E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

দক্ষিণ -পশ্চিমাঞ্চলের সহিংসতায় জামায়াত ক্যাডাদের এলাকা বদল

২০১৫ ফেব্রুয়ারি ০৩ ১২:৫০:১৩
দক্ষিণ -পশ্চিমাঞ্চলের সহিংসতায় জামায়াত ক্যাডাদের এলাকা বদল

বাগেরহাট প্রতিনিধি : দেশব্যাপী লাগাতর অবরোধ হরতালে খুলনা ও বরিশাল বিভাগে সহিংসতার কাজে ঘন-ঘন কৌশল বদল করেছে জামায়াত-শিবির ক্যাডাররা। এখন জামায়াত-শিবির ক্যাডাররা জেলা ও বিভাগ ছেড়ে অন্য এলাকায় গিয়ে যানবাহনে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপসহ সহিংসতার কাজ চালাচ্ছে। একাজে তারা স্থানীয় পলাতক জামায়াতের নেতাকর্মীদের পাশাপাশি দলীয় নারী নেত্রীদের আশ্রয়ে থাকছেন। এভাবে এক-এক এলাকায় নাশকতা ও সহিংসতা ঘটিয়ে দ্রুত এলাকা বদল করছে জামায়াত-শিবির ক্যাডাররা। এভাবে সহিংসতা ঘটাতে বাগেরহাটের শরণখোলা সদরের রায়েন্দায় এসে খুলনা ও বরিশাল বিভাগের ১০ জামায়াত-শিবির ক্যাডারকে ২০ দলের ডাকা ৭২ঘন্টা হরতালের প্রথম দিন রবিবার সকালে আটক করেছে পুলিশ। পুলিশ বলেছে, বহিরাগত এসব জামায়াত-শিবির ক্যাডারকে আটকের ফলে শরণখোলায় বড় ধরনের নাশকতা ও সহিংসতা রোধ করা সম্ভাব হয়েছে। আটককৃত এসব জামায়াত-শিবির ক্যাডারদের এক আশ্রয়দাতা শরণখোলা মহিলা জামায়াতের সভানেত্রী আছিয়া বেগমকে একই দিন দুপুরে উপজেলার রাজৈর গ্রাম থেকে পুলিশ আটক করে।

বগেরহাট জেলা পুলিশ জানায়, দেশব্যাপী লাগাতর অবরোধের মধ্যে ২০ দলের ডাকা ৭২ঘন্টা হরতালের প্রথম দিন রবিবার সকালে শরণখোলা উপজেলা সদর রায়েন্দা বাজারে শের-এ বাংলা সড়কের জামায়াত ক্যাডার রফিকুল ইসলামের ব্যাক্তিগত অফিসে পুলিশ অভিযান চালায়। এসময় শরণখোলা আইডিয়াল ইনস্টিটিউট স্কুলের ধর্মীয় শিক্ষক বাগেরহাট সদরের খানপুর গ্রামের শেখ হাতেম আলীর ছেলে জামায়াত ক্যাাডার মাওলানা রফিকুল ইসলামসহ (২৭) বহিরাগত ১০ ছাত্র শিবির ক্যাডারকে আটক করা হয়। আটক অন্যরা হলেন, বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার গৌরম্ভা গ্রামের আরব আলীর ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান (২৪), মোরেলগঞ্জ উপজেলার সোনাখালী গ্রামের নেছার আলীর ছেলে রুহুল আমীন (২৩), পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলার কচুবাড়িয়া গ্রামের সাইদুর রহমানের ছেলে ওয়াহিদুজ্জামান (২২), একই এলাকার রব খলিফার ছেলে নাজমুল হাসান (২৬), বাদুড়তলা গ্রামের মোস্তফা মিয়ার ছেলে আ. খালেক (২৫), বেতমোড় গ্রামের ইউসুফ হাওলাদারের ছেলে আবুল কালাম (১৯), মঠবাড়িয়া উপজেলা সদরের আলী হোসেন আকনের ছেলে আল-আমীন (২৩), খুলনার বঠিয়াঘাটা উপজেলা সদরের ফেরদৌসের ছেলে রেজওয়ান (২২) ও একই উপজেলার শতখালী গ্রামের আকবর মোল্লার ছেলে হাসান মোল্লা (২০)। আটককৃত এসব শিবির ক্যাডাদের সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে তাদের স্ব-স্ব থানায় জরুরী বার্তা পাঠিয়েছে শরণখোলা থানা পুলিশ।
শরণখোলা থানার ওসি কাজী মোঃ সালেক জানান, উপজেলা জামায়াত অবরোধের মধ্যে হরতালের সময় তাদের দলীয় নির্দেশনা অনুযায়ী নাশকতা ও সহিংসতা সৃষ্টির জন্য শরণখোলায় বহিরাগত জামায়াত-শিবির ক্যাডারদের জড়ো করেছিল। পুলিশ এখবর জানতে পেরে দ্রুত তাদের আটক করে। ফলে বহিরাগত এসব জামায়াত-শিবির ক্যাডারকে আটকের ফলে শরণখোলায় বড় ধরনের নাশকতা ও সহিংসতা রোধ করা সম্ভাব হয়েছে। এসব জামায়াত-শিবির ক্যাডারদের এক আশ্রয়দাতা শরণখোলা মহিলা জামায়াতের সভানেত্রী আছিয়া বেগমকে একই দিন দুপুরে উপজেলার রাজৈর গ্রাম থেকে পুলিশ আটক করে ও তার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ৫০টি জিহাদী বই উদ্ধার হয়। আটককৃরা সবাই জামায়াত- শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। এদের প্রাথমিক জিজ্ঞাবাদে জামায়াত-শিবির ক্যাডারা জানায় এখন তারা কৌশল হিসাবে ঘন-ঘন এলাকা বদল করছে। আটককৃতদের বিরুদ্ধে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দিয়ে সোমবার বাগেরহাট আদালতে পাঠানো হয়। আদালত তাদের জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেয়। তাদের স্ব-স্ব থানা থেকে বিস্তারিত প্রতিবেদন পাওয়ার পর রিমান্ডের আবেদন জানানো হবে বলে শরণখোলার থানার ওসি জানান।
(একে/পিবি/ফেব্রুয়ারি ৩,২০১৫)

পাঠকের মতামত:

০৫ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test