E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

বাগেরহাটে দুই ব্যাংক পরিদর্শনে বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা

২০১৫ জুলাই ১৩ ১৮:০৩:১০
বাগেরহাটে দুই ব্যাংক পরিদর্শনে বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা


আহসানুল করিম, বাগেরহাট থেকে: বাগেরহাট সোনালী ব্যাংক থেকে রূপালী ব্যাংকে সরবরাহ করা এক হাজার টাকার দশ বা-িল নোটের ভেতর ১১৮টি এক শ’ টাকার নোট পাওয়ার ঘটনায় দুই ব্যাংকে শুরু হয়েছে তোলপাড়। বাগেরহাট শহরে চাঞ্চল্যকর এই ঘটনার পর ব্যাংক পাড়া ও বিভিন্ন ব্যাংকের গ্রাহকদের মধ্যে আতংক ও ভীতি ছড়িয়ে পড়েছে।

টাকার বান্ডিলে গড়মিলের ঘটনাটি তদন্তে সোমবার ৮ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটি আগামী ২দিনের মধ্যে তাদের রির্পোট দাখিল করবেন। এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের খুলনা অফিসের যুগ্ন ব্যবস্থাপক (ক্যাশ) তুলসী দাস রায় ও উপব্যবস্থাপক শাহরিয়ার ঘটনাস্থলে এসে সরেজমিনে তদন্ত শুরু করেছেন। সোমবার দুপুরে ওই কর্মকর্তারা উভয় ব্যাংকের কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলেন ও ওই বান্ডিলগুলো বিভিন্ন ভাবে পরিক্ষা নিরিক্ষা করে নমুনা সংগ্রহ করেন।

বাগেরহাটে তদন্ত করতে আসা বাংলাদেশ ব্যাংক খুলনার যুগ্ন ব্যবস্থাপক (ক্যাশ) তুলসী দাস রায় বলেন, তারা প্রাথমিক ভাবে নিশ্চিত হয়েছেন যে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে সোনালী ব্যাংকে পাঠানো বান্ডিলগুলো সঠিক ছিলো। গত ২৭ জুন বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে সোনালী ব্যাংকের কর্মকর্তারা ২৫ কোটি টাকা বুঝে পেয়ে লিখিত দিয়েছেন। তিনি আরো বলেন, প্রাথমিক পর্যবেক্ষনে দেখা গেছে টাকায় গড়মিল থাকা বান্ডিলগুলোয় বাংলাদেশ ব্যাংকের পিন (ফøাই পিন) খুলে তা আবার পুনোরায় লাগানো হয়েছে। এতে মনে হচ্ছে গড়িমিলের কারসাজি বাগেরহাট সোনালী বাংকের ভল্ড থেকে করা হতে পরে। আমরা বিষয়টি তদন্ত করে প্রকৃত দায়ি ব্যাক্তিদের সনাক্তের চেষ্টা করছি।

সোনালী ব্যাংকের বাগেরহাট জোনাল অফিসের সহকারী মহাব্যবস্থাপক আশুতোষ মন্ডল বলেন, টাকার বান্ডিলে গড়মিল থাকায় ঘটনাটি তদন্তে ৮ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটি আগামী ২দিনের মধ্যে তাদের কমিটি প্রতিবেদন দাখিল করবেন। তদন্ত কমিটির প্রধান ব্যাংকের সিনিয়র এক্সকিউটিউভ অফিসার খান বাবুল রহমানের নেতৃত্বে ৮সদস্যের টিম ব্যাংকের ভল্টে থাকা সকল টাকার বান্ডিলগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু করেছে। তদন্তে প্রকৃত তথ্য বেরিয়ে আসবে বলে তিনি জানান।
রূপালী ব্যাংকের খুলনা অঞ্চলের ডেপুটি ম্যানেজার মৃর্ধা ইউসুব আলী বলেন, এই বিষয়ে রূপালী ব্যাংকের কোন দায় নেই। বাগেরহাট সোনালী ব্যাংকের প্রধান শাখা থেকেই কারসাজির এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা ইতমধ্যে কিছু প্রমানও পেয়েছেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা সঠিক তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুক ব্যাবস্থা গ্রহন করবেন বলে আশা করছি।
রোববার সকালে সোনালী ব্যাংক বাগেরহাটের প্রধান শাখা থেকে রূপালী ব্যাংক বাগেরহাট শাখাকে সরবরাহ করা ১ হাজার টাকার ৫০টি বান্ডিলে কৌশলে ১শ’ টাকার ১১৮টি নোট ভরে দেয়। ওই ৫০ লাখ টাকা রূপালী ব্যাংকে নিয়ে গুনে ঘাটতি ধরা পড়ে ১ লাখ ৬ হাজার ২শ’ টাকা । এর পর উভয় ব্যাংক নিজেদের মধ্যে বিষয়টি সমঝোতা করতে না পারায় একে অপরকে দায়ী করার চেষ্টা করে। এর পর বাগেরহাটের ব্যাংক পাড়ায় শুরু হয় তোলপাড়। ##

(একে/এসসি/জুলাই১৩,২০১৫)

পাঠকের মতামত:

০৫ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test