E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

হাকিমপুরে রাস্তায় মাটি কাটার কাজে অনিয়মের অভিযোগ

২০১৬ জুলাই ১৫ ১৬:৫৯:০০
হাকিমপুরে রাস্তায় মাটি কাটার কাজে অনিয়মের অভিযোগ

দিনাজপুর প্রতিনিধি :দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার বোয়ালদাড় ইউনিয়নের চেংগ্রামের রাস্তায় মাটি কাটার কাজে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। গত এক মাস আগে মাটি কাটা হলেও বর্ষায় রাস্তাটি এখন চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। ফলে গ্রামের লোকজনকে রাস্তা দিয়ে চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সুত্রে জানাগেছে, গত ২০১৫-১৬ইং অর্থবছরে গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার (কাজের বিনিময়ে টাকা-কাবিটা) বিশেষ কর্মসূচির আওতায় ওই রাস্তায় মাটি কাটার জন্য ১৪ লাখ ৫৮ হাজার ৯২৯ টাকা ৫০ পয়সা (৫০ মেট্রিকটন গমের মূল্য) বরাদ্দ দেয়া হয়।

গতকাল শুক্রবার সকাল ১০টায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলা পরিষদ থেকে প্রায় চার কিলোমিটার উত্তরে হিলি স্থলবন্দর-বিরামপুর প্রধান সড়কের পূর্বপাশে চেংগ্রাম হয়ে বিশাপাড়া মাদ্রাসা পর্যন্ত দুই কিলোমিটার রাস্তায় মাটি দিয়ে সংস্কার কাজ করা হয়েছে। গত কয়েকদিনের লাগাতার বৃষ্টিতে মাটির রাস্তাটি কাঁদা-পানিতে লোক চলাচলে অনুপযোগী হয়ে থাকায় গতকাল শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে গ্রামের শতাধিক ভূক্তভোগী লোকজন স্বেচ্ছায় কুদাল হাতে নিয়ে এবড়ো থ্যাবড়ো রাস্তাটির সংস্কার কাজ শুরু করেন। এদের মধ্যে স্কুল-কলেজের ছাত্র, শিক্ষক, ভ্যান-রিকসা চালক, শ্রমিক সহ সাধারণ লোকজনেরা একজোট হয়ে রাস্তাটি চলাচলের
উপযোগী করতে এই কাজ করছেন। প্রায় ১০ হাজার জনবসতি রয়েছে এই গ্রামে।

গ্রামের বাসিন্দা ও জালালপুর উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক আসাদুজ্জামান জানান, গ্রাম থেকে বের হয়ে হিলি ও বিরামপুরে যাওয়ার একমাত্র রাস্তা এটি। দীর্ঘদিন ধরে গ্রামের ভূক্তভোগী লোকজনেরা কাঁদা-মাটির এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করছে। গত এক মাস আগে রাস্তার উপর মাটি দিয়ে সংস্কার কাজ করা হয়। কিন্তু এরপর থেকে বৃষ্টিতে রাস্তাটি একহাটু কাঁদা পানি জমে চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়ে। বরাদ্দকৃত টাকার তিন ভাগের এক ভাগও ব্যয় করা হয়নি। রাস্তার মাটি কুদাল দিয়ে কোনো রকম চেচে সড়ানড়া করা হয়েছে। উচুও করা হয়নি।
চেংগ্রামের সার্ভেয়ার মনতেক আলী জানান, বর্ষার সময় লোক দেখানো কাজ করে গ্রামবাসীর কষ্ট বাড়িয়ে দিয়েছে। বৃষ্টিতে রাস্তা দিয়ে পায়ে হেঁটে চলাও দায়? ভ্যান-রিকসা তো দুরের কথা। এর চেয়ে বরাদ্দের এই টাকায় রাস্তাটি ইট দিয়ে হেয়ারিং করা যেত। কিন্তু তা না করে বরাদ্দ ঠিক দেখিয়ে সংশ্লিষ্টদের মোটা-তাজাকরণের মাধ্যমে অনিয়ম করা হয়েছে।

হাকিমপুর ডিগ্রী কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র মোকারম হোসেন ও ইব্রাহিম ইসলাম জানান, বর্ষা বা বৃষ্টিতে রাস্তাটি কাঁদামক্ত হয়ে পড়ে। কলেজে সাইকেল নিয়ে যেতে পারি না। এর আগে গ্রামের লোকজনেরা রাস্তায় ধানও লাগিয়েছিল। তারপরেও রাস্তাটির উপর জনপ্রতিনিধি বা সরকারের চোঁখ পড়ে না। স্থানিয় সংসদ সদস্যও রাস্তাটি দেখে গেছেন।

এ বিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) সজীবুল করিম রাস্তার মাটি কাটার কাজে কোনো অনিয়ম হয়নি এমন দাবী করে জানান, রাস্তার কাজ এখনো শেষ হয়নি। কয়েকদিনের লাগাতার বৃষ্টির কারণে কাজ বন্ধ রয়েছে। এখন আবার শুরু করা হবে। প্রায় দুই কিলোমিটার রাস্তায় প্রায় একফুট মাটি দিয়ে উচু করা হচ্ছে।


(এসিজি/এস/জুলাই১৫,২০১৬)

পাঠকের মতামত:

১৯ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test