ে তুলেন। এরপর মঞ্চে ওঠেন আগরতলার মুক্তিযুদ্ধ গবেষক ও বিশিষ্ট বাচিকশিল্পী ড. মুজাহিদ রহমান। তিনিও তবলার সঙ্গে এক ব্যতিক্রমী উপস্থাপনায় কাজী নজরুল ইসলামের কবিতা থেকে কয়েক'শ চরণের একটি নাতিদীর্ঘ কবিতা আবৃত্তি করে রীতিমত দর্শকদের চমক দেখান। এরপর একে একে শ্যামল কান্তি দে, গৌরাঙ্গ চন্দ্র দেবনাথ, বিশ্বজিৎ রায় চৌধুরী, অর্পিতা দাস ও স্বেতা দেব রায় কবিতা আবৃত্তি করেন। এরপর আগরতলা থেকে আগ নৃত্যশিল্পী কুশল কান্তি দেব, সাগরিমা দে ও শ্যামলিমা দে পরপর কয়েকটি অসাধারণ নৃত্য পরিবেশন করে উপস্থিত দর্শকদের হৃদয় জয় করেন। এরপর দর্শকদের অনুরোধে সবশেষে স্থানীয় জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী পৃথ্বী পালের পরপর তিনটি গান পরিবেশন করেন।

এদিকে ভারতীয় সাংস্কৃতিক দলটির গান ও নৃত্য পরিবেশনার সময় যন্ত্রসঙ্গীতে সহযোগিতা করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার চারজন গুণী যন্ত্রশিল্পী। এঁরা হলেন আবদুর রাহিম (কিবোর্ড), সুদীপ্ত সাহা মিঠু (তবলা), প্রশান্ত সাহা (অক্টোপ্যাড) ও অভিজিৎ সাহা (লিড গীটার)।

ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের পৃষ্ঠপোষকতা ও সার্বিক সহযোগীতায় প্রায় সাড়ে চার ঘন্টা ধরে চলা দুই পর্বের জমকালো বর্ষপূর্তির এ নান্দনিক অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনায় ছিলেন নবীনগরের কথার সম্পাদক, বাচিক শিল্পী গৌরাঙ্গ দেবনাথ অপু ও বাচিক শিল্পী ইসরাত জাহান তমা।

(জিডি/এসপি/ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২৩)

পাঠকের মতামত:

২৬ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test