E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

বড়পুকুরিয়ায় কয়লা বিক্রির নামে কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ টাকা

২০১৬ জুলাই ১৭ ১৬:০৮:৪৫
বড়পুকুরিয়ায় কয়লা বিক্রির নামে কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ টাকা

দিনাজপুর প্রতিনিধি :দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির কয়লার মূল্য বৃদ্ধির প্রচার চালিয়ে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে তিন দিনে ৭৫ ব্যক্তির কাছে ৫০হাজার ৫০৫টন কয়লা বিক্রির মাধ্যমে কোটি টাকার হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে সরকারের রাজস্ব ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৫কোটি টাকা। এতে করে পার্শ্ববর্তী বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যবস্থাও ঝুঁকিতে পড়বে এমন আশংকা খোঁদ খনির একাধিক কর্মকর্তা।

সিন্ডিকেটের মাধ্যমে খনির কয়লা বিক্রির নেতৃত্ব দিয়েছেন খোঁদ ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. আমিনুজ্জামানসহ তার আস্থাভাজন মহাব্যবস্থাপক (অর্থ ও হিসাব) আব্দুল মান্নান পাটোয়ারী।

খনি সূত্রে জানা যায়, খনির কয়লার ক্রেতা না পাওয়ায় দফায় দফায় দাম কমিয়ে প্রতিটন নির্ধারণ করা হয় ৮হাজার ৩০৫টাকা। ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে সেরা ক্রেতাদেরকে সম্মাননা প্রদানসহ সনদপত্র প্রদান করার উদ্যোগ নেয়া হয়। বর্তমান সময়ে কয়লার মৌসুম না থাকায় কয়লা বিদেশ থেকে কয়লা আমদানিও বন্ধ রাখে আমদানিকারকরা। আর সেই সুযোগটি কাজে লাগিয়েছেন খনির বিদায়ী ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আমিনুজ্জামান। তার আস্থাভাজনদের নিয়ে গত ১২জুলাই মঙ্গলবার রুদ্ধদ্বার বৈঠকের পর প্রচার চালানো হয় আগামী ১৪জুলাই বৃহস্পতিবার থেকে কয়লার মূল্য বৃদ্ধি করা হবে।

১৩জুলাই বুধবার দুপুরের পর থেকেই খনি এলাকায় ভিড় জমে এরপরই স্থানীয়রাসহ মৌসুমী কয়লা ব্যবসায়ীদের। তবে ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আমিনুজ্জামান নিজেই ৭৫ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে কয়লা সরবরাহের অনুমতি দেন। এদের মধ্যে মৌসুমী কয়লা ব্যবসায়ী, প্রভাবশালী ব্যক্তি বিশেষ রয়েছেন।

এদিকে বড়পুকুরিয়া কয়লা বিক্রি বাড়ানোর লক্ষ্যে দফায় দফায় দাম কমিয়ে ৮ হাজার ৩০৫ টাকা (ভ্যাটসহ) মূল্য নির্ধারণ করা হয়। বর্ষা মৌসুমের শেষে ৯ হাজার ৩০৫ টাকা দরে কয়লা বিক্রি করা হবে এমন প্রচার চালিয়ে গত ১১, ১২ ও ১৩ জুলাই এলাকার সোনালী, উত্তরা, জনতা, পুবালী ও অগ্রনী ব্যাংক শাখায় ঐ ৩ দিনে ৫০ হাজার ৫০৫ মেট্রিক টন কয়লার বিপরীতে ৪১ কোটি ৯৪ লাখ ৪৪ হাজার ২৫ টাকা জমা দিয়ে মৌসুমী কয়লা ব্যবসায়ী, প্রভাবশালী মহলসহ ৭৫ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান প্রভাব খাটিয়ে ৫০ হাজার ৫০৫ মেট্রিক টন কয়লা হাতিয়ে নিয়েছেন। এতে সরকার প্রায় ৫ কোটি টাকার অধিক রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হয়েছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে খনির কয়েকজন কর্মকর্তা ও কর্মচারি বলেন, সদ্য বিদায়ী ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আমিনুজ্জামান খনিতে যোগদানের পর থেকেই প্রতি বছরই কয়লার সিন্ডিকেট তৈরির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। একই কারণেই ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদোন্নতি পেয়ে পরিচালক হয়ে খনি দায়িত্ব ত্যাগের পূর্বে শেষ সিন্ডিকেটের মাধ্যমে কয়লা বানিজ্য চালিয়ে গত ১৩জুলাই বুধবার রাতে খনি ত্যাগ করে ঢাকায় চলে গেছেন।
খনি ব্যবস্থাপক (অর্থ ও হিসাব) আব্দুল মান্নান পাটোয়ারী বলেন, রিডাকশন দেয়া হয়েছিল কিছু সময়ের জন্য। সেটি তুলে নেয়া হয়েছে তাই এ বিষয়ে নোটিশ লাগিয়ে দেয়া হয়েছে।
সদ্য বিদায়ী খনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আমিনুজ্জামানের সাথে তার মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও ফোনে রিং বাজলেও তিনি ফোন গ্রহণ করেননি। #



(এসিজি/এস/জুলাই ১৭,২০১৬)

পাঠকের মতামত:

১৯ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test