E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

সোনাইমুড়ী স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতাকে নিয়ে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ

২০২২ মে ২১ ১৭:৫৭:৩৩
সোনাইমুড়ী স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতাকে নিয়ে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ

মোঃ ইমাম উদ্দিন সুমন, নোয়াখালী : নোয়াখালী সোনাইমুড়ী উপজেলার ৯ নং দেওটি ইউনিয়ন স্বেচ্চাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক শারিয়ার সবুজকে নিয়ে সড়যন্ত্রের অভিযোগ পাওয়া গেছে। রাজনৈতিক উদ্দ্যেশ্য প্রনোদিত ভাবে তাকে হেয় প্রতিপন্ন করতে একটি মহল উঠে পড়ে লেগেছে বলে জানান অভিযোগকারি স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা শাহরিয়ার সবুজ। আজ শনিবার তার ফেসবুক পোস্টে এসব কথা তুলে ধরেন তিনি। 

শাহরিয়ার সবুজ বলেন, সোনাইমুড়ী উপজেলার নন্দীয়া বাজারে কেএম ভিশন নামে তার একটি মিনি রেকডিং স্টুডিও রয়েছে সেখানে ৮/১০ ছাত্রছাত্রী গান শিখে এটি তার ব্যক্তিগত ব্যাবসায়ী প্রতিষ্ঠান। পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে গত ৯ এপ্রিল রাত ১০ টায় প্রতিদিনের মত স্টুডিও বন্ধ করে বের হবার সময় দেওটি ইউনিয়ন আওয়ামিলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হাফিজ তার সহযোগী বাবুসহ অজ্ঞাত ৪/৫ জনের ভাড়াটিয়া লোক গানের ছাত্র নাবিলকে মারধর করে এবং ঐ ছাত্রীর সাথে অনৈতিক কাজে জড়িত বলে মারধর করে নাবিলের নাক ফাটিয়ে দেয় এবং ঔ ছাত্রীর হিজাব খুলতে টানাহেঁচড়া করে পরে হাফিজ বিষয়টি কৌশলে শাহরিয়ার সবুজের স্ত্রীকে ফোন করে ডেকে নিয়ে সবুজকে লাঞ্ছিত করে এবং গোপনে ভিডিও ধারণ করে। ছাত্রছাত্রীদের সম্মানের কথা ভেবে সেদিন সবুজ।

গত কয়েদিন ধরে হাফিজ সোস্যাল মিডিয়ায় দিবে মর্মে তার কাছে চাঁদাদাবী করে এতে সবুজ প্রতিবাদ করে অভিযুক্ত হাফিজ "পরকিয়ায় স্ত্রীর হাতে ধরা পড়লো স্বেচ্চাসেবক লীগ নেতা" শিরোনামে এবং ২/৩ টি অনলাইন পেইজে ছড়িয়ে দেয়। পরে সবুজ প্রকৃত ঘটনা তার ফেসবুকে উল্লেখ করেন। তিনি আরো বলেন হাফিজের নামে একাধিক মামলা রয়েছে সে ২০১৮ সালে সোনাইমুড়ী উপজেলা স্বেচ্চাসেবক লীগ সভাপতি কবির হোসেনের বাড়িতে বোমা রাখার অভিযোগে দেওটি ইউনিয়ন আওয়ামিলীগ সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়।

ভুক্তভোগী সবুজ জড়িতদের বিরুদ্ধে মানহানী এবং অফিস ভাংচুর, এবং জোরপূর্বক স্ট্যাম্প নিয়ে ব্ল্যাকমেইলিংয়ের জন্য আইনি ব্যবস্থা নিচ্ছেন বলে জানান।

অভিযুক্ত হাফিজের সাথে মুঠোফোনে ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন " ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন " আমার নামে একাধিক মামলা আছে এটা সত্য, আমাকে ওসব মামলায় ফাঁসানো হয়েছে আমি বর্তমান দেওটি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, সবুজের সাথে ঘটনার দিন রাতে আমি তার অফিসের নিচে ছিলাম, নাবিল যখন রিক্সা আনতে নিচে নামে তখন সবুজ তার অফিসের জানালা বন্ধ করে দেয় তখন বাবু বাহির থেকে দরজা লক করে দেয়, পরে নাবিলের সাথে হাতাহাতির সময় নাবিলের নাক ফেটে যায়, আমি সবুজের স্ত্রীকে ফোন করলে তখন সবুজের স্ত্রী ঘটনাস্থলে আসে। পরে আমি স্ট্যাম্প নিয়ে ছেড়ে দিছি, ভিডিও কারা ছেড়েছে আমি জানিনা। এভাবে কারো কাছ থেকে স্ট্যাম্প নেয়া যায় কিনা জানতে চাইলে তিনি কোন উত্তর দিতে পারেননি।

সোনাইমুড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হারুনুর রশিদ বলেন, এ বিষয়ে কোন অভিযোগ পাইনি, অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

(এস/এসপি/মে ২১, ২০২২)

পাঠকের মতামত:

০৬ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test