E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

ওয়ার্ড বয় যখন এ্যাম্বুলেন্স চালক

২০২৪ ফেব্রুয়ারি ২৮ ১৭:২৮:১৭
ওয়ার্ড বয় যখন এ্যাম্বুলেন্স চালক

শেখ ইমন, শৈলকুপা : আউটসোর্সিংয়ে ওয়ার্ড বয় হিসেবে নিয়োগ, তবে সেদিকের কোন দায়িত্ব পালন করতে হয়না তাকে। অদৃশ্য শক্তিতে বনে গেছেন এ্যাম্বুলেন্স চালক। যে দায়িত্বে তিনি নিয়োগ পেয়েছেন সে দায়িত্বের ধারেকাছেও যাননি কোনদিন। রয়েছে নিয়মের বেশি টাকা ভাড়া নেওয়ার অভিযোগও।  তবে জেলা সিভিল সার্জন বলছেন,সরকারীভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত এ্যাম্বুলেন্স চালক না থাকায় ওয়ার্ডবয় দিয়ে এ্যাম্বুলেন্স চালানো হচ্ছে। ঘটনাটি ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে।

জানা যায়, শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগীদের সেবা নিশ্চিত করতে পুরাতন অ্যাম্বুলেন্সের পাশাপাশি নতুন একটি এাম্বুলেন্স যুক্ত হয়েছে। তবে সরকারীভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত কোন এ্যাম্বুলেন্স চালক নেই। এ্যাম্বুলেন্স চালাচ্ছেন আউটসোর্সিংয়ে নিয়োগপ্রাপ্ত ওয়ার্ডবয় লিটন মিয়া। করোনাকালীন সময়ে হাসপাতালের ড্রাইভার সহ অন্যরা যখন ভয়ে গাড়ি চালানো ছেড়ে দেয় তখন স্বপন নামের এক যুবক হাসপাতালের করোনা রোগী বহনের জন্য এগিয়ে আসনে এবং সরকারী এ্যাস্বুলেন্স চালানোর দায়িত্ব পালন করেন। এতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ খুশী হয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্যের মাধ্যমে খন্ডকালীন নিয়োগ পান এ্যম্বুলেন্স চালক হিসাবে। তবে তার সেই দায়িত্বে টিকতে পারেননি বেশীদিন। হাসপাতালটিতে নিয়োগ প্রাপ্ত দুর্ণীতিবাজ এ্যাম্বুলেন্স চালক বকুল হোসেন ও তার ছেলে লিটন মিয়া সহ পরিবারের হাতে যেন জিম্মি হাসপাতালের এ্যাম্বুলেন্স খাত । বকুল সহ তার পরিবারের সদস্যরা এর আগে হাসপাতালের বেড পর্যন্ত নিজের বাড়ি নিয়ে যায় ও বিক্রি করে দেয়। এছাড়া রোগীদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ ও জোরপূর্বক অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করার দায়ে তদন্ত হয় ও বদলী করা হয়। তবে ঘুরে-ফিরে ঐ পরিবারের সদস্যদের হাতেই রয়েছে জনগুরুত্বপূর্ণ সেবাখাতের এই এ্যাম্বুলেন্স চালানোর দায়িত্ব। বকুল পরিবারের সদস্য ওয়ার্ডবয় লিটন মিয়াকে দিয়েই গাড়ি চালানো হচ্ছে।

এব্যাপারে লিটন মিয়ার বক্তব্য নিতে তার ব্যবহৃত মোবাইলে কল দিলে সে ব্যস্ত আছেন এবং পরে কথা বলবেন বলে কল কেটে দেন।

শৈলকুপা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মাহফ’জা খাতুনের কাছে পরপর দুইদিন একাধিকবার কল দিলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।

তবে কথা হয় জেলা সিভিল সার্জন শুভ্রা রাণীর সাথে। তিনি বলেন, সরকারীভাবে কোন এ্যাম্বুলেন্স চালক নিয়োগ না থাকায় তাকে দিয়ে আপাতত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা হচ্ছে। অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ার অভিযোগের ব্যাপারে বলেন, যাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া নিয়েছে তারা লিখিত অভিযোগ দিলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

(এসআই/এসপি/ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২৪)

পাঠকের মতামত:

২৮ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test