E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

রায়পুরে কর্মসৃজন প্রকল্পের টাকা ভাগবাটোয়ারার অভিযোগ

২০১৫ জানুয়ারি ১৩ ১২:১৯:২৮
রায়পুরে কর্মসৃজন প্রকল্পের টাকা ভাগবাটোয়ারার অভিযোগ

রায়পুর (লক্ষ্মীপুর)প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার ১০ ইউনিয়নে চলতি বছরে হতদ্ররিদের জন্য ৪০ দিনের কর্মসৃজন কর্মসূচিতে ভুয়া নাম-ঠিকানা ব্যবহার করে শ্রমিক মজুরি দেখিয়ে টাকা ভাগবাটোয়ারা করে নেওয়ার অভিযোগ ওঠেছে।

এছাড়াও নির্দিষ্ট সময়ে কাজ শুরু না করা, নিয়মানুযায়ী শ্রমিক দিয়ে কাজ না করানো ও সংশ্লিষ্ঠদের যথাযথ তদারকি না থাকায় উপজেলা মাসিক উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভায় এ নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানারা অসন্তোষ প্রকাশ করেন এবং সভার সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাষ্টার আলতাফ হোসেন হাওলাদার উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে (পিআইও) এসব অনিয়ম বন্ধের নির্দেশ দেন।

জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে ৪০টি প্রকল্পে ১ কোটি ৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এতে মোট ১ হাজার ৩১৭ জন শ্রমিকের জন্য প্রতিদিন ২শ টাকা হারে মোট ২ লাখ ৬৩ হাজার ৪শ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। জনসংখ্যানুপাতে ওই শ্রমিক ইউনিয়ন পর্যায়ে তা বিভাজন করা হয়। বরাদ্দ ও তালিকা পাওয়া পর দৈনন্দিন শ্রমিকের সংখ্যা নির্ধারণ করার সময় সংশি¬ষ্ট জনপ্রতিনিধিরা প্রতিটি ইউনিয়নে প্রকল্প অফিসের জন্য একজন, প্রতি ওয়ার্ডে চেয়ারম্যানের একজন করে মোট ১০ জন, ইউপি সদস্যদের প্রতি ওয়ার্ডে ৩ জন করে মোট ৩০ জন, স্থানীয় নেতাদের জন্য প্রতি ওয়ার্ডে ২ জন করে মোট ২০ জন এবং মহিলা সদস্যদের ৩ জনসহ মোট ৬৫ জন শ্রমিকের ভুয়া নাম-ঠিকানা ব্যবহার করেন। এসব তালিকাভুক্ত ভুয়া শ্রমিকের নামে প্রতিদিনের মজুরি হিসেবে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা উত্তোলন করে ভাগবাটোয়ারা করে নেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

ওই সূত্র আরও জানায়, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে অতিরিক্তি কমিশন দিতে গিয়ে প্রতিটি ইউনিয়নরে প্রকল্পে ৫৫ থেকে ৬০ জনের ভুয়া শ্রমিকের নাম-ঠিকানা ব্যবহার করা হচ্ছে। এই ভুয়া নামধারী শ্রমিকরা কোনো দিন উপস্থিত থাকেন না। অথচ ব্যাংক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগসাজশ করে বরাদ্দকৃত টাকা নিয়মিত উত্তোলন করে তা ভাগাভাগি করে নেয়া হচ্ছে।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, উত্তর চরআবাবিল ইউনিয়নের ১নং ওয়াগের ঝাউডুগি সড়ক, ৯নং ওয়ার্ডের ঝাউডুগি-হায়দরগঞ্জ সড়ক ও বামনী ইউনিয়রে ২ নং ওয়ার্ডের সরকারী বাড়ী সড়কে ফারুক, শাহেদুল হক, আক্তার, জসিম, জারিক, জাহাঙ্গীর হোসেন, আমিন, ফিরোজ, মান্নান, মোস্তফা, রাশেদ, তোফায়েল নাম তালিকাভুক্ত করা হয়। কিন্তু তারা কোনো দিনও কাজ করেননি। অথচ এদের নাম শ্রমিকদের তালিকায় ব্যবহার করে নিয়মিত টাকা উত্তোলন করা হচ্ছে। হায়দরগঞ্জ ও রায়পুর সোনারী ব্যাংক শাখা থেকে শ্রমিকদের হিসাব নম্বরে টাকা প্রদানের কথা বলা হলেও সংশি¬ষ্ট ব্যাংক কর্তৃপক্ষ উৎকোচ নিয়ে প্রকল্প সভাপতির হাতে টাকা তুলে দিচ্ছেন।

রায়পুর উপজেলার চেয়ারম্যান মাষ্টার আলতাফ হোসেন হাওলাদার বলেন, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা অতিরিক্তি টাকা নেওয়ার বিষয়টি বিভিন্ন ইউনিয়নর চেয়ারম্যানরা তাঁকে জানিয়েছেন। এজন্য গত মাসিক উন্নয়ন সমন্বয় সভায় তিনি বাস্তবায়ন কর্মকর্তা অতিরিক্তির টাকা না দেওয়ার জন্য বলেন। তার পরেও যদি তিনি এক কাজ করে থাকেন তাহলে বিষয়টি এমপি মহাদয়কে বলা হবে।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা গোলাম সরোয়ার বলেন, আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ কাল্পনিক, উদ্দেশ্য প্রনোদিত। শ্রমিকরা এমুজরীতে কাজ করতে চায় না। সুনির্দিষ্টভাবে অনিয়মের বিষয়ে কারো অভিযোগ আমার জানা নেই।

(পিকেআর/এসসি/জানুয়ারি১৩,২০১৫)

পাঠকের মতামত:

০৪ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test