E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

কালভার্টের মুখের জমিতে বালু ভরাট, ফসল নষ্টের আশঙ্কা

২০১৮ ফেব্রুয়ারি ১৮ ১৬:২২:০০
কালভার্টের মুখের জমিতে বালু ভরাট, ফসল নষ্টের আশঙ্কা

পলাশবাড়ী (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি : গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর-মীরপুর পাকা সড়কের সরকারি রিং কালভার্টের মুখের জমিতে বালু ভরাট করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় প্রভাবশালী ডা. মো. মুনছুর আলীর বিরুদ্ধে। মীরপুর বাজারের পূর্বপাশে মোবাইল টাওয়ার সংলগ্ন ওই রিং কালভার্ট দিয়ে পানি নিস্কাশন না হলে বর্ষা মৌসুমে দেড়শতাধিক একর জমির ধানসহ অন্যান্য ফসল তলিয়ে স্থায়ী জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হবে।

এমন পরিস্থিতিতে আর্থিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কায় পড়েছেন কয়েক গ্রামের শতশত কৃষক। প্রতিকার দাবিতে এলাকাবাসীর পক্ষে জেলা প্রশাসক বরাবরে শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) লিখিত অভিযোগ করেছেন বড় দাউদপুর গ্রামের শাহজাদা মিয়া।

স্থানীয়দের অভিযোগ, রিং কালভার্টের উত্তরপাশের মুখের জমিতে বাড়ি নির্মাণের জন্য বালু দিয়ে ভরাট করছেন তাহেরপুর গ্রামের ডা. মো. মুনছুর আলী। এ নিয়ে স্থানীয়রা আপত্তি জানালেও তা শোনেননি তিনি। শনিবার দুপুর থেকে পাশের একটি আবাদি জমিতে ইঞ্জিনচালিত শ্যালোমেশিন বডিং করে পাইপ দিয়ে কালভার্টের মুখের জমিতে বালু ফেলা শুরু করেছেন তিনি। বালু ভরাটে কালভার্টের মুখ বন্ধ হয়ে যাবে। এতে সামান্য বৃষ্টিতে দেখা দিবে জলাবদ্ধতা।

এছাড়া বর্ষা মৌসুমে পানি বের না হলে রসুলপুর, দাউদপুর, তাজপুর, তাহেরপুর, জামালপুর, মীরপুর ও ফরিদপুর এলাকার বসতবাড়ি ও ফসলি জমি পানিতে নিম্মজ্জিত হবে। ফলে দুর্ভোগসহ শতশত কৃষকের অপূরণীয় ক্ষতি হবে।

অভিযোগকারী শাহজাদা মিয়া বলেন, ‘দীর্ঘদিনের পুরনো কালভার্ট ঘেঁষে গতবছর বর্ষা মৌসুমে একটি কারখানা নির্মাণ কাজ শুরু হয়। এতে পানি নিষ্কাশন না হওয়ায় তিন ইউনিয়নের কয়েক এলাকার বসতবাড়ি ও আবাদি জমিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। ফলে এলাকার শতশত একর জমির পাকাধান পানির নিচে তলিয়ে নষ্ট হয়ে যায়। পরে কৃষকদের দাবির মুখে পানি নিষ্কাশনের জন্য পাশেই নতুন করে একটি রিং কালভার্ট নির্মাণ করা হয়। কিন্তু এবারও সেই কালভার্টটির মুখের জমি বালু দিয়ে ভরাট করা হচ্ছে। এ কারণে ক্ষোভ ও উত্তেজনা বাড়ছে কৃষকসহ এলাকাবাসীর মধ্যে। এ বিষয়ে মাটি ভরাট বন্ধ করাসহ প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতেই তিনি লিখিত অভিযোগ করেছেন।’

এ বিষয়ে ডা. মো. মুনছুর আলী বলেন, ‘বাড়ি নির্মাণের জন্য তিনি জমি ভরাট করছেন। মূলত কালভার্ট তার জমির পাশে নালায় উপরে ছিলো। কিন্তু কারখানা নির্মাণ করায় সেটি বন্ধ হয়ে যায়। পরে তার জমিতে নতুন করে রিং কালভার্টটি বসানো হয়’।

এ বিষয়ে জামালপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নুরুজ্জামান মণ্ডল বলেন, ‘জনসাধারণের সুবির্ধাতে রিং কালভার্ট নির্মাণ করা হয়। কিন্তু কালভার্টের মুখের জমিতে বালু ফেলে ভরাট করা হলে তা ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াবে। তবে বিষয়টি উপজেলা, জেলা প্রশাসক ও সড়ক বিভাগকে অবহিত করা হয়েছে।’

জেলা প্রশাসক গৌতম চন্দ্র পাল বলেন, ‘এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। দ্রুত বিষয়টি তদন্ত করে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’

(এসআইআর/এসপি/ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

০৬ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test