রায়পুরে শিশু ধর্ষণ, ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা

রায়পুর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি : লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে দরিদ্র দিন মজুরের ১২ বছরের এক শিশু ধর্ষনের শিকার হয়েছে। শনিবার বিকেলে উপজেলার দক্ষিন কেরোয়া গ্রামের মোল্লারহাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। গুরুতর আহত শিশুটি  জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। ধর্ষক নিশান গ্রাম্য মাতব্বর ইউপি আ’লীগের সহ-সভাপতি জসিম মোল্লার ভাই হওয়ায় ধর্ষিতার পরিবারকে হুমকি ধামকি দিয়ে ঘটনাটি চাপা দেওয়ার চেষ্টা চলছে বলে ধর্ষিতার পরিবার। ধর্ষণের পর হতে এলাকার মাতবরদের কাছে দফায় দফায় বিচার চেয়েও বিচার না পেয়ে ধর্ষিতার পিতা চরম হতাশায় দিন কাটাচ্ছেন। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার মামলা করতে পারছে না বলে অভিযোগ করেছেন।

ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার ও এলাকাবাসী জানান, ২১ ফেব্রুয়ারি বিকেলে ওই শিশুটি খেলা শেষে বাড়ি যাওয়ার পথে একই এলাকার মৃত আলী আহম্মদের ছেলে বখাটে নিশান (২০) শিশুটির মুখ চেপে ধরে বাগানে নিয়ে ধর্ষণ করে। আহত অবস্থায় শিশুটি বাড়ি গিয়ে তার পরিবারকে জানালে তারা রায়পুর সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশুকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন। ঘটনার পর থেকে ধর্ষক নিশান পলাতক রয়েছে। এলাকার কয়েকজন মুরব্বি জানান, নিশান একটি লম্পট প্রকৃতির বখাটে ছেলে। সে এলাকার বিভিন্ন স্কুল কলেজের ছাত্রীদের প্রায়ই উত্ত্যক্ত করে। তার এ নারী প্রীতির কারণে কয়েকদিন আগে তার স্ত্রীও তাকে ছেড়ে চলে গেছে।

এ ঘটনায় রায়পুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত ডাক্তার রকিব হাছান বলেন, অভিভাবক শিশুটিকে নিয়ে হাসপাতালে আসলে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

ধর্ষকের বড় ভাই কেরোয়া ইউনিয়ন আ’লীগের সহ-সভাপতি মো. জসিম মোল্লা মোবাইল ফোনে বলেন, তার সৎ ভাই নিশান একজন মানসিক রোগী। তার এজঘন্য অপরাধের শাস্তি হওয়া উচিৎ বলে মনে করি।

রায়পুর থনার ওসি মনজুরুল হক আকন্দ বলেন, শিশু ধর্ষণের ঘটনা আমার জানা নেই। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার মামলা করলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়।

(পিকেআর/এএস/ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১৫)