E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

গৃহশ্রমিক প্রীতি উরাং এর মৃত্যু, তদন্ত সাপেক্ষে শাস্তি চায় চা-শ্রমিক ফেডারেশন

২০২৪ ফেব্রুয়ারি ১২ ১৮:৪৩:৪৯
গৃহশ্রমিক প্রীতি উরাং এর মৃত্যু, তদন্ত সাপেক্ষে শাস্তি চায় চা-শ্রমিক ফেডারেশন

মোঃ আব্দুল কাইয়ুম, মৌলভীবাজার : ঢাকার মোহাম্মদপুরে ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টার পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল হকের বাসার কাজে নিয়োজিত চা শ্রমিক পরিবারের সন্তান শিশু গৃহশ্রমিক প্রীতি উরাং এর অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘটনায় পরিবারের খোঁজখবর নিতে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় নেতারা কমলগঞ্জের মির্তিংগা চা বাগানে অবস্থিত প্রীতি উরাং এর বাড়িতে যান।

সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি ) সকাল সাড়ে ১১টায় প্রীতি উরাং এর মৃত্যুর ঘটনা পরবর্তী পরিবারের সাথে কথা বলতে তাঁর বাড়িতে যান ফেডারেশনের নেতারা।

ফেডারেশনের পক্ষ থেকে এসময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ চা শ্রমিক ফেডারেশন কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক দীপংকর ঘোষ, সাংগঠনিক সম্পাদক কিরণ শুক্ল বৈদ্য, অর্থ সম্পাদক প্রেম কুমার পাল, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট মৌলভীবাজার জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ নন্দী এবং স্থানীয় চা শ্রমিক ফেডারেশনের নেতারা।

ফেডারেশনের নেতাদের সাথে আলাপকালে প্রীতির বাবা-মা জানান, ডেইলি স্টারের মৌলভীবাজার জেলা প্রতিনিধি মিন্টু দেশোয়ারার মাধ্যমে ডেইলি স্টারের নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল হকের বাসায় কাজে যায় ছোট মেয়ে প্রীতি। শুরু থেকেই পরিবারের লোকজনের সাথে প্রীতির যোগাযোগ তেমন করতে দেওয়া হতো না। ৬ ফেব্রুয়ারি যে দিন প্রীতি মারা যায়, সেদিন মিন্টু দেশোয়ারা উনাদেরকে শ্রীমঙ্গল যাওয়ার কথা বলে, শ্রীমঙ্গল গেলে পরে মিন্টু দেশোয়ারা উনাদের মেয়ে মারাত্মক অসুস্থ বলে জানান এবং এখনই উনার সাথে ঢাকায় যাতে হবে বলেন। সাংবাদিক মিন্টু দেশোয়ারার সাথে উনারা ঢাকায় গেলে সরাসরি থানায় নিয়ে যাওয়া হয় এবং সেখানে জানতে পারেন মেয়েটি নাকি নবম তলা থেকে পড়ে মারা গেছে। এরপর প্রীতির লাশ নিয়ে বাড়ি চলে আসেন। তারা কোনো মামলা হলো কি না সেটা জানেন না। এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড এবং মেয়ে প্রীতি হত্যার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন।

এসময় চা শ্রমিক ফেডারেশনের নেতারা প্রীতির পরিবারের সঙ্গে আলাপকালে বলেন সাংবাদিক মিন্টু দেশোয়ারার উচিত ছিলো মেয়েটাকে স্কুলে পাঠানোর সামগ্রিক আয়োজন করা। তিনি তা না করে শিশুটিকে কাজে ঢুকিয়ে দিলেন যা প্রচলিত আইনে শিশু শ্রম নিষিদ্ধ এবং দণ্ডনীয় অপরাধ। একই অপরাধে মিন্টু দেশোয়ারাও অপরাধী এবং তারও বিচার হওয়া দরকার। ডেইলি স্টারের নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল হকের বাসায় এর আগেও একটা শিশু গৃহশ্রমিক ফেরদৌসী নবম তলা থেকে লাফ দিয়ে পড়ে আহত হয়। মেয়েটির মা মামলা করলেও আজও তিনি বিচার পান নি। আগের অপকর্মের বিচার হলে এমন নৃশংস ভাবে মেয়েটাকে মেরে ফেলতে পারতো না। এটা প্রকারান্তরে মৃত্যু নয় সংঘটিত হত্যাকাণ্ড। তার যথাযথ বিচার নিশ্চিতের দাবিতে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ফেডারেশন সবসময় সোচ্চার আছে এবং একই সাথে চা জনগোষ্ঠীর সকল প্রকার ন্যায়সংগত অধিকার আদায়ে ফেডারেশন পাশে থাকবে।

(একে/এএস/ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২৪)

পাঠকের মতামত:

০৬ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test