E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

আগৈলঝাড়ায় সরকারি জমির অবৈধ স্থাপনা ভেঙ্গে দিয়েছে প্রশাসন

২০১৫ জুন ০৪ ১৭:৫৭:২৮
আগৈলঝাড়ায় সরকারি জমির অবৈধ স্থাপনা ভেঙ্গে দিয়েছে প্রশাসন

আঞ্চলিক প্রতিনিধি(বরিশাল):বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলা সদর বাজারে নিয়ম নীতি লংঘন করে সরকারের বন্দোবস্ত নেয়া জমিতে নির্মানাধীন বহুতল ভবনের বর্ধিতাংশ বৃহস্পতিবার ভেঙ্গে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।

অন্যদিক বাজারের ১ নং খাস খতিয়ানভুক্ত নির্মানাধীন প্রতিষ্ঠানগুলোর ৭২ শতাংশ জায়গার মালিকানা দাবি করে ওই জায়গায় অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আবেদন করে ৩০ এপ্রিল বরিশাল সহকারী জজ আদালতে সরকারকে বিবাদী করে মামলা দায়ের করেছে স্থানীয় সত্যেন্দ্র নাথ মজুমদার। যার নং ২৯/১৫। মামলায় বরিশাল জেলা প্রশাসক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আগৈলঝাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনার (ভুমি)কে ২০ দিনে মধ্যে কারণ দর্শানোর জন্য নোটিশ দিয়েছে আদালত।

ব্যবসায়ি ও সংশ্লিষ্ঠ প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি উপজেলা সদর বাজারে পর পর দু’বার অগ্নিকান্ডে ৫২টি দোকান ভস্মীভূত হয়। তাদের আর্থিক সহযোগিতা করা হয় সরকার ও স্থানীয় সংসদ সদস্য আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ।

পরে সরকারের কাছ থেকে বন্দোবস্ত নেয়া একসনা চান্দিনা ভিটিতে ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়িরা পাকা ভবন নির্মানের কাজ শুরু করেন। গত ২ এপ্রিল আগৈলঝাড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি)র অতিরিক্ত দ্বায়িত্বে থাকা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দেবী চন্দ ওই ব্যবসায়িদের বহুতল ভবন নির্মান বন্ধ ও লিজের শর্ত ভাঙ্গার অভিযোগে লিজ বাদিলের নোটিশ প্রদান করেন। নোটিশ পেয়ে বন্দর ব্যবসায়িরা নির্মান কাজ বন্ধ রেখে নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে সময় প্রার্থনা করলে এক সপ্তাহের সময় দেন নির্বাহী কর্মকর্তা। সময় অতিক্রান্তর পর গত ২৭ এপ্রিল অবৈধ স্থাপনার উচ্ছেদ করতে গেলে ব্যবসায়িরা উপজেলা প্রশাসনকে উচ্ছেদে প্রতিবন্ধকতা তৈরী করে সময় প্রার্থনা করেন।

বৃহস্পতিবার সাড়ে দশটার দিকে ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দেবী চন্দ পুলিশ প্রশাসনের সহায়তায় অবৈধ স্থাপনার বর্ধিতাংশ ভাঙ্গার কাজ শুরু করলে ব্যবসায়িরা দিশেহারা হয়ে পরেন। এসময় তারা ইউএনওকে নিজেদের লেবার দিয়ে স্থাপনা ভাঙ্গার সময় প্রার্থনা করলেও তা আমলে নেননি ইউএনও। ক্ষুব্ধ ব্যবসায়িরা এসময় গৈলা ভুমি অফিসের তহশীলদার আব্দুস সোবহানের বিরুদ্ধে স্থাপনা নির্মান বাবদ লাখ লাখ টাকা ঘুষ গ্রহনের অভিযোগ করেণ। ব্যবসায়িরা প্রকাশ্যে অভিযোগে আরও বলেন, বর্তমান নির্মানাধীন ভবন ছাড়াও আগুনে পুড়ে যাওয়া একই বাজরের একাধিক দোকান মালিক ওই তহশীলদারকে ম্যানেজ করে দ্বিতল পাকা ভবন নির্মান করেছেন। এছাড়াও প্রশাসনের বিরুদ্ধে পয়সারহাট বন্দরে সরকারের জমিতে আবুল বাশার হাওলাদারের নির্মানাধীন বহুতল ভবন ও বাগধা বাজারে নদী দখল করে ভবন নির্মানে বাধা দেয়ার পরেও অদৃশ্য কারণে পুনরায় ওই ভবন বর্তমানে নির্মান কাজ চলছে। অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করলে সবারই করা উচিত বলেও তারা অভিযোগ করেন।
এদিকে সত্যেন্দ্র নাথ মজুমদারের দায়ের করা মামলায় ১ জুন বিবাদীদের বিরুদ্ধে নোটিশ জারি করেন। আদালতের জারিকারক বৃহস্পতিবার বরিশাল জেলা প্রশাসক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আগৈলঝাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনার (ভুমি)কে নোটিশ প্রাপ্তির ২০ দিনে মধ্যে আদারতে কারণ দর্শানোর জন্য নোটিশ প্রদান করেছে। ইউএনও অফিস ওই নোটিশ গ্রহন করেছেন। এব্যাপারে ম্যাজিস্ট্রেটের দ্বায়িত্বে থাকা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দেবী চন্দ বলেন, আইন মোতাবেক অবৈধ স্থাপনা অপসারণ করা হবে। সরকারের সকল জমি দখল মুক্ত করা হবে। তহশিলদারের বিরুদ্ধে অভিযোগের কারনে শোকজ করা হয়েছে। যথা সময়ে আদালতে শোকজের জবাব দেয়া হবে।

(টিবি/এসসি/জুন০৪,২০১৫)

পাঠকের মতামত:

০৩ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test