E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

বরগুনায় স্বাধীনতা বিরোধীর নামে সড়ক !

২০১৫ মে ২১ ১৬:৩৮:২৬
বরগুনায় স্বাধীনতা বিরোধীর নামে সড়ক !

বরগুনা প্রতিনিধি : ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার রায়হানপুর ইউনিয়নে গণহত্যা, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের অভিযেগে অভিযুক্ত রাজাকার এ.কে.এম খলিলুর রহমানের নামে একটি সড়কের নাম ফলক লাগানো হয়েছে। স্বাধীনতা বিরোধির নামে এলাকার একটি সড়কের নামকরণের একটি ফলক উন্মোচন করা স্থানীয় জনমনে ক্ষোভের সঞ্চার ঘটেছে ।

এতে বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠছেন মুক্তিযোদ্ধারা। এ.কে.এম খলিলুর রহমান একজন স্বাধীনতা বিরোধি হিসেবে এ জনপদে স্বীকৃত। তিনি মুক্তিযুদ্ধে বিতর্কিত ভূমিকা রাখায় তার নামে সড়ক হওয়াও বিতর্কিত। কেননা স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালীন বরগুনা পাথরঘাটায় শান্তি কমিটি ও রাজাকার বাহিনীর প্রধান ছিলেন তিনি।

তবে তিনি বর্তমান আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য শওকত হাচানুর রহমান রিমনের বাবা হওয়ায় স্থানীয় এমপি প্রভাব খাটিয়ে নিজের বাবার নামে এ সড়কের নাম করণ করেছেন বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, জামায়াত ও বিএনপি থেকে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগে সদ্য যোগদানকারী নিজাম উদ্দিন ও জামাল উদ্দিন নামের দুই ব্যক্তির মাধ্যমে চলতি বছর মার্চ মাসে সংসদ সদস্য শওকত হাচানুর রহমান রিমন মাদারতলী বাজার এলাকায় তার বাবা স্বাধীনতা বিরোধী এ.কে.এম খলিলুর রহমানের নামে সড়কটির নাম করে সাইনবোর্ড লাগিয়ে দিয়েছে। তবে এমপি ও তার অনুসারী লোকজনের ভয়ে স্থানীয় কেউ এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি নন।

স্থানীয় এক ব্যবসায়ি বলেন, স্বাধীনতা বিরোধী ও স্বীকৃত রাজাকারের নামে সড়কের নামকরণ হলে তা মুক্তিযুদ্ধ ও দেশের জন্য অবমাননার শামিল। প্রশাসনের উচিত এ সাইনবোর্ড সরিয়ে একজন মুক্তিযোদ্ধার নামে এ সড়কের নামকরণ করা ।

মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবার কল্যাণ পরিষদের পরিচালক মনির মাহমুদ মোহন বলেন, রাজাকারের ছেলে তার বাবার নামে সড়কের নামকরণ করার যে ঔদ্ধত্য দেখিয়েছেন তা মেনে নেয়া যায় না।

বিষয়টি জেলা প্রশাসককে লিখিতভাবে জানিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জানানো হয়েছে উল্লেখ করে মুক্তিযোদ্ধা মোহন বলেন, প্রশাসন যদি সড়কে লাগানো সাইবোর্ড সরিয়ে না ফেলে তবে মুক্তিযোদ্ধারা বাধ্য হবে তাদের দায়িত্ব পালনে।

বরগুনা জেলা মুক্তিযোদ্ধা ডেপুটি কমান্ডার আ. মোতালেব মৃধা বলেন, মুক্তিযুদ্ধের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধী রাজাকারের নামে কোনো ধরনের নামকরণের প্রশ্নই আসে না। প্রশাসন দ্রুত কোন পদক্ষেপ না নিলে মুক্তিযোদ্ধারা সম্মিলিতভাবে রাজাকারের নামফলক নিশ্চিহ্ন করে দিবে।

(এমএইচ/এএস/মে ২১, ২০১৫)

পাঠকের মতামত:

২৭ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test