E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Walton New
Mobile Version

‘রোহিঙ্গা ইস্যুতে শেখ হাসিনা ইতিহাস হয়ে থাকবেন’

২০১৭ সেপ্টেম্বর ১২ ১৮:০০:০২
‘রোহিঙ্গা ইস্যুতে শেখ হাসিনা ইতিহাস হয়ে থাকবেন’

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি : বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরী বলেছেন, ইন্ধিরা গান্ধী যে রকম বাংলাদেশের শরনার্থীদের আশ্রয় দিয়েছিলেন, সেটা ইতিহাস হয়ে আছে। সেটি যে রকম মানবতার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছিল। আজকে রোহিঙ্গার বিষয়টিও কিন্তু মানবতার। শরনার্থী সমস্যার সমাধানে যে মানবতাবাদের পদক্ষেপ রাষ্ট্র নায়ক শেখ হাসিনা নিয়েছেন আমরা আশাবাদী এর সমাধান অবশ্যই হবে। তিনিও ইতিহাস হয়ে থাকবেন।

রাজশাহীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভা সফল করতে যুবলীগের কর্মীদের প্রতিনিধি সভায় যাওয়ার পথে টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা বিরতি রিসোর্টে যাত্রা বিরতিকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

সম্প্রতিক সময়ে বিএনপির অবস্থান সম্পর্কে তিনি বলেন, এখানে বিভ্রান্ত করার লোক থাকে। শয়তান তো থাকবেই। শয়তানের বুদ্ধি যা আছে তারা সেটি প্রয়োগ করবে। মানুষ এর বিচার করবে।

তিনি আরো বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুটা কিন্তু প্রমাণ করেছে বিশ্ব শান্তির একমাত্র নেতা রাষ্ট্র নায়ক শেখ হাসিনা। ১৯৪টি রাষ্ট্র স্বীকৃতি দিয়েছে রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার দর্শন। তিনি কি ভাবেন, কি চিন্তা করেন তা জাতিসংঘ কর্তৃক স্বীকৃত। জাতিসংঘে যদি কোন শান্তির দর্শন থাকে তাহলে একমাত্র রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার।

নোবেল বিজয়ীদের উদ্দেশ করে তিনি বলেন, শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন বারাক ওবামা। কিন্তু বারাক ওবামার কোন দর্শন জাতিসংঘে স্বীকৃত নেই। শান্তিতে নোবেল পেয়েছে ড. ইউনুছ। মায়ানমারের এ ঘটনায় তিনি কোথায়?

শান্তির জন্য নোবেল দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, নোবেল জয়ী অং সান সূচি। তার দেশেই ঘটনাটা ঘটছে। আজকে যে মানবতার প্রশ্ন আসছে। যেখানে ইউরোপ প্রত্যেকটা বর্ডার সিল করে দিচ্ছে। সেই জায়গায় বাংলাদেশে রোহিঙ্গা ইস্যুতে এই শরনার্থীরা আসছেন। এটার জন্যও তো আজকে রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা নোবেল পাওয়ার বিষয়।

পার্বত্য চট্রগ্রামের শান্তিচুক্তির উল্লেখ করে তিনি বলেন, সেখানে তৃতীয় পক্ষ লাগেনি। দুই পক্ষই অস্ত্রধারী ছিল। সেখানে অস্ত্র ছাড়া কথার মধ্য দিয়ে আলাপ-আলোচনার ভিত্তিতে, সমঝোতার ভিত্তিতে তিনি সে কাজটি করেছেন। পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, এই যে শান্তিবাদী চেতনা বলেন। মানবতাবাদী পদক্ষেপের কারণে সারা বিশ্বে কিন্তু নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা। বিশ্বব্যাপী শরনার্থী সমস্যা সমাধানের আলোকবর্তিকা হিসেবে তিনি উদ্ভাসিত হয়েছেন। এটি কিন্তু আজকে বিশ্বে স্বীকৃতি পেয়েছে।

বিএনপি’র রাজনীতির প্রত্যেকটি ধারাবাহিকতায় মানুষকে বিভ্রান্ত করে দাবি করে তিনি বলেন, মানুষ পুড়িয়ে, বাসে আগুন দিয়ে, পুলিশের মাথা থেতলে দিয়ে, বায়তুল মোকারমে কুরআন শরিফ পুড়িয়ে রাজনীতি। এই যে পোড়া মানুষের গন্ধ তা বিএনপির। সেই পোড়া মানুষের গন্ধ কিন্তু এখন নোবেল জয়ী অং সান সূচির গায়েও আসছে। রোহিঙ্গা ইস্যুটা এখন একটা মানবতার ইস্যু। আমরা বিশ্বাস করি, আমরা আশাবাদি এই ইস্যুটি জাতীয় সংসদে উত্থাপিত হয়েছে। জাতিসংঘে এটা নিয়ে কথা হবে।

যুবক মানেই সৃষ্টিশীল উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের কার্যক্রম গুলো যাতে সুন্দর থাকে। আমাদের পদক্ষেপ যাতে সঠিক থাকে। মানুষের দুঃখ-কষ্টের সময় মানুষের পাশে থাকা- এটাই আমরা শিখেছি। রাজনীতি মানে সমঝোতাশীল, এটাই আমাদের শিখিয়েছেন রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা।

এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ, কালিহাতী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোজহারুল ইসলাম তালুকদার, টাঙ্গাইল জেলা পরিষদের সদস্য ইঞ্জিনিয়ার লিয়াকত আলী, টাঙ্গাইল জেলা যুবলীগের সভাপতি রেজাউর রহমান চঞ্চল, সহ-সভাপতি খান আহমেদ শুভ সহ কেন্দ্রীয়, জেলা ও উপজেলা আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

(আরকেপি/এএস/সেপ্টেম্বর ১২, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

১৩ জুন ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test