E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

হাসপাতালের নির্মাণ সামগ্রী বিক্রি করে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ স্বাস্থ্য কর্মকর্তা উম্মনের বিরুদ্ধে

২০২৪ এপ্রিল ২৭ ১৯:০৬:২৬
হাসপাতালের নির্মাণ সামগ্রী বিক্রি করে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ স্বাস্থ্য কর্মকর্তা উম্মনের বিরুদ্ধে

বিশেষ প্রতিনিধি : সরকারী নিয়ম-নীতি ও প্রাতিষ্ঠানিক বিধি-বিধানের তোয়াক্কা না করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নির্মাণ কাজে বেঁচে যাওয়া রড, অ্যালুমিনিয়াম থাই ও অক্সিজেন সিলিন্ডার বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে কালুখালী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ ইসরাত জাহান উম্মন এর বিরুদ্ধে।

ঘটনাটি ঘটেছে ২৬শে এপ্রিল (শুক্রবার) আনুমানিক বিকাল ৪ ঘটিকার সময় রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে।

নির্মাণ কাজে বেঁচে যাওয়া রড, অ্যালুমিনিয়াম থাই ও অক্সিজেন সিলিন্ডার ক্রয় করেন তফাদিয়া গ্রামের মৃত মোহাম্মদ মনতাজ আলী শেখের ছেলে রমজান আলী শেখ। ক্রয় কৃত এ মালামাল কালুখালী রেল স্টেশনের পাশে লিটন ভাঙরি দোকানে মজুদ রেখেছেন।

জানাযায়, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর ভবন সম্প্রসারণের কাজে বেঁচে যাওয়া আনুমানিক ২ টনের মত রড ও প্রায় শত কেজি এলুমিনিয়াম থাই বেঁচে যায়! বেঁচে যাওয়া এসব নির্মাণ সামগ্রী ও অক্সিজেন সিলিন্ডার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ব্যবস্থাপনা কমিটির বিনা অনুমতি ও সরকারী নিয়ম- নীতি অনুসারে স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকায় উন্মুক্ত দরপত্র আহ্বান ছাড়া এবং কী বিনা নিলামে বিক্রয় করে কয়েক লক্ষাধিক টাকা আত্মসাৎ এর ঘটনা ঘটেছে। যা রড ৫৪ টাকা কেজি দরে ও এলুমিনিয়াম থাই ১৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রয় করেন!

আরও জানাযায়, কালুখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ফার্মাসিস্ট আখতারুজ্জামান এর মাধ্যমে ক্রয় বিক্রয় ও লেনদেন হয়! আখতারুজ্জামান ভাঙ্গারি কেতা রমজান আলীকে ফোন করে হাসপাতালে ডেকে নিয়ে যান। এরপর, তার সঙ্গে দরদাম চূড়ান্ত করে বেঁচে যাওয়া নির্মাণ সামগ্রী ও গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রয় করে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার সঙ্গে ভাগাভাগি করে অর্থ আত্মসাৎ করেছেন!

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক কর্মচারী নাম প্রকাশ না করা সত্তে জানান, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার সাথে আঁতাত করে হাসপাতালের নানা সরঞ্জামাদি ও ঔষধ এভাবে বিক্রয় ও নানা অনিয়ম করে থাকেন এই আক্তারুজ্জামান।

ভাঙ্গরি ক্রেতা রমজান আলী জানান, আমাকে আক্তার ফোন করে ডেকে নিয়ে যায়। তারপর এই ভাংরি মালামাল দেখিয়ে আমার সঙ্গে দাম দর মেটানো হয়। দাম দরে মিটে গেলে আমি কিনে আনি।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ ইসরাত জাহান উম্মনের কাছে জানতে চাইলে সাংবাদিকদের কোন তথ্য দেননি।

এ বিষয়ে সিভিল সার্জন ডাঃ মোহাম্মদ ইব্রাহিম টিটনের সঙ্গে আজ শনিবার মুঠোফনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির মাধ্যমে ও উন্মুক্ত দরপত্র আহ্বান ব্যতিত এগুলো বিক্রয়ের সুযোগ নেই! যদি এরকম হয়ে থাকে তাহলে এটা আইন বিরোধী হয়েছে।

এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের রেল পথ মন্ত্রণালয়ের- মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা জিল্লুল হাকিম (এমপি)'র এপিএস শেকেরুজ্জামান এর সঙ্গে মুঠোফোনে ১২.১৫ মিনিটে যোগাযোগ করলে তিনি মন্ত্রী'র সাথে কথা বলে নিশ্চিত হয়ে ১২.১৮ মিনিটে কল ব্যাক করে জানান, মন্ত্রী মহোদয় এ বিষয়ে কিছু জানেন না! ওই কর্মকর্তা নিজেই বিক্রয় করেছেন।

(একে/এসপি/এপ্রিল ২৭, ২০২৪)

পাঠকের মতামত:

০৯ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test