E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বিগত নির্বাচনে ভোট বাণিজ্যের অভিযোগ

২০২১ ফেব্রুয়ারি ০৭ ১৮:০৪:৩৪
ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বিগত নির্বাচনে ভোট বাণিজ্যের অভিযোগ

রাজবাড়ী প্রতিনিধি : রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার মাছপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম ব্যুরোর বিরুদ্ধে অতীতের ইউপি নির্বাচনগুলোতে ভোট বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ইউপি সদস্য (মেম্বার) পদে নিজস্ব সিলেকশন ও বিনা ভোটে ইউপি সদস্যদের নির্বাচিত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়াও চাকরি দেওয়ার কথা বলে ১০ থেকে ১৫ জন চাকরিপ্রার্থীর কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলেও জানা গেছে।

২০০৮ সালের আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর দলীয় প্রতীকে ইউপি নির্বাচন করে এসেছেন তিনি। আর তার ইউনিয়নে প্রতিটি ওয়ার্ডে ইউপি সদস্য পদে যারা নির্বাচন করেছেন প্রতিটি নির্বাচনে তারা একক প্রার্থী হিসেবে ইউপি সদস্য (মেম্বার) নির্বাচিত হয়েছেন। কারণ একটাই তাদের বিপক্ষে অন্য কোনো প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নেননি।

সরেজমিন অনুসন্ধানে জানা গেছে, নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনের কাছে প্রতিটি ওয়ার্ড থেকে চেয়ারম্যানের সিলেকশনে একজন করে ইউপি সদস্য প্রার্থী তাদের নিজ নিজ মনোনয়ন পত্র জমা দেন। আর একক প্রার্থী থাকায় বিনা ভোটে তাদের বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। এর মূল কারণ নির্বাচন কমিশনের নিকট মনোনয়ন পত্র দাখিলের পুর্বে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থের বিনিময়ে ইউপি চেয়ারম্যানের তৈরি করা মনোনয়ন পত্র কিনতে হয় ইউপি নির্বাচনে অংশ নিতে ইচ্ছুক সদস্য প্রার্থীদের। এরপর যার যার নিজস্ব ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্যদের নিয়ে আয়োজন করা হয় মেম্বার প্রার্থীর ভোট গ্রহণের। সেখানে যে সবচেয়ে বেশি ভোট পাবে কেবলমাত্র সেই নির্বাচন কমিশনের নিটক একক ভাবে মনোনয়ন পত্র দাখিল করতে পারবে। আর একক প্রার্থী হওয়ার কারণে নির্বাচন কমিশন তাকেই নির্বাচনের বিজয়ী ঘোষণা করবে। আর বিজয়ী প্রার্থী বিজয়ী ঘোষণার পর চেয়ারম্যানের নিকট মোটা অঙ্কের অর্থ নিয়ে যেতে হয় দোয়া নিতে।

মাছপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খন্দকার সাইফুল ইসলাম ব্যুরোর তৈরি এই নিয়মেই চলে মাছপাড়া ইউনিয়নের ইউপি সদস্য নির্বাচন। যার জন্য মোটা অঙ্কের টাকা আয় করে নেন এই ভোট বাণিজ্য থেকে। তার এই কর্মকাণ্ডের জন্য অতিষ্ট এলাকার স্থানীয় রাজনৈতিক মহল।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইউনিয়নের ৪,৫, ও ৬নং ওয়ার্ডের বেশ কয়েক জন বাসিন্দা, জানান নির্বাচন এলে আমাদের বর্তমান চেয়ারম্যান ও তার লোকেরা এসে হুমকি দিয়ে যায় যেন আমরা ভোট কেন্দ্রে না যায়। আর তার কথার বাইরে যদি কেও কোনো কাজ করে তাহলে তাকে শারীরিক ভাবে নির্যাতন করে চেয়ারম্যানের লোকেরা। তিনি যতবার চেয়ারম্যান হয়েছে ততবার আমরা কোনো মেম্বারের ভোট দিই নাই। যারা কেন্দ্রে গেছে তারা শুধু তার নির্বাচনী প্রতীকে ভোট দিয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মনতাজ উদ্দিন জানান, আমার এই ওয়ার্ডে কোনো মেম্বার প্রার্থীর ভোট হয়না। এটা চেয়ারম্যান সাহেব ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্যদের মাধ্যমে সিলেকশন করেন। আর সেক্ষেত্রে আমি একক প্রার্থী থাকায় মেম্বারের কোনো ভোট হয়নি। এতে কোনো অর্থ চেয়ারম্যানকে দেওয়া হয় কিনা জানতে চাইলে তিনি এর কোনো জবাব দেননি।

এব্যাপারে অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান খন্দকার সাইফুল ইসলাম ব্যুরোর সাথে যোগাযোগ করতে চাইলে তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।

(ওএস/এসপি/ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০২১)

পাঠকের মতামত:

১৫ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test