E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

গৃহবধূকে হত্যার পর আগুনে পুড়ে মরার অপপ্রচার, স্বামীসহ গ্রেফতার ২

২০২৩ জুলাই ২৮ ১৮:১০:১০
গৃহবধূকে হত্যার পর আগুনে পুড়ে মরার অপপ্রচার, স্বামীসহ গ্রেফতার ২

কেন্দুয়া প্রতিনিধি : গৃহবধূ শাপলা আক্তারকে (২৮) পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার পর স্বামী ও তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা শাপলার বিছানায় ও মৃতদেহে আগুন ধরিয়ে দিয়ে পুড়ে মারা গেছে বলে অপ-প্রচার চালাতে থাকে শাপলার স্বামী ও তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা।
চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার রাতে কোন একসময় নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার মোজাফরপুর ইউনিয়নের পূর্ব মোজাফরপুর গ্রামে মৃত মদ্রিছ ভূঞার বাড়িতে। খবর পেয়ে পুলিশ শুক্রবার সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে শাপলা আক্তারের লাশ উদ্ধার করে সুরত হাল রিপোর্ট তৈরির পর ময়না তদন্তের জন্য নেত্রকোনা অধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ এসময় শাপলার স্বামী মুকলাত হোসেন ও তার ভাই মোজাহিদ হোসেনকে গ্রেফতার করে।

জানা যায়, কেন্দুয়া উপজেলার মাসকা ইউনিয়নের কৃর্তনকলা গ্রামের মতি মিয়ার কন্যা শাপলা আক্তারের সাথে প্রায় আট মাস আগে রেজিষ্ট্রি কাবিনমূলে বিয়ে হয় একেই উপজেলার মোজাফরপুর গ্রামের মদ্রিছ মিয়ার দ্বিতীয় ছেলে মুকলাত হোসেনের। বিয়ের পর স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক ভালোই চলছিল শাপলা আক্তারের ভাই শফিকুল জানান শোনেছি কোরবানি ঈদের আগে আমার বোন শাপলা আক্তারের দুই ভরি ওজনের স্বর্ণের গহনা চুরি হয়। গহনাগুলি আমার ভগ্নিপতির ভাগ্নে চুরি করে নিয়ে যায় বলে আলোচনা হচ্ছিল। এ নিয়েই আমার বোন শাপলার সাথে ভগ্নিপতি ও তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের মধ্যে দ্বন্দ শুরু হয়। ঈদের পর আমার বোন শাপলা আক্তারকে আমাদের বাড়িতে পর্যন্ত আসতে দেয় নাই। আজ শুক্রবার সকাল অনুমান ৭ টার দিকে আমার ভগ্নিপতি মুকলাত আমাকে ফোন করে জানান আমার বোন খুব অসুস্থ। আমি তাদের বাড়িতে যাওয়ার পর আমার বোনকে দেখতে দিচ্ছিলনা তারা পরে পুলিশের সহায়তায় আমার বোনকে গিয়ে দেখি মাথা থেকে মগজ বের হয়ে গেছে। আমার বোনকে তারা হত্যা করেছে। আঘাতের কারণে মাথার মগজ বের হয়ে গেছে ঘরের বিভিন্ন স্থানে রক্তের দাগ লেগে আছে। শফিকুলের দাবি আমার বোনকে হত্যার পর তার বিছানা ও মৃতদেহে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং আগুনে পুড়ে মারা গেছে বলে অপপ্রচার চালাতে থাকে। দেখে আমি আমার ভগ্নিপতিসহ অন্যান্যদের গ্রেফতারের দাবি জানালে তারা উত্তেজিত হয়ে আমায় বেধড়ক মারপিট করে। গৃহবধূ খুনের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন নেত্রকোনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হারুন অর রশিদ ও কেন্দুয়া থানার ওসি মো: আলী হোসেন পিপিএম।

কেন্দুয়া থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) দেবাশীষ দত্ত জানান রাতের যেকোনো সময় শাপলার উপর গুরুতর আঘাত করা হয়। আমরা লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নেত্রকোনা অধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। শাপলার বাবা মতি মিয়া ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা শাপলার খুনিদের অবিলম্বে গ্রেফতারের পর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানায়।

(এসবি/এসপি/জুলাই ২৮, ২০২৩)

পাঠকের মতামত:

০৬ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test