E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

সুন্দরগঞ্জে ভোট যুদ্ধে আ.লীগ-জাতীয় পার্টি

২০১৮ ফেব্রুয়ারি ১১ ১৬:০৩:৪৬
সুন্দরগঞ্জে ভোট যুদ্ধে আ.লীগ-জাতীয় পার্টি

ছাদেকুল ইসলাম রুবেল, গাইবান্ধা : আগামী ১৩ মার্চ গাইবান্ধা-১ সুন্দরগঞ্জ আসনে ২য় দফা সংসদ উপনির্বাচনের ভোট গ্রহণ। উপনির্বাচনকে সামনে রেখে আসনটি ধরে রাখতে চান আওয়ামীলীগ এবং পুনরুদ্ধারে মরিয়া হয়ে উঠেছেন জাতীয় পার্টি। 

উপনিবাচনকে ঘিরে ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ ও জাতীয় পার্টির নেতা কর্মীরা ইতিমধ্যে স্ব স্ব দলের পক্ষে নৌকা এবং লাঙ্গল মার্কায় ভোটারদের কাছে ভোট প্রর্থানা শুরু করেছেন। উপনিবাচন নিয়ে এখানকার রাজনীতির মাঠ এখন সরগরম। রাজনৈতিক দলগুলোর মনোনয়ন কে পাচ্ছেন তা নিয়ে নেতাকর্মী ও ভোটারদের মাঝে ছিল উদ্বকন্ঠা।

ইতিমধ্যে তার অবসান ঘটেছে। শুক্রবার (৯ ফেব্রয়ারি) দিবাগত রাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভসন গণভবনে সংসদীয় বোর্ডের সভায় গাইবান্ধা-১ সুন্দরগঞ্জ আসনের সংসদ উপনির্বাচনে দলীয় প্রার্থী হিসেবে প্রয়াত এমপি মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনের বড বোন ও আওয়ামীলীগ কর্মী আফরোজা বারীকে দলীয় মনোনয়ন দেয়া হয়। দলীয় মনোনয়ন পেতে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা আ’লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনের ২০জন নেতাকর্মী দলীয় মনোনয়ন সংগ্রহ করেছিল।

এদিকে গত ৮ ও ১৪ জানুয়ারি জাতীয় পাটির চেয়ারম্যান আলহাজ্ব হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার উপনির্বাচনী জনসভায় এরশাদের আইন ও বিচার বিষয়ক উপদেষ্টা এবং উপজেলা জাপার সভাপতি ব্যারিষ্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারীকে দলীয় প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেন। পাশাপাশি দলীয় মনোনয়ন দেন। তবে দলীয় মনোনয়ন যেই পাক না কেন ভোটাররা তাদের বিবেচনায় ইতোমধ্যে হিসাব-নিকাশ শুরু করেছেন।

একটি পৌরসভা ও ১৫ টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত ২৯ গাইবান্ধা-১ সুন্দরগঞ্জ আসন।এর মধ্যে ৭টি ইউনিয়নের উপর দিয়ে প্রবাহিত তিস্তা নদী। এই আসনটিতে রয়েছে দুইটি সরকারি মাধ্যমিক স্কুল, দুইটি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র, একটি থানা ও একটি নবঘোষিত ডিগ্রী কলেজ। পাশাপাশি রয়েছে দুইটি রেল স্টেশন। ভৌগলিক অবস্থানের দিক থেকে আসনটি অনেক বড়। ২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর সরকার দলীয় প্রয়াত এমপি মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন নিহত হওয়ার পর চলতি ২০১৭ সালের ২২মার্চ উপনির্বাচন অনুষ্টিত হয়।
উপনির্বাচনে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা আহমেদ জাতীয় পার্টির সভাপতি ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারীকে পরাজিত করে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০১৭ সালের ১৯ডিসেম্বর সড়ক দুর্ঘটনায় সাংসদ গোলাম মোস্তফা আহমেদ মৃত্যুবরন করলে আসনটি ফের শুন্য হয়।

উপজেলা শাখার আওয়ামীলীগ সভাপতি ও সাংসদ মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন এবং সাধারণ সম্পাদক ও সাংসদ গোলাম মোস্তফা আহমেদ মৃত্যুবরণ করায় বর্তমানে উপজেলা আ’লীগ কমিটি শূন্য হয়ে পড়েছে। ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর প্রয়াত এমপি লিটনের ১ম মৃত্যুবার্ষিকীর আলোচনা সভায় রংপুর বিভাগীয় কেন্দ্রীয় আ’লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক এমপি গত ১৫ জানুয়ারীর মধ্যে উপজেলা আ.লীগের এডহক কমিটি ঘোষনা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু আজ পয়ন্ত কমিটি ঘোষণা করা হয়নি।

নিবার্চন কমিশনের ঘোষিত তফশীল মোতাবেক ১৪ ফেব্রয়রির মধ্যে রিটানিং অফিসারের নিকট মনোনয়ন পত্র দাখিল, ১৬ ফেব্রয়ারি মনোনয়ন পত্র বাছাই, ২৩ ফেব্রয়ারি প্রার্থিতা প্রত্যাহারএবং ১৩মার্চ ভোট গ্রহণ। এ পযন্ত রিটানিং অফিসারের নিকট হতে একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী আহসান হাবিব মাসুদ মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করেছেন।

আওয়ামীলীগ:

স্বাধীনতার বিপক্ষের শক্তিকে দমিয়ে সুন্দরগঞ্জে আওয়ামীলীগের রাজনীতিকে শক্তহাতে ধরে রেখেছিলেন প্রয়াত সাংসদ লিটন। লিটন নিহত হওয়ার ওই পরিবার থেকে হাল ধরতে চান তাঁর বড় বোন আফরোজা বারী। চলতি বছরের ২২ মার্চের উপনির্বাচনে মনোনয়ন চেয়ে ছিলেন। পারিবারিকভাবে লিটনের বোন আফরোজা বারী একজন আওয়ামীলীগ কর্মী। তিনি এলাকার উন্নয়নে এবং ভাইয়ের অসমাপ্ত কাজ এবং স্বপ্ন পুরনে করতে চান ।

১৯৫৩ সালে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সর্বানন্দ ইউনিয়নের সাহাবাজ মাস্টারপাড়া গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন আফরোজা বারী। তার মরহুম পিতা আশরাফ আলী মাস্টার প্রবীণ আ’লীগ নেতা ছিলেন ও মাতা আলতাফুন্নেছা দীর্ঘদিনের উপজেলা আ’লীগের মহিলা সম্পাদিকা ছিলেন। ২০১২ সালে আ’লীগের সদস্য কুপন সংগ্রহ করে সক্রিয় রাজনীতিতে অংশ গ্রহণ করেন তিনি। বিএ অনার্স পাশের পর ইউকে থেকে অর্থনীতি ও হিসাব বিভাগের উপর কারিগরি যোগ্যাতা অর্জন করেন। এরপর ব্যবসায় নেমে পড়েন।

বর্তমানে তিনি একজন সফল ব্যবসায়ী ও নারী উদ্যেক্তা। ২০১৬ সালে তার ছোট ভাই এমপি মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনকে হত্যার পর আ’লীগের রাজনীতিতে তিনি আরও সক্রিয় ভূমিকা পালন করে আসছেন। ইতিমধ্যে তিনি উপজেলার অসহায় দুস্থ্য মানুষের মাঝে সাহায্য সহযোগিতা প্রদান করে অনেকটা পরিচিতি অর্জন করেছেন। আনন্দ বিল্ডার্স লিমিটেড, আনন্দ শিপইয়ার্ড স্লিপওয়েজ লিমিটেড ও জেরিনা কম্পোজিট টেক্সটাইল ইন্ডাষ্ট্রিজ লিমিটেডসহ ১০টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে রয়েছে তার।

২০১৭ সালের ২২মার্চের সংসদ উপ-নির্বাচনে আ’লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন আফরোজা বারী। তিনি বলেন আমার পিতৃ পরিবার আ’লীগ পরিবার। ছোট ভাই মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন সুন্দরগঞ্জ উপজেলা আ’লীগের হাল ধরে দলকে সু-সংগঠিত করেছেন। তিনি আরো বলেন ছোট ভাই এমপি লিটনের মৃত্যুর পর আমি আ’লীগের হাল ধরে এলাকার উন্নয়নের মাধ্যমে জনগণের উন্নয়ন ঘটাতে চাই। জয়ের ব্যাপারে তিনি আশাবাদী।

জাতীয় পার্টি:

স্বাধীনতার পর পাঁচবার জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসনটিতে জাতীয় পার্টির প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছিল। বিরোধী দল জাতীয় পাটির প্রার্থী হিসেবে ২০১৭ সালের ২২ মার্চ উপনিবাচনে দলের মনোনয়ন পেয়েছিলেন ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ভাইস চেয়ারম্যান, জাপা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের আইন ও বিচার বিষয়ক উপদেষ্টা এবং উপজেলা জাপা সভাপতি ব্যারিষ্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী।

উপজেলা জাতীয় পার্টি সিনিয়র সহসভাপতি মাওলানা আবুল হোসেন জানান ২০০৭ সাল থেকে জাতীয় পাটিকে সু-সংগঠিত করে দল পরিচালনা করে আসছেন তরুন এই আইনজীবী । দীর্ঘদিনের পদচারনায় গোটা উপজেলায় মাটি মানুষের নেতা হিসেবে সুনাম কুড়িয়েছে। এক সময়ের জাতীয় পার্টির ঘাটিকে পুনরায় ফিরে আনার একমাত্র বাহক হবেন ব্যারিস্টার শামীম। তাই উপনিবাচনে সুন্দরগঞ্জের আসনটি হবে জাতীয় পার্টির । শুধু উপজেলায় নয় বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে টকশোতে অংশ নিয়ে জাতীয় পার্টির মুখপাত্র হিসেবে দেশব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন। পারিবারিক ভাবে ঢাকা, কুড়িগ্রাম এবং গাইবান্ধায় শামীম হায়দার পাটোয়ারীর রয়েছে ৩০টির মত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। যা মানুষের কল্যাণে কাজ করছে। গত উপনির্বাচনে শামীম হায়দার পাটোয়ারী প্রায় ৬২ হাজার ভোট পেয়েছিলেন।

তিনি বলেন, গত উপনির্বাচনটি ছিল একটি প্রশ্নবিদ্ধ নিবার্চন। অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে আমার বিজয় নিশ্চিত আমি মনে করি। কারণ এই আসনটি জাতীয় পার্টির ঘাটি নামে পরিচিত। বিভিন্ন অসুন্দর এবং আলোচিত ঘটনার কারণে ৫০ বছর পিছিয়ে গেছে সুন্দরগঞ্জ । সেই আলোচিত সুন্দরগঞ্জকে আলোকিত করে গড়ে তুলতে প্রয়োজন তরুন নেতৃত্বের ।

ইদানিং তরুন নেতৃত্বের প্রয়োজনীয়তার কথা দারুনভাবে আলোচিত হচ্ছে। তিনি মনে করেন সংকটময় সুন্দরগঞ্জকে ফিরে আনতে তরুন নেতৃত্ব সৃষ্টি করা একান্ত প্রয়োজন। গত উপনির্বাচনের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে আসন্ন উপনির্বাচনে কাজ করতে চান ব্যারিষ্টার শামীম। জয়ের ব্যাপারে তিনি এবারে শতভাগ আশাবাদী।

ব্যারিষ্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী ১৯৮১ সালে উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের মনিরাম ফলগাছা গ্রামের সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহন করেন। তার পিতা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের চেয়ারম্যান এবং ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনির্ভাসিটির প্রতিষ্ঠা মরহুম ড.এবিএম মুফিজুল ইসলাম পাটোয়ার । মাতা এ্যাডভোকেট মরহুম রোকেয়া বেগম। শামীম ১৯৯৬ সালে ঢাকা উদয়ন বিদ্যালয় হতে এসএসসি, ২০৯৮ সালে নটেরডেম কলেজ হতে এইচএসসি পাশ করে ২০০২ সালে ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনির্ভাসিটি থেকে এলএলবি আর্নাস ডিগ্রী অর্জন করে। এরপর ইংল্যান্ডে চলে যান। ইউনির্ভাসিটি অব লন্ডন থেকে ২০০৫ সালে বার এ্যাট ল ডিগ্রী অর্জন করে দেশে ফিরে আসেন। বর্তমানে তিনি সুপ্রিম কোটের একজন আইনজীবী হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।

বিএনপি:

এই আসনটিতে বিএনপির অনেকটা জোট নির্ভর। জামায়াতের সাথে জোটের সিদ্ধান্ত মোতাবেক মুলত আসনটিতে প্রার্থী নিবাচন করা হবে। বিএনপির উপজেলা শাখার সভাপতি বাবুল আহমেদ জানান উপনির্বাচনে অংশ গ্রহণ করার কোন পরিকল্পনা নেই।

জামায়াত:

২০১৩ সালে দোলোয়ার হোসেন সাঈদীর ফাসির রায়কে কেন্দ্র করে নারকীয় তান্ডবের পর বিভিন্ন মামলার কারনে জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীরা রাজপথে নেই বললেই চলে। তাছাড়া শীর্ষস্থানীয় নেতারা যুদ্ধাপরাধী মামলায় জড়িয়ে পরায় দলটি কোনঠাসা হয়ে পড়েছে। তবে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দলটি আবার সক্রিয় হয়ে উঠছে। নির্বাচনে জামায়াতের বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাজেদুর রহমান সরকারকে জোটগত প্রার্থী হিসেবে একাদশ জাতীয় সংসদ নিবার্চনে মনোনয়ন দেয়ার আলোচনা উঠে এসেছে। বিএনপি ও জামায়াতের একাধিক নেতা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে আগামী ১৩ মার্চের উপনির্বাচনে দলটি অংশ গ্রহণ করবে না।

স্বতন্ত্র প্রার্থী আহসান হাবিব মাসুদ ছাত্র জীবনে জাসদের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। এরপর জাতীয় পাটির ব্যানারে গত উপজেলা পরিষদ নিবার্চনে ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। ব্যাক্তিগত জীবনে তিনি একজন ঠিকাদার।

নিবার্চনের ইতিকথা:

গাইবান্ধা-১ আসনে স্বাধীনের পর ১৯৭৩ সালের ৭ মার্চ অনুষ্ঠিত প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাইবান্ধা-১ সুন্দরগঞ্জ আসন থেকে আওয়ামীলীগ প্রার্থী এ্যাড. শামছুল হক নির্বাচিত হন। ১৯৭৯ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আইডিএল থেকে নির্বাচিত হন অধ্যাপক খন্দকার রেজাউল করিম।

১৯৮৬ সালের ৭ মে তৃতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচন, ১৯৮৮ সালে ৩ মার্চ চতুর্থ জাতীয় সংসদ নির্বাচন,১৯৯১ সালে ২৭ ফেব্রুয়ারি পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির নেতা হাফিজুর রহমান প্রামাণিক তৃতীয় বারের মত নির্বাচিত হন। ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয়নি আসনটিতে। একই সালের ১২ জুন অনুষ্ঠিয় নিবাচনে জাতীয় পার্টির নেতা সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ওয়াহেদুজ্জামান সরকার বাদশা নিবাচিত হন।২০০১ সালে ১ অক্টোবর সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৪ দলীয় জোটের শরীক দলের জামায়াত নেতা আবু সালেহ আব্দুল আজিজ মিয়া,২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মহাজোটের জাপা (এরশাদ) নেতা কর্ণেল (অব.) ডাঃ আব্দুল কাদের খান , ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন নিবাচিত হন।

২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর এমপি মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনকে গুলি করে হত্যা মামলায় অভিযুক্ত সাবেক এমপি আব্দুল কাদের খান জেল হাজতে আছেন। ২০১৭ সালের ২২ মার্চ জাতীয় সংসদ উপ-নির্বাচনে উপজেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক ও চন্ডিপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা আহমেদ নিবাচিত হন।

(এসআইআর/এসপি/ফেব্রয়ারি ১১, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

০৫ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test