E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

আত্রাইয়ে বিএস কোয়াটারগুলোর বেহাল দশা

২০১৮ ফেব্রুয়ারি ০১ ১৬:৪৭:৫৮
আত্রাইয়ে বিএস কোয়াটারগুলোর বেহাল দশা

নওগাঁ প্রতিনিধি : নওগাঁর আত্রাই উপজেলার ইউনিয়ন পর্যায়ের কৃষি বিভাগের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের (ব্লক সুপারভাইজার) আবাসিক ভবন হিসেবে ব্যবহৃত বিএস কোয়াটার গুলোর এখন বেহাল দশা। এসব কোয়াটারগুলো পরিত্যক্ত থাকায় অনেকগুলোই এখন অসামাজিক কার্যকলাপের আখড়ায় পরিণত হয়ছে।

জানা গেছে, উপজেলার ৮ ইউনিয়নে কৃষি বিভাগের বিএস কোয়ার্টার রয়েছে ৮টি। এর মধ্যে ৪ টি একেবারেই জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে রয়েছে দীর্ঘদিন থেকে। এসব কোয়ার্টারগুলো মাঠ পর্যায়ে কর্মরত কৃষি বিভাগের বিএস (বর্তমানে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের) আবাসিক-কাম অফিস হিসেবে ব্যবহার হওয়ার কথা থাকলেও বর্তমানে তা আর ব্যবহার হচ্ছেনা।

সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্তৃপক্ষের অবহেলা, রক্ষণা-বেক্ষণের অভাব এবং কোয়ার্টারগুলো অব্যবহৃত অবস্থায় ফেলে রাখার কারনে বিপুল পরিমান অর্থ ব্যয়ে নির্মাণ করা এসব সরকারী সম্পদ এখন বেহাত হতে চলেছে। এমন কি এসব ভবনের দরজা-জানালা থেকে শুরু করে ইট পর্যন্ত খুলে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটছে। এভাবেই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে এসব সরকারী সম্পদ। সেই সঙ্গে এসব পরিত্যক্ত ভবন এখন মাদকসহ নানা অসামাজিক কর্মকান্ডের আখড়ায় পরিনত হতে চলেছে।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, ১৯৬০-৬১ অর্থ বছরে তৎকালীন পাকিস্তান সরকার এই ভবন গুলো স্ব স্ব এলাকার প্রয়োজনে প্রথমে সিড গোডাউন বা বীজাগার হিসাবে নির্মান করে। ইউনিয়ন পর্যায়ে বিভিন্ন ফসলের প্রয়োজনীয় উন্নত বীজ কৃষকদের মাঝে বিতরনের সুবিধার্থে সীড গোডাউনগুলো সে সময় নির্মান করা হয়।

পরবর্তীতে সরকারী সীড গোডাউনগুলো বিগত আশির দশকে রি-মডেলিং করে ইউনিয়ন পর্যায়ে কর্মরত কৃষি বিভাগের ব্লক সুপারভাইজারদের (বর্তমানে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা) বসবাসের জন্য রুপান্তরিত করা হয়।

বর্তমানে কোয়ার্টার গুলো বসবাসের অনুপযোগী বলে ব্লক সুপারভাইজাররা সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দেন। এরপরও কৃষি বিভাগ এব্যাপারে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। জরুরী ভিত্তিতে কোয়ার্টারগুলো সংস্কারের মাধ্যমে বসবাসের উপযোগী করে গড়ে তোলা হলে একদিকে যেমন সরকারি রাজস্ব আয় বৃদ্ধি পাবে, অন্যদিকে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা কৃষকদের কাছাকাছি অবস্থান নিশ্চিত হলে কৃষকরাও অনেক উপকৃত হবে।

এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কে এম কাউছার হোসেন বলেন, উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের প্রতিটি বিএস কোয়ার্টারগুলো পরিত্যক্ত অবস্থায় যুগ যুগ ধরে পড়ে রয়েছে। আমরা বার বার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করেও কোন লাভ হয়নি।

(বিএম/এসপি/ফেব্রুয়ারি ০১, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

০৭ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test