সার উত্তোলন শেষ হলেও উদ্ধার হয়নি জাহাজ

বাগেরহাট প্রতিনিধি : বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবনে ডুবে যাওয়া লাইটারেজ জাহাজ থেকে আট দিন পর সার উত্তোলন শেষ হয়েছে। সুন্দরবন বিভাগের নিয়োগকৃত স্থানীয় শ্রমিকরাই জাহাজ ডুবির পর থেকে প্রতিদিন ভাটার সময় অল্প অল্প করে সার উত্তোলন করতে থাকে। সর্বশেষ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ওই জাহাজ থেকে পলি পড়ে জমাট বাঁধা সার সম্পূর্ণ বাবে অপসারণ করা হয়েছে। এ পর্যন্ত ওই জাহাজ থেকে সর্বমোট সাত টন পটাশিয়াম (টিএসপি) সার উত্তোলন করা হয়েছে। তবে আট দিনেও লাইটারেজ জাহাজটি উদ্ধারে কোন উদ্যোগ নেয়া হয়নি।

সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক এসিএফ কামাল উদ্দিন জানান, এমভি জাবালে নূর নামে লাইটারেজ জাহাজটি সার নিয়ে ডুবির পর ৫মে রাত থেকে স্থানীয় কিছু শ্রমিক নিয়োগ করে সার উত্তোলনের কাজ শুরু করা হয়। দুটি ড্রেজিং মেশিন দিয়ে চেষ্টা করা হলেও মুলত ওই মেশিন কাজে আসেনি। শেষ পর্যন্ত শ্রমিকরাই চেষ্টা চালিয়ে ওই জাহাজ থেকে সম্পূর্ণ সার উত্তোলন করতে সক্ষম হয়েছেন। আট দিন ধরে ডুবে যাওয়া ওই জাহাজ থেকে সাত টন সার উত্তোলন করা হয়েছে বরে ওই বন কর্মকর্তা দাবি করেন। সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) এবং পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের গঠিত তদন্ত কমিটির সদস্য সচিব মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী জানান, তাদের তদন্ত কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। আগামী বৃহস্পতিবার নাগাদ তারা তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করবেন। এখনও লাইটারেজ জাহাজটি উদ্ধার অভিযান শুরু করা হয়নি বলে ডিএফও জানান।

এমভি জাবালে নূর নামে লাইটারেজ জাহাজটি মংলা থেকে ৬শ’ ৭০ মেট্রিক টন এমওপি সার নিয়ে সুন্দরবনের মধ্যে দিয়ে আশুগঞ্জে যাচ্ছিল। ৩ মে ওই জাহাজটি সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের বাগেরহাট জেলার শরণখোলা থানাধীন বনের ভোলা নদীর চরে আটকা পড়ে। দুইদিন পর ৫ মে জাহাজটিকে উদ্ধার করার সময় তলা ফেটে ডুবে যায়। এঘটনায় সুন্দরবন বিভাগ বাদি হয়ে ওই জাহাজের মালিক আমিনুল ইসমালসহ চার জনের নাম উল্লেখ করে শরণখোলা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় সুন্দরবনের জলজ সম্পদ ও পরিবেশগত এক কোটি টাকা ক্ষতির কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

(একে/পি/মে ১২, ২০১৫)