E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে ডিলারকে ভয় দেখিয়ে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল তুলে নেয়ার অভিযোগ

২০২২ এপ্রিল ০৯ ১৭:৪৮:৪৭
ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে ডিলারকে ভয় দেখিয়ে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল তুলে নেয়ার অভিযোগ

মোঃ ইমাম উদ্দিন সুমন, নোয়াখালী : নোয়াখালীর সদর উপজেলার এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে ডিলার থেকে ভয়ভীতি দেখিয়ে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল তুলে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে ঘটনায় ওই ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন মাসুদ। এ ছাড়া উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক বরাবরও লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে।

ডিলার মোহাম্মদ মাসুদ শুক্রবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন। অভিযুক্ত হারুনুর রশিদ সোহাগ দাদপুর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য। তার বাড়ি পূর্ব বারাহীপুর গ্রামে। তিনি অভিযোগ অস্বীকার করলেও ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ইউএনও।

ডিলার মোহাম্মদ মাসুদ বলেন, ‘মঙ্গলবার ইউপি সদস্য সোহাগ কার্ডের প্রকৃত মালিককে না এনে আমার কাছে ১০টি কার্ড নিয়ে চাল নিতে আসেন। আমি কার্ডের মালিকদের খোঁজ করলে উনি জোর করে ১০ বস্তা চাল নিয়ে যান। আমাকে ভয়ভীতি ও গালমন্দ করে কার্ডগুলোর নম্বর রেজিস্ট্রার খাতায় লিখে আমাকে দিয়ে স্বাক্ষর করিয়ে নেন।‘এ বিষয়ে আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ দিয়েছি। কিন্তু এখনও কোনো সমাধান পাইনি।’

যেসব হতদরিদ্রের কার্ড দিয়ে চাল তুলে নেয়া হয়েছে তারা হলেন আবদুর রশিদ (কার্ড নম্বর-১২৩৬), করিম (১২৬৩), রহিম, শাহিন আক্তার (১২৪৩), আকবর হোসেন (১৩০৭), মো. জাহাঙ্গীর (১২৫২), মামুন (১২৯৫), জয়নব বানু, (১২৬১), ছালেহা বেগম (১৩২২), রুহুল আমিন (১৩১৭)।

বারাহীপুর গ্রামের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মো. জাহাঙ্গীর বলেন, ‘আমরা নৌকার পক্ষে ভোট করায় আমাদের নামে থাকা চালের কার্ড দিয়ে চাল দেয়া হয়নি। সোহাগ মেম্বার আমাদের কার্ড দিয়ে জোর করে চাল তুলে নিয়ে যায়।’

শিল্পী বেগম নামে আরেকজন বলেন, ‘আমার স্বামী একজন দিনমজুর। আমরা গরিব অসহায়, তাই ১০ টাকা কেজির চালের কার্ড পাইছি। আমি চাল নিতে যাওয়ার পর সোহাগ মেম্বার চাল দেননি। আমার চাল তিনি বাড়ি নিয়ে গেছেন।’

তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ইউপি সদস্য সোহাগ। বলেন, ‘আমি কারও থেকে জোর করে চাল নিইনি। এ অভিযোগ মোটেও সত্য নয়। আমার প্রতিপক্ষের পরামর্শে তারা মিথ্যা অভিযোগ তুলেছে। যেহেতু বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে, তাই আমি আর কিছু বলতে চাই না।’

এ বিষয়ে দাদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান শিপন কোনো কথা বলতে রাজি হননি।

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন আহমেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘চালগুলো উদ্ধার করেছি। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। রিপোর্ট পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

(এস/এসপি/এপ্রিল ০৯, ২০২২)

পাঠকের মতামত:

০৮ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test