E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

গৌরীপুরে সেতুর নিচের পাকাবাঁধ অপসারণ করছে এলজিইডি

২০১৬ ডিসেম্বর ০২ ১৫:১৭:৩৮
গৌরীপুরে সেতুর নিচের পাকাবাঁধ অপসারণ করছে এলজিইডি

গৌরীপুর (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি : ময়মনসিংহের গৌরীপুর-রামগোপালপুর সড়কের বলেশ্বর নদীতে প্রায় দেড় কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ৫০মিটার দীর্ঘ সেতুর নিচে পাকা বাঁধ দিয়ে ১২বছর যাবত পানি চলাচল প্রায় বন্ধ দেয় প্রভাবশালী একটি মহল। এ নিয়ে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে “ব্রীজের নীচে বাধ দিয়ে মাছ চাষ” শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের পর টনক নড়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের। মাটির বাঁধ অপসারণ করতে অবৈধ দখলদারদের ৭২ঘন্টার আল্টিমেটাম দেয়।

বৃহস্পতিবার ঘটনাস্থলে আসেন স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের ময়মনসিংহের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মোশাররফ হোসেন। তিনি একপাশে মাটি বাঁধ, অপর পাশের মাটির নতুন বাঁধ তৈরি ও সেতুটির নিচে পাকা বাঁধ দিয়ে পানি প্রবাহ বন্ধের দৃশ্য দেখে বিস্মৃত হন। তাৎক্ষণিকভাবে উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ তোফাজ্জল হক, উপসহকারী প্রকৌশলী মুহাম্মদ আনিছুর রহমান, মোঃ আব্দুর রহমান, সিও মোঃ আকবর আলীকে নিয়ে বৈঠক শেষে পাকাবাঁধ ভাঙ্গার জন্য শ্রমিক নিয়োগ করে। বিজয় মাসের প্রথম দিনে সেতুর নিচে বাঁধভাঙ্গা খবরে বিজয় উল্লাসে মেতে উঠেন প্রায় ৩হাজার কৃষক।

শ্রীধরপুর গ্রামের কৃষক আবুল হাসিম জানান, এ বাঁধের কারণে প্রতিবছর তাদের ফসল পানিতে তলিয়ে যাচ্ছিল। উপজেলা প্রকৌশলী জানান, বলেশ্বর নদীকে লীজ দিয়েছে সরকার লীজ গ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানও নতুনভাবে বাঁধ নির্মাণকারী মোঃ আমিনুল ইসলাম ওরফে মানিক মাস্টারকে ৭২ঘন্টা মধ্যে বাঁধের মাটি সরানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ব্যর্থতায় মামলা দায়ের করা হবে।

অভিযোগে জানা যায়, রামগোপালপুর ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা মোঃ নুরুল ইসলামকে ম্যানেজ করেই ব্রিজের সামনে মাটি ভরাট করে বাঁধ নির্মাণ করছেন মোঃ আমিনুল ইসলাম ওরফে মানিক মাস্টার।

বৃটিশ আমলের বিল ও খালে মাটি ভরাট বন্ধকরণের জন্য রামগোপালপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল আমিন জনি পত্র দেন। গ্রাম্য আদালতে কাগজপত্র নিয়ে উপস্থিত থাকার জন্য বললেও তিনি কোন কাগজপত্র দেখায়নি। পুকুরের মালিক আমিনুল ইসলাম মানিক মাস্টার জানান, ক্রয়সূত্রে এই জমির মালিক। তবে নকশায় খাল বা পানি চলাচলের ব্যবস্থা না থাকলেও ব্যক্তিগত উদ্যোগে খাল করে দিচ্ছেন।

পুকুর নির্মাণের জমি মানিক মাস্টারের ব্যক্তিগত মালিকানার কথা শুরুতেই জানান রামগোপালপুর ইউনিয়নের সহকারী ভূমি কর্মকর্তা মোঃ নুরুল ইসলাম। তবে আলোচনার শেষে স্বীকার করেন এখানে সরকারের ১নং খাসখতিয়ানের কিছু জমি রয়েছে। তিনিও কাজ বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর/১৬) সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পুকুরের চারদিকের পাড় বাঁধাই কাজের সিংহভাগ শেষ। এমনকি সেতুর সামনে মাটি ভরাট করা হয়েছে। গোপীনাথপুর গ্রামের আব্দুল লতিফ (৬৬) জানান, আমার জন্মের পর থেকে এ সেতুর নিচ দিয়ে শুধু পানি নয় নৌকা চলাচল করতেও দেখেছি। বলেশ্বর নদীর সাথে চৌকা বিলের সংযোগ ছিলো।

(এসআইএম/এএস/ডিসেম্বর ০২, ২০১৬)

পাঠকের মতামত:

২৯ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test