E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

 প্রকাশ্যেই বিক্রি হচ্ছে নিষিদ্ধ নোট বই

২০১৫ জানুয়ারি ২১ ১৩:৩০:৩০
 প্রকাশ্যেই বিক্রি হচ্ছে নিষিদ্ধ নোট বই

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি : লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার বইয়ের দোকানগুলোতে প্রকাশ্যেই বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন শ্রেণীর নিষিদ্ধ গাইড ও নোট বই। স্থানীয় প্রশাসনের নাকের ডগায় নিষিদ্ধ গাইড ও নোট বই বিক্রয় করলেও তারা রয়েছে নীরব। তাই চলছে নিষিদ্ধ এসব বইয়ের জমজমাট ব্যবসা।

জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) সূত্রে জানা গেছে, সরকার ১৯৮০ সালে আইন করে প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত পাঠ্যপুস্তকের নোট বই মদ্রণ, বাঁধাই, প্রকাশনা, আমদানি, বিতরণ ও বিক্রয় নিষিদ্ধ করে। এ ছাড়া উচ্চ আদালতের এক রায়ে গাইড ও নোট বই মুদ্রণ ও বাজারজাত সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে পৌর শহরের বইয়ের দোকানগুলোতে দেখা যায়, প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণীর বিভিন্ন প্রকাশনীর গাইড ও নোট বই বিক্রি করছে ব্যবসায়ীরা। এর মধ্যে পাঞ্জেরী, জুপিটার, গ্যালাক্সি, লেকচার, অনুপম, জননী উলে¬খযোগ্য। অভিযোগ রয়েছে, কোনো কোনো বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা এসব গাইড ও নোট বই কিনতে শিক্ষার্থীদের প্ররোচিত করছেন।
মেয়ের জন্য নোট বই কিনতে আসা বামনী ইউনিয়নর অভিভাবক মো. সাহাবউদ্দিন বলেন, নোট বইয়ে প্রশ্নের উত্তর সহজ করে সাজিয়ে লেখা থাকে। এতে শিক্ষার্থীর কষ্ট কম হয়। এ জন্য নোট বইয়ের প্রতি বেশি আগ্রহ থাকে। এছাড়াও বিভিন্ন দোকানে হাত বাড়ালেই নিষিদ্ধ গাইড ও নোট বই পাওয়া যায়। তাই শিক্ষার্থীর মূল বই পড়ার প্রতি আগ্রহ কমে যায়। তাছাড়া এস গাইড বই নিষিদ্ধ হলেও তো প্রশাসন কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
অভিভাবক আজাদ ও ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, শিক্ষকরা জাতির বিবেক। অথচ তারা প্রকাশকের কাছ থেকে টাকা নিয়ে তাদের পকেট ভারি করতে বই পাঠ্য তালিকাভুক্ত করেন। আর আমরা অভিভাবকরা চড়া দামে সেসব বই কিনতে বাধ্য হচ্ছি। অসহায় ছাত্র-ছাত্রীদের কথা শিক্ষকেরা একবারও চিন্তা করেনি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে রায়পুর বাজারের এক বইয়ের দোকানের মালিক বলেন, গাইড ও নোট বই শিক্ষার্থীদের উপকারে আসছে। গাইড ও নোট বই পড়ে না এমন শিক্ষার্থী খুঁজে পাওয়া যাবে না। দোষ হয় শুধু প্রকাশনী ও বইয়ের দোকানদারের। কিন্তু যাঁরা অভিযান চালাচ্ছেন, তাঁদের ছেলেমেয়েরাও গাইড ও নোট বই পড়ছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শারমিন আলম বলেন, প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণীর নিষিদ্ধ গাইড ও নোট বই বিক্রয় করা সম্পূর্ন বেআইনি। এ বিষয়ে আমরা অবহিত নই। তবে দোকানগুলোতে গিয়ে এ ব্যাপারে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
যোগাযোগ করা হলে রায়পুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ মিজানুর রহমান ভূঞা বলেন, এনসিটিবি প্রতিটি শ্রেণীর জন্য কিছু সহায়ক বই নির্ধারণ করে দিয়েছে। ওই বইগুলো পড়লে গাইড ও নোট বই পড়ার দরকার হয় না। তা ছাড়া, সরকারিভাবে গাইড ও নোট বই নিষিদ্ধ। সরকার নির্ধারিত বই ছাড়া কোন বই পাঠ্য না করতে আমরা কয়েকবার প্রধান শিক্ষকদেরকে সতর্ক করেছি।

(এমআরস/পিবি/জানুয়ারি ২১,২০১৫)

পাঠকের মতামত:

০৪ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test