E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

ভারি বর্ষণে দেবে গেছে মাধবকুন্ড জলপ্রপাতের রাস্তা

২০১৭ জুন ২০ ১৬:০৪:২১
ভারি বর্ষণে দেবে গেছে মাধবকুন্ড জলপ্রপাতের রাস্তা

বড়লেখা (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি : মৌলভীবাজারের বড়লেখায় মাধবকুন্ড ইকোপার্কের ভিতরে মাধবকুন্ড জলপ্রপাতে যাওয়ার রাস্তার একাংশ দেবে গেছে। এছাড়া জলপ্রপাতের মূল কেন্দ্র এলাকার সিঁড়ির পশ্চিম দিকের নিচের মাটিও সরে গেছে। ফলে মাধবকুন্ড জলপ্রপাত এলাকাটি এখন পর্যটকদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠেছে। গত রবিবার ভারি বর্ষণের কারণে এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

বনবিভাগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত কয়েকদিনের ভারি বর্ষণে মাধবকুন্ড ইকোপার্কের সড়কের পর্যটন রেস্তোরাঁ এলাকার কাছে প্রায় ৪০-৪৫ ফুট জায়গা প্রায় দুই ফুটের মতো নিচের দিকে দেবে গেছে। দেবে যাওয়া অংশটি ক্রমশ নিচের দিকে নামছে। এছাড়া রোস্তারাঁর কাছ দিয়ে পাহাড়ে উঠার সিঁড়িটির বামপাশের নিচের প্রায় ৫০ ফুট এবং জলপ্রপাতের কাছে নামার সিঁড়ির ডান পাশের নিচের প্রায় ২৫-৩০ ফুটের মতো জায়গার মাটি সরে গেছে। এতে ইকোপার্কের সড়ক ও সিঁড়ি দুটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠেছে। ফলে মাধবকুন্ড জলপ্রপাত এলাকাটিও এখন পর্যটকদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠেছে। যেকোনো মুহূর্তে স্থানটিতে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। সোমবার বিকেলে সরেজমিনে গেলে মাধবকুন্ড ইকোপার্কের ভিতরে মাধবকুন্ড জলপ্রপাতে যাওয়ার রাস্তার কয়েকটি অংশ দেবে যাওয়ার এ দৃশ্য দেখা গেছে।

এ ব্যাপারে বড়লেখা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ সহিদুর রহমান সোমবার সন্ধ্যায় বলেন, ‘স্থানটি আমি সরেজমিনে পরিদর্শন করেছি। দেবে যাওয়ার বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। নিরাপত্তার স্বার্থে পর্যটকদের এখানে আপাতত না যাওয়াই ভালো।’

বড়লেখা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম আব্দুল্লাহ আল মামুন সোমবার রাত সাড়ে ৭টায় বলেন, ‘স্থানটি পরিদর্শন করেছি। এলাকাটি পর্যটকদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠেছে। প্রাকৃতিক পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া, বন উজাড় ও মাটির টপ সয়েল উন্মুক্ত হওয়ার কারণে বৃষ্টির পানি মাটির ভিতরে প্রবেশ করে এ ধরণের (ধসের) ঘটনা ঘটছে। বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। পর্যটন এলাকার সৌন্দর্যসহ এটাকে রক্ষা করতে হলে বড় পরিকল্পনার দরকার।’

বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আরএসএম মনিরুল ইসলাম সোমবার বলেন, ‘গত বছরে সড়কটি একবার দেবে ছিল। দেবে যাওয়া অংশটিসহ অন্যান্য উন্নয়নে এলজিইডি কাজ করছিল। এবারের ভারি বর্ষণে আবার দেবে গেছে। এছাড়া সিঁড়ির মাটি সরে গিয়ে স্থানটি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে। এখনো উন্নয়ন কাজ শেষ করা যায়নি। বৃষ্টির কারণে কাজ ব্যাহত হচ্ছে। রাস্তায় পানি থাকায় মালামালও নেওয়া যাচ্ছে না। তবে যত দ্রুত সম্ভব কাজ শেষ করা হবে।’

(এলএস/এএস/জুন ২০, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

০৩ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test