E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

শিরোনাম:

বরাদ্ধের দাবি এলাকাবাসির

ছাতকে সুরমার ভাঙনে প্রাচীন মাদরাসা হুমকিতে

২০১৭ আগস্ট ০৯ ১৫:১২:০৮
ছাতকে সুরমার ভাঙনে প্রাচীন মাদরাসা হুমকিতে

ছাতক (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি : ছাতকে সুরমা নদীর ভয়াবহ ভাঙনে ক্রমেই বিলীন হচ্ছে হাট-বাজার, স্কুল, মসজিদ, মাদরাসা ও বসতবাড়ি। কালারুকা ইউপির নূরুল্লাপুর, রামপুরও উজিপুর এলাকায় সুরমার এভাঙ্গন অব্যাহত রয়েছে। শীঘ্রই ভাঙন রোধের কার্যকর উদ্যোগ না- নিলে নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে ১৯৪৮সালে প্রতিষ্ঠিত নূরুল্লাপুর ইসলামীয়া দাখিল মাদরাসাও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাট-বাজার, বসতবাড়িসহ গোটা এলাকা।

বাজারের দোকান, একাধিক বসতভিটা ভাঙ্গনে বিলীন হওয়ার আশংকা রয়েছে। এব্যাপারে এলাকাবাসী কয়েক দফায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে একাধিক আবেদন করেছেন। কিন্তু ভাঙ্গন রোধে কোন পদক্ষেপ না নেয়ায় ৭০বছরের প্রাচীন মাদরাসাটি এখন নদী গর্ভে বিলীন হবার পথে। শিক্ষক-শিক্ষিকার এ প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী রয়েছেন ৪শ’ ১৫জন। এরমধ্যে ছিু অংশ তলিয়ে যাওয়ায় মাদরাসার একটি ভবনে পাঠদান বন্ধ রাখা হয়েছে।

এ ব্যাপারে মাদরাসার সূপার মাওলানা জাহাঙ্গির আলম, সমাজসেবী ফরিদ আহমদ, ফারুক আহমদ চৌধুরী, হাজি আসিকুর রহমান, সাবেক ইউপি সদস্য এনামুল হক, হাজি নজির উদ্দিন, আজির উদ্দিন, সাজ্জাদ আহমদ, সফিকুল ইসলাম, আব্দুর রহিমসহ এলাকাবাসী মাদরাসা রক্ষায় ভাঙ্গন রোধে সরকারের সহযোগিতা কামনা করেছেন।

পরিচালনা কমিটির সভাপতি শাহজাহান আব্দুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ইতোমধ্যেই মাদরাসা এলাকার প্রায় ৫০ফুট জমি নদীতে চলে গেছে। এছাড়া মার্চ, এপ্রিলও মে’ মাসে ভাঙ্গন এলাকায় দুবাই প্রবাসি শরিফ উদ্দিনও সৌদি আরব প্রবাসি তাজির উদ্দিনের সহযোগিতায় ৮হাজার বালু ভর্তি বস্তা, নূরুল্লাপুরও উজিরপুর গ্রাম থেকে বিপুল পরিমান বাঁশ এবং মাদরাসা কমিটি বাশেঁর বেড়া দেয়ার ব্যয় বহন করে। এর পাশে নূরুল্লাপুর বাজারে পাকা বিল্ডিং, উজিরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মসজিদ, কবরস্থান, পাকা ও কাঁচা সড়কসহ নূরুল্লাপুর ও উজিরপুরের কয়েক শ’ বাড়ি-ঘর নদী গর্ভে তলিয়ে যায়।

এ ব্যাপারে ছাতক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অলিউর রহমান চৌধুরী বকুল বলেন, একাধিকবার এলাকা পরিদর্শন করে সরকারের পানি সম্পদ মন্ত্রীর সাথে সুরমা নদীর ভাঙ্গন রোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহনের সহযোগিতা দাবি করা হয়েছে।

সুনামগঞ্জ জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবু বকর সিদ্দিক ভূইয়া বলেন, ভাঙ্গন প্রতিরোধে সরেজমিন এলাকা পরিদশন করা হযেছে। জরিপ কাজের পর একটি কারিগরি কমিটি করা হয়েছে। ডিজাইনের কাজ শেষে প্রকল্পটি অনুমোদন হলেই মূল কাজ শুরু হবে বলে তিনি জানান।

(সিএম/এসপি/আগস্ট ০৯, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

২৬ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test