E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

ঈশ্বরদীতে তাপমাত্রা ৭.৩ ডিগ্রীতে নেমেছে

২০১৫ জানুয়ারি ১২ ২০:০৮:০২
ঈশ্বরদীতে তাপমাত্রা ৭.৩ ডিগ্রীতে নেমেছে

ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি:মাঝখানে বিরতি দিয়ে আবারও ঈশ্বরদীতে কামড় বসিয়েছেশীত। প্রতিদিনই তাপমাত্রা কমছে। ঘন কুয়াশার চাদর ভেদ করে সূর্য্যরে দেখা মিলছে দুপুরে। আবহাওয়া অফিস শনিবারে ৯.৫ ডিগ্রী, রবিবারে ৮.৬ ডিগ্রী এবং সোমবারে ৭.৩ ডিগ্রী তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে।

মৃদু শৈত্য প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে বলে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে। দুপুর ১টা পর্যন্ত সূর্যের মূখ দেখা যায়নি। আবারও শৈত্য প্রবাহে ঈশ্বরদীর জনজীবন বিপর্য্যস্থ হয়ে পড়েছে।

ঈশ্বরদীতে তাপমাত্রা আরো নেমে গেছে। রবিবার ছিল ৮.৬ ডিগ্রী থাকলেও সোমবার তাপমাত্রা নেমে ৭.৩ ডিগ্রীতে নেমেছে। শৈত্য প্রবাহে সর্বত্র নেমে এসেছে স্থবিরতা। শীতে কাঁপছে ঈশ্বরদীর নিম্নআয়ের মানুষ। পিয়ারাখালী গ্রামের ৭০ বছরের বৃদ্ধা পাতানি বেগম জানালেন, ‘ক্যাতার তলায় শুইয়া থাহি, তবু ওম ধরে না, ওরে বাব্বা, শীতে হাড্ডিÑগুড্ডি ভাইংগা লয়”। ‘খাইতে দেয় অনেকেই, শীতে মরি গেলেও কম্বল দিতি আসতিছে না কেউ’। পাতানি বেগমের স্বামী, সন্তান, ঘরবাড়ি কিছুই নেই। অন্যের আশ্রয়ে থাকেন। থাকা-খাওয়া একরকম ভাবে চললেও শীতের তীব্রতা হতে রক্ষার কোন উপায় নেই।

আবহাওয়ার পরিবর্তনে মানুষজন আক্রান্ত হচ্ছেন শীতজনিত রোগে। বয়স্ক ও শিশুরাই বেশী আক্রান্ত হচ্ছেন নানা রোগে। শীতজনিত রোগে আক্রান্তদের হাসপাতালে ভীড় করতে দেখা গেছে। বিশেষ করে শিশুরা কোল্ড ডায়ারিয়া ও বয়স্করা শ্বাসকষ্টজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জানান, বাড়তি শীত নিয়ে শঙ্কা কাটছে না কৃষকদের। শৈত্যপ্রবাহে বোরো বীজতলার কোল্ড ইনজুরি, আলুর তাড়াতড়ি বৃদ্ধিসহ ডাল ফসলের নানা শীতজনিত রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা যায়।

ঈশ্বরদী জংশন ষ্টেশনে ভাসমান মানুষের দূর্দশা অবণীয়। বিচালি বা খড় বিছিয়ে তার উপর শুয়ে পাটি জড়িয়ে শীত নিবারণ করতে দেখা গেছে। সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় নগণ্য।

(এমএইচএম/এসসি/জানুয়ারি১২,২০১৫)

পাঠকের মতামত:

২০ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test