E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Walton New
Mobile Version

মাতব্বরদের চাপে মামলা করতে পারছেন না ধর্ষিতার পরিবার

মুকসুদপুরে শিশু ধর্ষণ

২০১৪ সেপ্টেম্বর ১২ ১৫:০৯:৪৮
 মুকসুদপুরে শিশু ধর্ষণ

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি : গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার মহিষতলী গ্রামে মাতব্বরদের চাপে ধর্ষিতা এক শিশুর পরিবার থানায় মামলা করতে পারছেন না বলে অভিযোগ উঠেছে। মাতব্বররা মোটা অংকের লেন-দেনের বিনিময়ে বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন বলে ধর্ষিতার পিতা (বিকাশ মন্ডল) বলেছেন। আজ শুক্রবার দুপুরে এই প্রতিনিধির সাথে কথা হলে তিনি এসব কথা জানান।

বৃহস্পতিবার বিকেলে অসুস্থ অবস্থায় ধর্ষিতাকে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সেখানে গাইনী ওয়ার্ডের ২০ নম্বর বেডে ওই শিশুর চিকিৎসা চলছে।

ধর্ষিতার পরিবার সূত্রে জানাগেছে, গত বুধবার দুপুরে প্রথম শ্রেনীতে পড়ুয়া ৭ বছর বয়সের এক স্কুল ছাত্রীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে প্রতিবেশী অষ্টম শ্রেনীর ছাত্র বিপুল মন্ডল (১৪)। ধর্ষিতা মহিষতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রী।

ধর্ষিতার মা (পূর্ণিমা মন্ডল) জানায়, বুধবার দুপুর ১টার দিকে বৃষ্টি শুরু হয়। আমার মেয়ে স্কুল থেকে এসে ঘরের মধ্যে ঘুমাচ্ছিল। বৃষ্টির অজুহাতে পাশের বাড়ির সুবল মন্ডলের ছেলে বিপুল মন্ডল আমাদের ঘরে আশ্রয় নেয়। এ সময় আমি রান্না করছিলাম। ঘরে অন্য কেউ না থাকার সুযোগে বিপুল আমার মেয়ের মুখ চেপে ধরে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। বিষয়টি কাউকে বললে মেরে ফেলবে বলেও হুমকি দেয়। সন্ধ্যায় মেয়ের গোপনাঙ্গে প্রচন্ড ব্যথা হলে সে বিষয়টি আমাকে জানায়। পরের দিন বৃহস্পতিবার সকালে গ্রাম্য ডাক্তার দিয়ে মেয়ের চিকিৎসার চেষ্টা করি। সেখানে কোন ভালো ফল না পেয়ে বিকালে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করি।

ধর্ষিতার পিতা (বিকাশ মন্ডল) জানিয়েছেন, গ্রাম্য মাতব্বররা বিষয়টি মীমাংসার দায়িত্ব নিয়েছে। তারা সিদ্ধান্ত না দেয়া পর্যন্ত পুলিশের কাছে যেতে পারছি না। গ্রামে থ্কাতে হলে তাদের বাইরে যাওয়া যাবে না।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক জনপ্রতিনিধি জানিয়েছেন, এই ধর্ষনের ঘটনাটি মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা চলছে। তবে ধর্ষিতার পরিবারের হাতে টাকা পৌছাবে কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।

সদর হাসপাতালের গাইনি বিভাগের জুনিয়র কনসালনেন্ট রিনা রানী সাহা মুঠোফোনে জানিয়েছেন, গত বৃহস্পতিবার শিশুটি আমার ওয়ার্ডে ভর্তি হয়েছে। তাকে চিকিৎসা দেয় হয়েছে। আগের থেকে সে উন্নতির দিকে। তাকে আরো কিছুদিন চিকিৎসা নিতে হবে।

মুকসুদপুরের সিন্ধিয়াঘাট পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক আব্দুস সালাম জানিয়েছেন, এ ঘটনার পর থেকে ধর্ষক পালতক রয়েছে। তাকে আটকের চেষ্টা চলছে।
মুকসুদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাউদ্দিন মিয়া বলেন, পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। এলাকায় খোজখবর নিয়ে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে , ধর্ষিতার পরিবার এখনও থানায় অভিযোগ করেনি। অভিযোগ করলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

(এমএইচএম/এটিআর/সেপ্টেম্বর ১২, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

১৩ জুন ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test