E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

বাগেরহাটে টমেটোর বাম্পার ফলন, কৃষকের মুখে হাসি

২০১৬ জানুয়ারি ২১ ২০:০৯:৪৪
বাগেরহাটে টমেটোর বাম্পার ফলন, কৃষকের মুখে হাসি

বাগেরহাট প্রতিনিধি :বাগেরহাটের চিতলমারীতে চিংড়ি খামারে পানিতে মাছ চাষ ও ভেড়িবাঁধে টমেটোর চাষ এখন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। চিংড়ি খামারে মাছের পাশাপাশি এবার ভেড়িবাঁধে শীতকালীন সবজিসহ টমেটোর বাম্পার ফলন হওয়ায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। এবার এই উপজেলার মৎস্য ঘেরের ভেড়ি বাঁধের উপর তিন প্রকার টমেটোর চাষ করে প্রায় ২০ হাজার মেট্রিক টন টমেটো উৎপাদন করতে সক্ষম হয়েছেন চাষীরা।

চিতলমারী কৃষি বিভাগ বলছে, সময় উপযোগী হওয়ায় লক্ষমাত্রার চেয়েও দুই’শ হেক্টর বেশি জমিতে মাছের খামারের ভেড়িবাঁধে শীতকালীন সবজিসহ টমেটোর বাম্পার উৎপাদন হয়েছে। যা স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলার এই টমেটো চাহিদা মেটাচ্ছেন। তবে কৃষকরা জানিয়েছেন এলাকায় সবজি সংরক্ষনের ব্যাবস্থা থাকলে আরও বেশি লভ্যাংশ পাওয়া যেতো। চিতলমারী উপজেলা সদরে হাটের দিন বাজারে কৃষকরা নৌকা ও ভ্যান যোগে তাদের উৎপাদিত টমেটো নিয়ে আসেন। এদিন মন প্রতি ৩ থেকে সাড়ে ৩’শ টাকা দরে টমেটো বিক্রি হয়েছে। তবে বাজার দর একটু কম হলেও তারপরও কৃষকরা খুশি। উপজেলার টমেটো চাষী শুশান্ত বাড়ৈ জানান, এবছর ঘেরের পাড়ে ভেড়িবাধে লাভলী, হাইটপ ও বিজলি নামের তিন জাতের টমেটো চাষ করেছেন তিনি। উৎপাদন ও অনেক ভালো হয়েছে। মৌসুম শুরুতে মন প্রতিনি দেড় থেকে দুই হাজার টাকা বিক্রি করেছেন। তবে এখন দাম ৩ থেকে সাড়ে ৩ শত টাকা। প্রান্তিক দাস নামের অপর এক চাষী জানান, টমেটো পাঁকার সাথে সাথে বাজারে নিয়ে আসতে হয়। কাঁচামাল ঘরে রাখা যায় না। তাই ব্যবসায়ীদের কাছে অনেকটা জিম্মি চাষীরা। তিনি দাবি করেন চিতলমারীতে সবজি সংরক্ষনের জন্য সরকারীভাবে হিমাগারের ব্যবস্থা করলে চাষীরা তাদের ফসলের ভালো দাম পবেন ।

স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বলছেন, চিতলমারী একটি কৃষি প্রধান উপজেলা। এই উপজেলায় সব মৌসুমেই সবজি উৎপাদন হয়ে থাকে। অনেক ব্যবসায়ী অভিযোগ করে বলেন টমেটো ক্রয় বিক্রয়ের জন্য সরকার নির্ধারিত হাট-বাজারের খাজনা অন্যান্য এলাকার চেয়ে এখানে অনেক বেশি। যেখানে সরকার নির্ধারিত খাজনা শতকর ৫ টাকা সেখানে বাজার ভেদে মন প্রতি ৩০-৫০ টাকাও এখানে নেওয়া হয়। এব্যাপারে তারা প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপের চান। টমেটো ব্যবসায়ী শেখ ফরহাদ হোসেন বলেন, পদ্মা সেতু চালু হলে অল্প সময়ে বাগেরহাট জেলার সবজি দেশব্যাপী দ্রুত সরবরাহ করা সহ বিদেশেও রপ্তানি করা সম্ভব হবে। বর্তমানে ফেরি পারাপারের বিলম্বের কারনে কাচাঁ মালের ব্যবসায় ঝুকিতে থাকতে হয়।

চিতলমারী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আবুল হোসেন বলেন, চিতলমারী উপজেলায় মৎস্য ঘেরের বেড়িবাঁধের উপর এবার ৫’শ ১৫ হেক্টর জমিতে এবার শীতকালীন ফসল উৎপাদন হয়েছে। যেখানে লক্ষমাত্র ছিলো ৩’শ ১৫ হেক্টর। কৃষি বিভাগের আধুনিক প্রযুক্তিতে কৃষকদের প্রশিক্ষন ও কৃষিবিভাগের কঠোর নজরদারিতে এই লক্ষমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। এবার বেগুন, লাউ ও টমেটোর বাম্পার ফলন হয়েছে। শুধুমাত্র ১’শ ৮৬ হেক্টর জমিতে প্রায় ২০ হাজার টন টমেটোর ফলন হয়েছে। যা হেক্টর প্রতি উৎপাদন হয়েছে ৮৬ টন।
(এসএকে/এস/জানুয়ারি২১,২০১৬)

পাঠকের মতামত:

০২ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test