E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

যৌবনের যে ভুলের জন্য সারাজীবন আফসোস করতে হয়

২০১৪ আগস্ট ২৬ ১৫:০৫:০১
যৌবনের যে ভুলের জন্য সারাজীবন আফসোস করতে হয়

নিউজ ডেস্ক : 'সময়ের এক ফোঁড় আর অসময়ের দশ ফোঁড়'। জীবনে প্রতিষ্ঠা বা খ্যাতি পেতে হলে সবকিছু সময়মতো করতে হয়। কিন্তু তারপরও সব মানুষ সবকিছু সময়মতো করতে পারে না। কারণ মানুষ মাত্রই ভুল করে। আর সেই ভুল থেকেই মানুষ শিক্ষা পায়। কিন্তু সেই শিক্ষা যদি সময়তে না পাওয়া যায় তবে তা খুব একটা কাজে আসে না। তখন লালনের মতই বলতে হয় 'সময় গেলে সাধন হবে না।’

জীবনের সবেচেয়ে শ্রেষ্ঠ সময় হলো ১৮ থেকে ২২ বছর। এ সময়টাকে উপভোগ না করলে পরে অনুতপ্ত হতে হয়। কিন্তু এ সময়ে তরুণ-তরুণীরা কিছু সাধারণ ভুলও করে বসেন যার জন্য সারাজীবন অনুতপ্ত হতে হয়।

তাহলে জেনে নেওয়া যাক, এই বয়সের কয়েকয়টি ভুলের কথা। নিশ্চিত হয়ে নিন, আপনাকে যেন আবার কোনোভাবেই অনুতপ্ত হতে না হয়।

শরীরকে ফিট না রাখা :এই বয়সই হলো শরীর গঠনের উপযুক্ত সময়। এ সময় শরীরের যত্ন ও অনুশীলনে মনোনিবেশ না করলে পরে সত্যিই আফসোস করতে হয়। কারণ ফার্স্টফুড ও দেরিতে ঘুম থেকে উঠা এ বয়সীদের প্রিয় অভ্যাস। যতই হোক, শরীরচর্চা ও উপযুক্ত ডায়েটের বিকল্প নেই।

ঝুঁকি না নেওয়া : ঝুঁকি না নিলে নাকি কিছু অর্জন করা যায় না। এই বয়সই জীবনে নতুন নতুন অভিজ্ঞতা অর্জন করার সময়। এই বয়সই হলো ভয়কে জয় করার উপযুক্ত সময়। কিছু সময় ভ্রমণের পিছনে ব্যয় করুন। বাসায় মা-বাবা কেউ রাজি হবে না। একটু জোরাজুরি করুন। কারণ এ সময়ের ভ্রমণ অভিজ্ঞতা সারাজীবনের সঞ্চয়।

জীবনকে গুছিয়ে নেওয়ার চিন্তা : কথাটা একটু বেশি সিরিয়াস মনে হচ্ছে, তাই না! কিন্তু ভোবে দেখুন জীবনটাকে গুছিয়ে নেওয়ার তাড়াটা আপনার মধ্যে একটু বেশি। এ ভাবনাকে আপনার বয়স ও সময়ের সঙ্গে মিলিয়ে ভাবুন। আগে থেকেই জীবনের টাইমলাইনটা ঘড়ির কাঁটায় বেধে দেওয়ার দরকার নেই। আগে বয়সের মজাটা করে নিন, আর দায়িত্ব কিংবা সংসার ধর্ম পালনের জন্য বাকি জীবনটা তো পড়েই আছে, তাই না!

ভবিষ্যতের জন্য পুঁজি না জমানো : ভবিষ্যতের জন্য পুঁজি জমানো বুদ্ধিমানের কাজ। কারণ যত আগে বীজ বপন করবেন, তত আগে ফলও পাবেন। তাই এই বয়স থেকেই একটু একটু করে পুঁজি জমানো শুরু করুন, যাতে পরে আফসোস করতে না হয়।

মূল্যবান সময়কে মূল্যহীন মনে করা : এ সময়ে আমরা মূল্যবান সময়কে মূল্যহীন মনে করি। নিশ্চিন্তে এমন কিছু বন্ধু বা মানুষের পেছনে ব্যয় করি, যারা কিনা আমাদের জীবনে কোনো ভূমিকাই পালন করে না। তাই সময় সে সব বন্ধুদের পেছনেই ব্যয় করুন, যারা সারাজীবন আপনার পাশে থাকবে। এর জন্য মূল কথা হলো, মানুষকে চেনার কৌশল রপ্ত করতে হবে।

পড়াশনা না করা কিংবা বিদেশ যাওয়ার উচ্চাকাঙ্ক্ষা : এ বয়সে অনেকের মাথায় পড়াশুনা বাদ দিয়ে ব্যবসা শুরু করা কিংবা বিদেশ গিয়ে টাকা কামানোর চিন্তা কাজ করে। আপনি যদি তাই ভাবছেন তাহলে দ্বিতীয়বার চিন্তা করুন। প্রথমত, লেখাপড়ার কোনো বিকল্প নাই আর দ্বিতীয়ত, বিদেশ গেলেই যে আপনার মঙ্গল হবে এমনটা চিন্তা করারও কোনো কারণ নেই।

খারাপ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়া : এ বয়সের ছেলে-মেয়েদের মধ্যে খারাপ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ার প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। সম্পর্কটি হতে পারে রোমান্টিক কিংবা অনৈতিক। চিন্তা করে পা ফেলুন। পারিবারিক মূল্যবোধগুলো বুঝার চেষ্টা করুন। নিজের আত্মসম্মানবোধ কখনোই হারাতে দিবেন না, চোখের নিমিষেই শেষ হয়ে একটি সুন্দর আগামী।

(ওএস/এটিআর/অাগস্ট ২৬, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

২৮ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test