E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

বোয়ালমারী জর্জ একাডেমিতেও ধরা পড়লো দুইজন জাল সনদধারী শিক্ষক 

২০২৩ জানুয়ারি ২১ ১৮:১১:৩৩
বোয়ালমারী জর্জ একাডেমিতেও ধরা পড়লো দুইজন জাল সনদধারী শিক্ষক 

বিশেষ প্রতিনিধি : সারা দেশের বিভিন্ন বেসরকারি স্কুল-কলেজ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জাল সনদে চাকুরীরত শিক্ষকদের তালিকা করেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তর (ডিআইএ)। ডিআইএ-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, সনদ জাল করে দেশের বিভিন্ন বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছেন ১ হাজার ১৫৬ জন।

জাল সনদধারী শিক্ষকদের তালিকায় আছে ঐতিহ্যবাহী জর্জ একাডেমির সহকারী শিক্ষক মো. সেলিম শেখ এবং সহকারী গ্রন্থগারিক নাসিমা বেগম, উপজেলার চতুল ইউনিয়নের হাসামদিয়া ইউনাইটেড উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নারায়ন চন্দ্র সাহা। সেলিম শেখকে ১৭৫৬০২ টাকা এবং নারায়ন চন্দ্র সাহাকে ১ লক্ষ ৩৫ হাজার ১০০ টাকা ফেরত দিতে বলা হয়েছে।

এছাড়া আলফাডাঙ্গা উপজেলার বারাংকুলা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (কম্পিউটার) সাহানারা খাতুনের কম্পিউটার সনদ জাল ধরা পড়েছে। সাহানারা খাতুন গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানি উপজেলার নড়াইল এম এ মান্নান উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. লুৎফর মৃধার স্ত্রী। তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, ১৯৯৮ সালে প্রধান শিক্ষক মজিবর রহমান তাকে সহকারী শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেন। জটিলতা দেখা দেয়ায় পরবর্তীতে কোন সার্কুলার ছাড়াই আবার তাকে সহকারী শিক্ষক (কম্পিউটার) হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। পরবর্তীতে ডিজির প্রতিনিধির তদন্তে তার কম্পিউটার সনদ ভূয়া প্রমাণিত হওয়ায় বেতন বন্ধ করে দেয়া হয়। এরপর বিভিন্ন স্থানে দেনদরবার করে গত বছর বেতন চালু করেছে। এককালীন বকেয়া হিসেবে প্রায় ১৪ লাখ টাকা পেয়েছে বলে জানা গেছে।

উল্লেখ্য, এখন পর্যন্ত ১ হাজার ১৫৬ জন জাল সনদের শিক্ষককে সনাক্ত করেছে ডিআইএ। এদের মধ্যে ৭৯৩ জন শিক্ষক নিবন্ধন সনদ, ২৯৬ জন কম্পিউটার সনদ ও ৬৭ জন বিএড-সাচিবিক বিদ্যাসহ অন্যান্য সনদ জালের দায়ে অভিযুক্ত।

জাল সনদধারীদের মধ্যে ৭১৭ জন বিভিন্ন স্কুল কলেজে কর্মরত। ৩৩৯ জন আছেন বিভিন্ন মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। যাদের বেশিরভাগই এমপিও (মান্থলি পে অর্ডার) ভুক্ত। ২০১৩ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত বেতন-ভাতা বাবদ সরকারের প্রায় অর্ধশত কোটি টাকা গ্রহণ করেছেন বলে সেই টাকা ফেরত দেয়ার সুপারিশ করা হয়েছে ।
পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) অনুসন্ধানে এসব জাল সনদধারীর তথ্য পাওয়া গেছে। তাদের বেতনের টাকা ফেরত নিতে এরই মধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করেছে ডিআইএ।

বিভিন্ন অভিযোগের প্রেক্ষিতে ডিআইএ শিক্ষকদের সনদগুলো যাচাই করে জাল সনদধারীদের সনাক্ত করা হয়েছে। জাল সনদধারীদের তালিকা প্রতিবেদন আকারে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় তাদের ব্যাপারে ব্যবস্থা নেবে। এসব শিক্ষকের এমপিও বাতিল ও এমপিও বাবদ প্রতি মাসে নেয়া টাকা কর্তৃপক্ষের কাছে ফেরত নেয়ারও সুপারিশ করা হয়েছে।

ডিআইএর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগে জাল সনদে শিক্ষকতা করছেন ৩৬৬ জন। তাদের মধ্যে স্কুল ও কলেজে কর্মরত ২৫৬ জন, যাদের কাছ থেকে ১১ কোটি ৭৭ লাখ টাকা ফেরতের সুপারিশ করা হয়েছে।

(কেএফ/এসপি/জানুয়ারি ২১, ২০২৩)

পাঠকের মতামত:

২০ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test