E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

মংলা বন্দরে লৌহজাত সামগ্রী পুনঃনিলাম, সরকারের রাজস্ব ক্ষতি কোটি টাকা!

২০১৬ মে ১৭ ১৮:৪৩:৪৭
মংলা বন্দরে লৌহজাত সামগ্রী পুনঃনিলাম, সরকারের রাজস্ব ক্ষতি কোটি টাকা!

বাগেরহাট প্রতিনিধি : মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের (মবক) যাত্রিক ও তড়িত ভান্ডারে রক্ষিত বিভিন্ন অকেজো সরঞ্জাম পুনঃ নিলাম বিক্রিতে সিন্ডিকেটের সুযোগ করে দেয়ায় সরকার রাজস্ব হারিয়েছে প্রায় কোটি টাকা।

সেই সাথে বন্দরের উন্নয়ন, মেরামতসহ প্রায় সকল কাজেই ওই সিন্ডিকেটের দৌরাত্মে বছরে কয়েক কোটি টাকা গচ্ছা দিতে হচ্ছে বন্দর কর্তৃপক্ষকে। এ সকল কারসাজিতে সাধারন ঠিকাদাররা আঙ্গুল তুলেছে ঠিকাদার সমিতির কতিপয় কর্মকর্তা ও স্থানীয় ক্ষমতাসীন দলের কতিপয় নেতার প্রতি।

মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের সূত্রে জানাগেছে, বন্দর কর্তৃপক্ষের (আহুত স্মারক নং মবক/সহ প্রঃ/যাঃ ও তঃ(ভান্ডার)/০০৭ পার্ট-৫/২০১৬ তারিখ ৭/৪/২০১৬ মোতাবেক মংলা বন্দরের) অব্যবহারিত পুরাতন ক্রেনসহ বিভিন্ন পুরাতন লৌহজাত দ্রবাদির পুনঃনিলাম দরপত্রে অর্ধশতাধিক ঠিকাদার সিডিউল ক্রয় করেন।

কিন্তু একটিমাত্র প্রতিষ্ঠানকে এই নিলাম পাইয়ে দেয়ার বন্দরের এক শ্রনীর অসাধু কর্মকর্তার সাথে গোপনে সমঝোতা করে কথিত সিন্ডিকেট চক্র। চক্রটি খুলনায় এবং মংলায় দুটি অফিসে পাহারা বসিয়ে সাধারন ঠিকাদারদের নিলামে অংশগ্রহনে বাধা দিয়ে নিজেদের পছন্দমত প্রতিষ্ঠানের নামে দরপত্র দাখিল এবং রাজনৈতিক চাপ প্রয়োগ করে দাখিলকৃত দরপত্র কর্তৃপক্ষের অনুমোদন করিয়ে নেন।

এরপর গত ১২ মে মংলার পর্যটন মোটেল পশুরে বসে পুনঃ ডাকাডাকি করে অন্য প্রতিষ্ঠানের নামে বিট করে ৮০লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। ওপেন টেন্ডারে ঠিকাদাররা অংশ নিতে না পারায় বন্দরের রাজস্ব ক্ষতি হয় প্রায় কোটি টাকা। অন্যদিকে সিন্ডিকেটের বিটের ৮০ লাখ টাকা, বন্দরের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা, স্থানীয় শাসকদলেরর কতিপয নেতা, ঠিকাদার সমিতি, সিডিউল হোল্ডার এবং খুলনার কয়েকজন কাউন্সিলরদের মধ্যে ভাগবাটোয়ারা করে নেয়।

বন্দর কর্তৃপক্ষের একজন কর্মকর্তা জানান, কথিত ঠিকাদার সমিতি ওটিএম কাজে বেশি বাধা প্রদান করে, যেহেতু আর্থিক সুবিধা সবাই পায় বিধায় উচ্চপর্যায়ে অভিযোগ কম হয়।

একজন ঠিকাদার এ প্রতিবেদককে জানান, সমিতির কথিত উপদেষ্টা কেসিসির ’ম’ অদ্যাক্ষরের এক কাউন্সিলরই এই সিন্ডিকেটের মুল হোতা,তিনি খুলনা কাষ্টম নিলামেরও কথিত নিয়ন্ত্রক। আগামী ১৯ তারিখ বন্দরের ১৯ কোটি টাকার কাজও সিন্ডিকেট করার প্রক্রিয়ায় তিনি এখন ঢাকা রয়েছেন।

ঐ ঠিকাদার আরো জানান, সমিতির ব্যাংক হিসাব তদন্ত করলে বেরিয়ে পড়বে দরপত্র সিন্ডিকেট কালিন অস্বাভাবিক লেনদেন তৎপরতা। এসব বিষয়ে ঠিকাদার সমিতির সাধারন সম্পাদক মো.শফিকুর রহমান বলেন, খুলনায় অবস্থানকারী ঠিকাদার সমিতির উপদেষ্টা মুন্না কাউন্সিলরসহ অন্যান্যরা এই সিন্ডিকেট করেছেন।

(একে/এএস/মে ১৭, ২০১৬)

পাঠকের মতামত:

০৬ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test