E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

পুলিশের বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসায়ীকে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ

২০১৫ ফেব্রুয়ারি ১৭ ১৯:৫২:১৪
পুলিশের বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসায়ীকে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ

নাটোর প্রতিনিধি : নাটোরের নলডাঙ্গা পুলিশের বিরুদ্ধে এক মাদক ব্যবসায়ীকে ফেনসিডিল সহ ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরে এলাকাবাসীর চাপে পুলিশ পরিত্যক্ত অবস্থায় ৮৩ বোতল ফেনসিডিল জব্দ করে থানায় নিয়ে যায়।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, নলডাঙ্গা উপজেলার মাদক সম্রাট হিসেবে পরিচিত সোনাপাতিল গ্রামের আব্দুল জলিলের ছেলে শরিফুল ইসলাম বাবুর নামে মঙ্গলবার রাজশাহীগামী উত্তরা এক্সপ্রেস ট্রেনে করে ৩১২ বোতল ফেনসিডিলের চালান আসে। ট্রেনটি নলডাঙ্গা রেল স্টেশনের অদুরে মহিষমারি ব্রীজের কাছে এর বাবুর সহযোগীরা ট্রেন থেকে ওই ব্রীজের নিচে ফেলে দেয়। এ সময় এলাকাবাসী ঘটনাস্থলে উপস্থিত বাবুকে ফেনসিডিল সহ আটক করে পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বাবুকে আটক করে। কিন্তু কিছুক্ষন পর অদৃশ্য কারণে বাবুকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এঘটনায় স্থানীয় লোকজন বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধি সহ সাংবাদিকদের ঘটনাটি জানায়। এসময় পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ ৮৩ বোতল ফেনসিডিল পরিত্যাক্ত অবস্থায় উদ্ধার দেখিয়ে জব্দ তালিকা করে। স্থানীয়দের অভিযোগ, মোটা টাকার বিনিময়ে মাদক সম্রাট বাবুকে ফেনসিডিল সহ ছেড়ে দেয় পুলিশ। এলাকাবাসী ইতিপুর্বে চিহ্নিত ওই মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতারে একাধিকবার আবেদন করলেও পুলিশ আমলে নেয়নি। উপরন্তু যারা পুলিশের কাছে অভিযোগ বা অবহিত করেছে তাদের হেনস্তা সহ হয়রানি করা হয়েছে। সম্প্রতিককালে পুলিশি তৎপরতার কারণে নলডাঙ্গা এলাকায় মাদক ব্যবসীরা গাঢাকা দিয়েছিল। কিন্তু পুলিশ প্রশাসনে রদবদলের পর তা আবারও পূর্বের অবস্থায় ফিরে এসেছে।

প্যানেল মেয়র ও স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর শরিফুল ইসলাম পিয়াস ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এলাকাবাসী বিষয়টি তাকে জানালে তিনি ঘটনাস্থলে যান। তবে একজন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীকে ছেড়ে দেওয়ার ঘটনায় তিনি হতাশা ব্যক্ত করেন। নলডাঙ্গা থানার ওসি নাসির উদ্দিন মন্ডল এই অভিযোগকে ভিত্তিহীন ও বানোয়াট দাবী করে বলেন,গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় ফেনসিডিল গুলি উদ্ধার করে। নাটোর সদর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম জানান, এলাকাবাসী বিষয়টি আমাকে জানিয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে। নলডাঙ্গা উপজেলা নিবার্হী অফিসার শারমিন আক্তার জাহান জানান, ঘটনাস্থল থেকে মোবাইল ফোনে অনেকেই তাকে বিষয়টি জানিয়েছিল। তবে ঘটনার সত্যতা কতটুকু তা জানা নেই।

(এমআর/পি/ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০১৫)

পাঠকের মতামত:

০৯ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test