শেরপুর সরকারি কলেজের ৫০ বছর পূর্তি উৎসব উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত

শেরপুর প্রতিনিধি : শেরপুর সরকারী কলেজের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে তিন দিনব্যাপী উৎসব আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগামী ডিসেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহে এ উৎসব পালন করা হবে। এ উপলক্ষে ৫ সেপ্টেম্বর শুক্রবার বিকেলে শেরপুর সরকারী কলেজ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এক প্রস্তুতি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

প্রস্তুতি সভায় প্রধান অতিথি হিসেব উপস্থিত ছিলেন সরকার দলীয় হুইপ মো. আতিউর রহমান আতিক। সভায় সভাপতিত্ব করেন কলেজ অধ্যক্ষ ড. রিয়াজুল হাসান। এতে জেলা পরিষদ প্রশাসক অ্যাডভোকেট আব্দুল হালিম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. হায়দার আলী, প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম, কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি-জিএস সহ কর্মকর্তাবৃন্দ এবং বর্তমান শিক্ষকবৃন্দসহ প্রায় দুই শতাধিক প্রাক্তন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।

প্রস্ততি সভায় কলেজের সাবেক ভিপি ও হুইপ আতিউর রহমান আতিককে আহ্বায়ক এবং অধ্যক্ষ ড. রিয়াজুল হাসানকে সদস্য সচিব করে সভায় উপস্থিত অংশগ্রহনকারীদের সদস্য করে সর্বসম্মতভাবে ৫০ বছর পূর্তি উৎসব কমিটি গঠন করা হয়। এছাড়া উৎসব সফল করতে ১৭ টি উপ-কমিটি গঠন ছাড়াও জেলার সাবেক ও বর্তমান মন্ত্রী-এমপিদের নিয়ে একটি উপদেষ্টা কমিটি গঠন করা হয়।

সভায় হুইপ আতিক বলেন, শেরপুর কলেজের ৫০ বৎসর পূর্তি উৎসব উদ্বোধনের জন্য মহামান্য রাষ্ট্রপতি অ্যাডভোকেট আব্দুল হামিদ মহোদয়কে প্রধান অতিথি করার ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে। ইতোমধ্যে বিষয়টি নিয়ে আমি রাষ্ট্রপতির সাথে কথা বলেছি। তিঁনি ৫০ বছর পূর্তি উৎসব উদ্বোধনের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। রাষ্ট্রপতির সময় প্রাপ্তি সাপেক্ষে খুব শীঘ্রই উৎসবের তারিখ চুড়ান্ত করা হবে।

কলেজ অধ্যক্ষ ড. রিয়াজুল হাসান জানান, উৎসবে অংশ্রগহনের জন্য প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের জন্য এক হাজার টাকা ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের জন্য ৫০০ টাকা রেজিস্ট্রেশন ফি নির্ধারন করা হয়েছে। এজন্য একটি ওয়েবসাইটও খোলা হচ্ছে। প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে ৫০ বছরপূর্তি উৎসবটি খুব জাঁকজমকভাবে উদযাপিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

শেরপুরের কিছু বিদ্যুৎসাহী, শিক্ষানুরাগী ব্যাক্তি ১৯৬৪ সালে শেরপুর কলেজটি প্রতিষ্ঠা করেন। উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে এটিই শেরপুরের প্রথম বিদ্যাপীঠ। ঐতিহ্যবাহী শেরপুর জি.কে পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে কলেজটির যাত্রা শুরু হয়। আশির দশকে কলেজটি সরকারীকরন করা হয়। বর্তমানে কলেজটিতে ইন্টারমিডিয়েট-ডিগ্রী সহ ১৭ টি বিষয়ে অনার্স ও দুটি বিষয়ে মাস্টার্স কোর্স রয়েছে। বর্তমানে মোট শিক্ষার্তীর সংখ্যা প্রায় ১২ হাজার।

(এইচবি/এটিআর/সেপ্টেম্বর ০৫, ২০১৪)