E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

সান্দিকোনায় স্কুল মিল্ক ফিডিং চালু

দুধ পানে ছাত্র-ছাত্রীদের মুখে হাসি 

২০২৩ আগস্ট ০৭ ১৮:৩৯:২১
দুধ পানে ছাত্র-ছাত্রীদের মুখে হাসি 

সমরেন্দ্র বিশ্বশর্মা, কেন্দুয়া : রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এবং শিশুদের শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ্য করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে সান্দিকোনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চালু হয়েছে স্কুল মিল্ক ফিডিং প্রকল্প। এই প্রকল্পের আওতায় প্রতিদিন দুই শতাধিক ছাত্র-ছাত্রী দুধ পান করতে পেরে তাদের মুখে ফুটে উঠছে প্রাণের হাসি। 

গত ০৫ আগস্ট শনিবার সান্দিকোনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে উপস্থিত হয়ে ডাক্তার সুকর্না প্রীতি ঊষা হেড অব প্রোগ্রাম মাল্টিসার্ভ ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ ছাত্র-ছাত্রীদের দুধ পান করিয়ে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাবেরী জালালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত স্কুল মিল্ক ফিডিং প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নেত্রকোনা ০৩ আসনের এমপি অসীম কুমার উকিল। তিনি ওই প্রকল্পের কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন আমার জন্মস্থান সান্দিকোনায়। এই সান্দিকোনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ প্রকল্প চালু হওয়ায় আমি খুব খুশি। সান্দিকোনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক আলতাবুন্নেছার ভাষা শনিবার ওই প্রকল্প চালু হওয়ার পর প্রাক প্রাথমিক থেকে ৫ম শ্রেণি পর্যন্ত ছাত্র-ছাত্রীরা দুধ পান করছে। প্রতি ছাত্র-ছাত্রীকে ২০০ মিলি গ্রামের দুধের প্যাকেট দেওয়া হচ্ছে। তারা প্রতিদিন দুধ পান করতে পেরে খুব খুশি। আমরাও খুশি ও অভিভাকগণও খুশি। রোববার ২৫১ জন ছাত্র-ছাত্রীর মাঝে উপস্থিত ২০২ জন ছাত্র-ছাত্রীকে দুধ পান করানো হয়। সোমবার দুধ পান করা ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা দাঁড়ায় ২১৩ জন। প্রধান শিক্ষক আলতাবুন্নেছা তার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে আরো বলেন স্কুল মিল্ক ফিডিং চালু হওয়ায় ছাত্র-ছাত্রীদের উপস্থিতি বাড়ছে। দিন দিন আরো বাড়বে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

সান্দিকোনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মো: আজিজুল ইসলাম বলেন সান্দিকোনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি একটি প্রচীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এমপি অসীম কুমার উকিলের জন্মও সান্দিকোনা গ্রামে। কেন্দুয়া উপজেলার মধ্যে ওই বিদ্যালয়ে স্কুল মিল্ক ফিডিং চালু হওয়ায় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হিসেবে আমি সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।

এদিকে ডাক্তার সুকর্না প্রীতি ঊষার সাথে সোমবার বিকালে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি তার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, বাংলাদেশের অধিকাংশ শিশুই পুষ্টিহীনতায় ভোগে। দুধ একটি আদর্শ খাবার, পুষ্টিকর খাবার, প্রতিদিন শিশু ছাত্র-ছাত্রীরা এই দুধ পান করলে সুসাস্থ্যের অধিকারী হবে, বাড়বে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। তারা যখন সুস্থ্য থাকবে তখন প্রতিদিন স্কুলে উপস্থিতিও বাড়বে বেশি। তিনি আরো বলেন শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেই একটি পাইলট প্রকল্প হিসাবে স্কুল মিল্ক ফিডিং প্রকল্প চালু করা হয়েছে।

সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম খান বলেন, সারা দেশে এডিডিপি প্রকল্পের আওতায় একটি পাইলট প্রকল্প হিসাবে ৩০০ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পর্যায়ক্রমে এই প্রকল্প চালু হচ্ছে। এর মধ্যে কেন্দুয়া উপজেলায় একটি। আমরা যদি এই প্রকল্পের সফলতার মুখ দেখতে পাই সে ক্ষেত্রে পর্যায়ক্রমে আরো প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্কুল মিল্ক ফিডিং চালু করা হবে।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো: জামিরুল হক দাবি করে বলেন, ঝরে পড়া শিক্ষার্থী রোধ করতে এবং শিক্ষার্থীদের পুষ্টি ক্ষমতা বাড়াতে কেন্দুয়া উপজেলার ১৮২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়েই স্কুল মিল্ক ফিডিং প্রকল্প চালু করলে সব ছাত্র-ছাত্রীদের মুখেই হাসি ফুটবে।

(এসবি/এসপি/আগস্ট ০৭, ২০২৩)

পাঠকের মতামত:

০৫ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test