E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

ধান-চালের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করলে কঠোর ব্যবস্থা : খাদ্যমন্ত্রী

২০২৪ ফেব্রুয়ারি ০৮ ১৯:২৫:২৪
ধান-চালের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করলে কঠোর ব্যবস্থা : খাদ্যমন্ত্রী

শাহ্ আলম শাহী, দিনাজপুর : খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, ভরা মৌসুমে চালের দাম বাড়ার কোনো যুক্তিকতা নেই। ধান-চালের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে অতিরিক্ত মুনাফা করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সরকার ব্যবসায়ীদের হয়রানি করবে না। তবে কেউ যদি কোনো অনিয়ম করেন, তার বিরুদ্ধেও নেয়া হবে কঠোর ব্যবস্থা।

বৃহস্পতিবার (০৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে দিনাজপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন রুমে চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে করণীয় নির্ধারণে অংশীজনদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, 'পাকা মেমো ছাড়া মিল গেটে চাল বিক্রি করা যাবে না, চালের বস্তার গায়ে উৎপাদনের তারিখ, মূল্য ও কোন জাতের চাল, তা লিপিবদ্ধ করতে হবে।ধান-চাল মজুদ করার কোনো সুযোগ নেই। করলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অবৈধ মজুদকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সরকার পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে বদ্ধ পরিকর।'

মন্ত্রী বলেন, 'নির্বাচনের ঠিক আগে ও পরে অনেক ব্যবসায়ী লোভ সামলাতে না পেরে চালের দাম বাড়িয়ে বাজার অস্থিতিশীল করেছিলেন। এখন সেই সুযোগ বন্ধ করতে নতুন আইন তৈরি করা হয়েছে।'

চাল আমদানি বিষয়ে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, 'সরকারিভাবে আমরা চাল আমদানি করছি না। আমরা এক বছর চাল আমদানি করিনি। এখনও যে পরিমাণ চাল আছে, তাতে করে এখন পর্যন্ত চাল আমদানির কোনো প্রয়োজন নেই। তবে, একটি পথ খোলা রাখবো বেসরকারিভাবে আমদানির জন্য অনুমতি দিয়ে রাখবো—যাতে কোনো ম্যাসাকার না হয়।'

মন্ত্রী বলেন, 'যদিও আমরা চাই না মোবাইল কোর্ট করে কাউকে অপমান করি। যদি আমাদের কেউ বাধ্য করায় তবে মোবাইল কোর্ট হবে। আমি ডিসি, ভোক্তা অধিকার, মার্কেটিং কর্মকর্তাকে বলে দিচ্ছি, যদি মনিটরিং করে একদিন একসঙ্গে বাজারে নামেন এবং এ বিষয়ে কোনো ব্যত্যয় পান, তাহলে কঠোরভাবে মোবাইল কোর্ট করতে থাকেন।'

রমজান মাসে বাজার নিয়ন্ত্রণে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, 'রমজানে খাদ্যপণ্যের দাম বাড়ার কথা না রমজানে খাদ্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে সরকার কাজ করছে। কোনোভাবেই যেন দাম না বাড়ে বা কেউ দাম না বাড়াতে পারে, সে ব্যাপারে সজাগ দৃষ্টি রাখা হচ্ছে। বাড়লে প্রশাসন ব্যবস্থা নিতে প্রস্তুত রয়েছে।রমজানে ব্যবহৃত খাদ্যপণ্য, যেমন: ছোলা, খেজুর, চিনিসহ অন্যান্য জিনিসের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে গতবার যে পরিমাণ এলসি খোলা হয়েছে, তার থেকে অনেক বেশি এলসি এবার খোলা হয়েছে।'

দিনাজপুর জেলা প্রশাসক শাকিল আহমেদের সভাপতিত্বে এ মতবিনিময় সভায় জাতীয় সংসদের হুইপ ও দিনাজপুর -৩ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য ইকবালুর রহিম, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব প্রদীপ কুমার পাল, খাদ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন, জেলা পুলিশ সুপার শাহ্ ইফতেখার আহমেদ, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কামাল হোসেন, দিনাজপুর চেম্বারের সভাপতি রেজা হুমায়ুন চৌধুরী শামীম, দিনাজপুর চাল কল মালিক গ্রুপের সভাপতি মোসাদ্দেক হুসাইন সহ অন্যরা বক্তব্য রাখেন।

(এসএএস/এসপি/ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০২৪)

পাঠকের মতামত:

০২ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test