E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

গরমে শরীর ঠাণ্ডা রাখার উপায়

২০১৬ মে ০১ ১৬:৪৮:৫০
গরমে শরীর ঠাণ্ডা রাখার উপায়

নিউজ ডেস্ক : কাঠফাটা রোদ। দিন যতই যাচ্ছে ততোই তীব্র হচ্ছে দাবদাহ। এতে হিটস্ট্রোকসহ নানা প্রাণঘাতী রোগও বাড়ছে। এই তীব্র গরমে নিজেকে সুস্থ রাখা জরুরি। গরমে সুস্থ ও সুন্দর থাকতে বেশকিছু পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। ওই পরামর্শগুলো দেখে ব্যবস্থা নিতে পারেন।

ফ্লোরে ঘুমান : বেড গরম থাকে, কিন্তু ফ্লোর থাকে ঠাণ্ডা। তাই গরমে ফ্লোরে ঘুমালে আপনার শরীর ঠাণ্ডা থাকবে।

গভীরভাবে শ্বাস নিন : গভীরভাবে শ্বাস-প্রশ্বাস নিলে শরীর ঠাণ্ডা থাকে। যোগব্যায়ামের নিয়মানুযায়ী, গভীরভাবে শ্বাস নিলে বাতাস মুখ দিয়ে শরীরের ভেতরের বিভিন্ন অংশে পৌঁছে যায়। এতে আপনার পুরো শরীরে ঠাণ্ডা অনুভূত হয়।

শরীর ঢাকুন : সূর্যের প্রখর তাপ থেকে নিজেকে রক্ষায় হালকা, ঢিলেঢালা ও হালকা রঙের সুতি কাপড়ে নিজেকে মুড়িয়ে রাখুন। এটা যেমন আপনাকে সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে রক্ষা করবে, তেমনি গরমও কম লাগবে।

গরম লাগলে আমরা অনেক সময় নিজের হাত দিয়ে নিজেকে বাতাস দেওয়ার চেষ্টা করি। এটা আপনার শরীরকে আরো সংক্রিয় করে তোলে। ফলে আরো বেশি গরম অনুভূত হয়। তাই এটা না করায় উত্তম।

হারবাল পদ্ধতির ব্যবহার : শরীর ঠাণ্ডা রাখতে হারবাল পদ্ধতি বেশ কার্যকরী। ঠাণ্ডা লেবুর সরবত, ক্যামোলিন, ড্যানডোলিনের পাতা ও গোলাপ ফুল ইত্যাদি প্রাকৃতিক উপাদান এ হারবাল পদ্ধতিতে ব্যবহৃত হতে পারে।

কাঁচা মরিচ খান : খাওয়ার সময় তরকারিতে প্রচুর ঝাল হলে আমরা ঘেমে একাকার হয়ে যায়। কিন্তু কাঁচা মরিচের ঝাল আপনার শরীর গরম করবে না। শরীরে শীতলপ্রবাহ তৈরি করবে এটি।

অনেক সময় ফ্লোরে ফ্যান লাগানো থাকে। এটার সামনে পরিপূর্ণ এককাপ বরফ রাখুন। বরফের ফলে ওই ফ্যান শীতল বাতাস তৈরি করে সারা কক্ষে ছড়িয়ে দেবে। ফলে আপনার শরীর থাকবে শীতল-ঠাণ্ডা।

বালিশ ঠাণ্ডা রাখা : প্ল্যাস্টিকের কোনো কিছুতে মুড়িয়ে দিনের বেলায় বালিশ ফ্রিজে রাখুন। এরপর রাতে ঘুমাতে যাওয়ার সময় সেটা ব্যবহার করুন। আপনাকে শীতল রাজ্যে ডুবিয়ে দেবে এটা।

কম খাওয়া-দাওয়া করুন : আমরা যারা ভোজনরসিক তাদের তো মুখ বন্ধ করে রাখা খুবই কষ্টকর। কিন্তু গরমে শীতল থাকতে হলে কম করে খাওয়া-দাওয়া করা উচিত। কারণ বেশি খাওয়ার ফলে শরীরের হজমপ্রক্রিয়া ও শক্তি উৎপাদনের মাত্রা বাড়ে। ফলে দেহে গরম লাগে বেশি।

পর্দা ব্যবহার করুন : দিনের বেলায় যাতে রোদ কক্ষের ভেতর প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য পর্দা ব্যবহার করুন। পর্দার কারণে সূর্যরশ্মি প্রবেশ করতে না পারায় কক্ষ ঠাণ্ডা থাকে।

কক্ষ ত্যাগ করার আগে ফ্যান বন্ধ রাখুন। ফ্যানের কাজ হচ্ছে চারদিকে বাতাস ছড়িয়ে দেওয়া এবং বাতাসে ঠাণ্ডা আবহ তৈরি করা। কিন্তু ফ্যান একটানা চালু থাকার কারণে পরিবেশ গরম হয়ে ওঠে। তাই কক্ষ থেকে বাইরে যাওয়ার সময় সেটা বন্ধ রাখুন। এটা বিদ্যুৎ অপচয় রোধও করবে।

গ্রীষ্মের অতিরিক্ত গরমে ঘামাচির সমস্যা বাড়ে। এ সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে অতিরিক্ত গরমে প্রচুর পানি পান করা উচিত। প্রতিদিন কমপক্ষে দুবার গোসল করা প্রয়োজন। প্রতিদিন অন্তত একবার গোসলের সময় সাবান মাখতে হবে। ভিটামিন ‘সি’ সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে প্রচুর পরিমাণে।

পানির ব্যবহার : আমরা জানি- পানি মানুষকে ঠাণ্ডা রাখে। তবে এটা সুইমিংপুলের পানির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। দেহে বেশি গরম অনুভূত হয় এমন স্থানে পানি দিলে দেহ ঠাণ্ডা থাকে। প্রেসার পয়েন্ট পানি দিলেও মস্তিষ্ক ঠাণ্ডা হয়।

ভেজানো জামাকাপড় ব্যবহার : বিশেষ কিছু জামা-কাপড় আছে যেগুলো ভেজানো অবস্থায় পরলেও কোনো সমস্যা নেই। যেমন মোজা, চুলের ব্যান্ড ইত্যাদি। এ রকম বিশেষ পোশাক ভিজিয়ে পরলেও শরীর ঠাণ্ডা থাকবে।

উজ্জ্বল রঙের পোশাক পরা : কালো কিংবা এ রকম ডার্ক রঙের পোশাকে সূর্যরশ্মি শোষণ করে বেশি। এটা আপনাকে গরমের অস্বস্তিতে ফেলতে পারে। তাই সাদা কিংবা লাইট রঙের পোশাক পরলে গরম কম অনুভূত হবে।

বিদ্যুতের অন্যান্য আইটেম বন্ধ রাখুন : বিদ্যুতের আইটেম তাপ তৈরি করে। তাই কম্পিউটার, লাইটসহ অন্যান্য যন্ত্রপাতি বন্ধ রাখুন।

দরজা খোলা রাখুন : সতেজ বাতাস আদান-প্রদানের সুবিধার্থে দরজা খোলা রাখুন।

ওয়ালের রঙ : বাড়ির ওয়ালের রঙ সাদা হলে গরম কম অনুভূত হবে।

বরফের কাপে চুমুক দিন : একটু ঠাণ্ডা ও শীতল অনুভূতি পেতে আপনি বরফের কাপে চুমুক দিতে পারেন। বরফ আপনাকে সতেজ করবে।

পাঠকের মতামত:

১৪ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test