E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

মান্নাননগর-চাটমোহর ও চাটমোহর-টেবুনিয়া সড়ক বেহাল

২০১৮ মে ০৪ ১৬:৩৪:২৫
মান্নাননগর-চাটমোহর ও চাটমোহর-টেবুনিয়া সড়ক বেহাল

আঞ্চলিক প্রতিনিধি : পাবনা জেলার সকল সড়ক, মহাসড়কের বেহাল অবস্থা। প্রতিটি সড়কেই অসংখ্য খানাখন্দ। কোনো কোনো স্থান দেখতে কাঁচা সড়কের মতো। চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়েছে এলাকাবাসী ও যানবাহন চালকরা। জনগুরুত্বপূর্ণ চাটমোহর-মান্নাননগর সড়ক। 

সড়কটি এখনো উদ্বোধন হয়নি। চলনবিলের মাঝ দিয়ে নির্মিত সড়কটি এক সময় দেখতে এসেছিলেন সড়ক ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। চলনবিলের মাঝ দিয়ে নির্মিত সড়কটি এলাকাবাসীর জন্য আশীর্বাদ। কিন্তু এই আশীর্বাদ ক্রমেই অভিশাপে পরিণত হচ্ছে। বেহাল সড়কে সৃষ্টি হয়েছে অসংখ্য খানাখন্দের। বওশা ঘাট হতে হান্ডিয়াল দরাপপুর পর্যন্ত ২ কিলোমিটার সড়ক দেবে উঁচু-নিচু হয়ে গেছে।যান চলাচল চরম ভাবে বাঁধাগ্রস্থ হচ্ছে।

সরেজমিন দেখা গেছে, বিলের মধ্যে সড়ক দেবে উঁচু-নিচু হয়ে গেছে। অসংখ্য ছোট-বড় গর্ত। গর্ত, ভাঙাচোরা, উঁচু-নিচু ও খানাখন্দে এবড়োথেবড়ো হয়ে গেছে।

হান্ডিয়াল ইউপি চেয়ারম্যান কেএম জাকির হোসেন বলেন, ‘আমরা সড়কের দুরবস্থার মধ্যে পড়েছি। অতি গুরুত্বপূর্ণ এই সড়ক দিয়ে পাবনা, ঈশ্বরদী, চাটমোহর, আটঘরিয়া এলাকার হাজার হাজার মানুষ ও যানবাহন তাড়াশ, সিরাজগঞ্জ, বগুড়া ও ঢাকায় যাতায়াত করে। এই সড়কটি উদ্বোধনের আগেই করুণ দশায় পরিণত হয়েছে।” তিনি সড়কটি দ্রুত মেরামত করার জন্য কতৃপক্ষের নিকট অনুরোধ জানান।

এদিকে চাটমোহর-টেবুনিয়া-পাবনা সড়কের অবস্থা অবর্ণনীয়। চরম দুর্ভোগের শিকার সাধারণ মানুষ ও যানবাহন চালকরা। অসংখ্য খানাখন্দকের কারণে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চলাচল করছে। সময় ব্যয় হচ্ছে দ্বিগুণ। চাটমোহর থেকে টেবুনিয়া পর্যন্ত ২২ কিলোমিটার রাস্তা যেন গ্রামীণ সড়কে পরিণত হয়েছে। অতি গুরুত্বপূর্ণ এ সড়ক দিয়ে জেলা শহরের সঙ্গে জেলার চারটি উপজেলার মানুষকে যোগাযোগ করতে হয়।

চাটমোহর ব্যবসায়ী সমিতির সহ-সভাপতি শেখ মো. জিয়ারুল হক সিন্টু বলেন,সড়কের দুরবস্থায় ব্যবসা-বাণিজ্যেও নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।

শিক্ষক এমএ জিন্নাহ বলেন, জানি না এই সড়কের প্রতি কারো নজর আছে কি-না। অনেক দিন সড়কটির বেহাল দশা।

পাবনা সওজের সহকারী প্রকৌশলী বখতিয়ার আলম জানান, অধিকাংশ সড়ক ক্ষতিগ্রস্থ সড়কগুলো সংস্কারের জন্য যে বরাদ্দ, তা দিয়ে সবগুলো মেরামত করা সম্ভব হচ্ছে না। যতটুকু সম্ভব, ততটুকু মাঝে মধ্যে সংস্কার করা হচ্ছে। বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে।

(এমএসএম/এসপি/মে ০৪, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

২৯ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test