E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

ঠাকুরগাঁওয়ে স্বামী নির্যাতনের স্বীকার রোজিনা বিচারহীনতায় ভুগছেন

২০১৬ মে ২৩ ১৪:৫৬:০৪
ঠাকুরগাঁওয়ে স্বামী নির্যাতনের স্বীকার রোজিনা বিচারহীনতায় ভুগছেন

রানীশংকৈল প্রতিনিধি :ঠাকুরগাওয়ের হরিপুর উপজেলার চাপাষাড় গ্রামের আঃ রাজ্জাকের মেয়ে ১বাচ্চার জননী রোজিনা স্বামী নির্যাতনের স্বীকার হয়েও ১১ মাস যাবৎ বিচার না পেয়ে বিচারহীনতায় ভুগছেন।

যেখানে বিচারের জন্য যাচ্ছেন সেখানেই দাপট আর টাকার বিনিময়ে বিচারকদের মুখ বন্দ করে দিচ্ছেন স্বামী হানিফ হিরার লোকজন,সম্প্রতি সময়ে হরিপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করলে সেখানেও একই অবস্থা। এছাড়াও এই নির্যাতনের বিষয়টি নিয়ে বেশি বাড়াবাড়ী করলে প্রান নাশের হুমকি দিচ্ছেন বলে অসহায় মেয়েটির পরিবার জানাই। এদিকে হানিফ হিরার গ্রামের জনৈক ব্যক্তি জানান,হানিফের পরিবারটি বিশেষ একটা ভাল পরিবার নই। তারা রোজিনার উপর খুবই নির্যাতন চালাতো এটা সত্য আমরা কিছু বলতে গেলে
আমাদের উপর তারা চড়াও হতো এ জন্য আমরা চুপচাপ থাকতাম।

ঘটনা সুত্রে জানা যায়, ৩ বছর আগে চাপাষাড় গ্রামের নিকটবর্তী গ্রাম গোপালপুরের নুরল ইসলাম মাষ্টারের ছেলে হানিফ হিরার সাথে বিয়ে হয় রোজিনার। বিয়ের পরে সংসারিক জীবন ভালই চলছিলো। এর মধ্যে তাদের সংসারের আসলে একটি ছেলে সন্তান। আর এর পর থেকেই শুরু হলো রোজিনার উপর শাশুড়ী,স্বামীসহ পরিবারের লোকজনের যৌতুকের টাকা আনার অত্যাচার। মেয়েটির বাবা রাজ্জাক জানাই আমি কৃষক মানুষ বিয়ের সময় মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে তাদের চাহিদা মত প্রায় ৪লক্ষ টাকা দান দিয়েছি এরপরও ওরা আমার মেয়েকে যৌতুক বাবদ আরও টাকা দিতে হবে বলে আমার কাছে পাঠান। আমি দিতে একটু সময় বিলম্ব হলে তারা তাকে বেদড়ক মারপিট করে আমার বাসায় পাঠিয়ে দেন। এবং আমার মেয়েকে বলেন যৌতুকের টাকা খুব সল্প সময়ের মধ্যে না নিয়ে আসলে আমি আরেকটি বিয়ে করবো আর তোকে ছেড়ে দিবো। এ কথা বলার কিছুদিনের মাথায় ছেলেটি আবার বিয়ে করেছে বলে একটি বিশ্বস্ত সুত্রে জানা যায়। এরমধ্যে নির্যাতিত রোজিনা তার স্বামীর বাসায় ছেলে সন্তান নিয়ে গেলে তার শ্বাশুড়ি,স্বামী,ছেলের বোন,দুলাভাই তাকে মারপিট করে বাড়ি থেকে বের করে দেয় বলে জানান অসহায় মেয়েটির পরিবার। এরপর তারা স্হানীয় জনপ্রতিনিধি.সামাজিক গণ্যমান্য লোকের দ্বারস্থ্য হলে ছেলে পক্ষ প্রভাব খাটিয়ে মেয়েটিকে তালাক দিবে মর্মে একাধিকবার শালিস বসান। তবে রোজিনার আকুতি আমার কি অপরাধ আমি কেন তালাক নিবো। আমি সংসার করতে চাই। আমাকে তালাক না দিয়ে তার বাড়ীতে দাসি হিসেবে রাখলেও আমার কোন আপত্তি নাই। একথায় তেলে বেগুনে জ্বলে উঠেন ছেলেটির পরিবার। অবশেষে সামাজিকভাবে বিচার না পেয়ে রোজিনা নিজের ঘর সংসার ফিরে পাবার আশায় থানায় লিখিত অভিযোগ করলে অভিযোগটি আমলে নেন হরিপুর থানার দারোগা সবুর আলম তিনি প্রাথমিকভাবে পর পর ২বার থানায় বসে বিষয়টি সুরাহা করার চেষ্টা করলেও সেখানে ছেলে পক্ষ আসেনি বংর মেয়েকে হুমকি দিয়েছেন বেশি বাড়াবড়ী করলে প্রাণে মেরে ফেলবো। একটি বিশ্বস্ত সুত্রে জানা যায়, রোজিনার স্বামী হানিফ হিরা তার স্ত্রীকে নির্যাতন করার কারনেই হচ্ছে ২য় বিয়েটি করা। এদিকে রোজিনা যেন থানায় কোন ধরনের মামলা মোকদ্দমা না করতে পারেন সেজন্য প্রভাব অব্যহত রেখেছেন বলে মেয়েটির বাবার অভিযোগ। রোজিনার বাবা ঘটনাটি নিরপক্ষভাবে বিচার করতে এবং তার মেয়ে যেন স্বামীর সংসারে ফিরে যেতে পারে এ সহযোগীতার জন্য দেশের নারীসংস্থা বিভিন্ন নারী সহায়তা সংস্থার নিকট সহযোগীতার অকুল আবেদন করেছেন।

(কেএএস/এস/মে২৩,২০১৬)

পাঠকের মতামত:

১৯ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test