E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

‘টেকসই উন্নয়নে বেসরকারি খাতকে অধিক গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন’

২০১৪ মে ১৩ ২০:২৫:৫৫
‘টেকসই উন্নয়নে বেসরকারি খাতকে অধিক গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন’

স্টাফ রিপোর্টার : টেকসই উন্নয়ন ঘটাতে হলে বেসরকারি খাতকে অধিক গুরুত্ব দিতে হবে বলে মনে করেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

সেই সঙ্গে খাত ভিত্তিক দক্ষ জনশক্তি ও ইনোভেটর (আবিস্কারক) তৈরিতে দেশের বিদ্যাপিঠগুলোর যুগান্তকারী ভূমিকা রাখতে হবে বলেও মনে করেন তিনি।

মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর সোনারগাঁওয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জূরী কমিশন (ইউজিসি) আয়োজিত ‘ইনোভেশন ইকোসিস্টেম ফর ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট : ইউনিভার্সিটি-ইন্ডাস্ট্রি কোলাবরেশন’ শীর্ষক দিনব্যাপী কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই কথা বলেন।

ইউজিসি চেয়ারম্যান ড. একে আজাদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য-প্রযুক্তিমন্ত্রী জোনায়েদ আহমেদ পলক, বাণিজ্য সচিব মাহবুব আহমেদ, মূল প্রবন্ধ উপস্থাপক গ্লোবাল রিসার্চ অ্যালায়েন্সের সভাপতি আরএ মাশেলকার, ড. খোন্দকার বজলুল হক, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা সৈয়দ মঞ্জুর ইলাহী সহ প্রমুখ।

নসরুল হামিদ বলেন,‘আমরা দেশের খাত ভিত্তিক দক্ষ মানুষ তৈরি করতে পারছি না। এখন তেল, গ্যাস ও কয়লা উত্তোলনের জন্য বিদেশ থেকে উপদেষ্টা, পরামর্শক ও ইঞ্জিনিয়ার আনতে হচ্ছে’।

তিনি বলেন, দক্ষ জনবল ও আবিস্কারক দেশের উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে তৈরি হয়। এ জন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভূমিকা অনেক বেশি। আর এটি সম্ভব হলে আগামি দিনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা সম্ভব হবে মনে করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে টেলিযোগাযোগ ও তথ্য-প্রযুক্তিমন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্বের অনেক উন্নয়নশীল রাষ্ট্র এখন বাংলাদেশকে অনুসরণ করছে। যদিও উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে এখনও আমরা পিছিয়ে আছি। দেশের তথ্য প্রযুক্তির প্রসার ঘটাতে ইনোভেশন ফান্ডের জন্য যে কোনো প্রস্তাব সরকারের কাছে আসলে তা সর্বোচ্চ বিবেচনায় নিবেন বলে আশ্বাস দেন তিনি।

বাণিজ্য সচিব মাহবুব আহমেদ বলেন, নতুন বাজার সৃষ্টি, পণ্যের বহুমুখীকরণ ও রপ্তানি বাজার সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে ইনোভেটরদের ভূমিকা রয়েছে। তাছাড়া স্থানীয় বাজার সম্প্রসারণে এই কর্মশালা কার্যকরি বলে মনে করেন তিনি।

দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গবেষণা, উদ্ভাবন ও প্রতিযোগিতার সংস্কৃতি বিকাশের মাধ্যমে সামগ্রিক উচ্চ শিক্ষার গুণগতমান উন্নয়নের অ্যাকাডেমিক ইনোভেশন ফান্ড(এআইএফ) গঠন করা হয়। ইতোমধ্যে এআইএফ শিক্ষা ও গবেষণা ক্ষেত্রে প্রত্যাশা পূরণে একটি নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান হিসেবে ভূমিকা রেখেছে।

কর্মশালায় দেশের সকল পাবলিক ও ১০টি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, অধ্যাপক, গবেষক ও শিক্ষাবিদ, ফার্মাসিউটিক্যাল, বায়োটিক, অ্যাগ্রো প্রসেসিং, সিডস, সিরামিক, টেক্সটাইল, কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তির উদ্যোক্তা ও প্রতিনিধিরা অংশ নেন।

(ওএস/এস/মে ১৩, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

১৯ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test